জুলাই ১৬, ২০১৮
সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিবৃতি

আজ মেদিনীপুরের জনসভায় যারা আহত হয়েছেন তাদের জন্য আমরা ভীষণ উদ্বিগ্ন। আমরা চাই ওনারা শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠুন। প্রশাসনের তরফে আহতদের চিকিৎসা সংক্রান্ত সব রকম সাহায্য করা হবে। যারা এই সভার আয়োজন করেছিল তাদেরই এই দুর্ঘটনার দায়িত্ব নিতে হবে।
বিজেপি নেতাদের করা অভিযোগের উত্তর:
দাবি বনাম বাস্তব #১
বিজেপি নেতা দাবি করেছেন, আসার সময় তিনি শয়ে শয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্টার দেখেছেন। এবছর ২১ শে জুলাই অর্থাৎ শহীদ দিবসের ২৫ বছর পূর্ণ হবে। সেই উপলক্ষে সারা রাজ্যজুড়ে এইরকম অনেক পোস্টার, ব্যানার লাগানো হয়েছে (যার মধ্যে বেশ কিছু ছিঁড়ে নষ্ট করে ফেলার চেষ্টা করেছে ওনার দল)।
দাবি বনাম বাস্তব #২
আজকের এই সমাবেশে বেশিরভাগ জনতাই এসেছিলেন পার্শবর্তী রাজ্যগুলি থেকে, যেমন ঝাড়খন্ড ও উড়িষ্যা। এমনকি পাটনারও অনেক গাড়ি আসতে দেখা গেছে। স্থানীয় মানুষ দূরের কথা, কোনও কৃষকও এই সমাবেশে ছিল বলে মনে হয় না। এর জন্য কত টাকা খরচ করা হয়েছে? কোন কর্পোরেটদের টাকা? নিট ফল কি? কতজন কৃষক লাভবান হলেন?
দাবি বনাম বাস্তব #৩
বিজেপি নেতার কাছে প্রশ্ন, কৃষকদের আয় দ্বিগুন করার জন্য উনি কি পদক্ষেপ নেবেন? অনেক বছর আগে ওদের ইস্তেহারে এই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়িত করা হয়নি। বিজেপি নেতাকে বাংলার কিছু পরিসংখ্যান জানাতে চাই।
গত ৭ বছরে বাংলায় কৃষকদের আয় ৩ গুণেরও বেশী বেড়েছে। ২০১১ সালে ছিল তাদের গড় আয় ছিল ৯১ হাজার টাকা। গত বছর তা বেড়ে হয়েছে ২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা।
দাবি বনাম বাস্তব #৪
কৃষকদের আত্মহত্যা সংক্রান্ত একটি সংসদীয় রিপোর্ট এর পরিসংখ্যান তুলে ধরছি:
২০১৭ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে মহারাষ্ট্রে ৬৩৫ জন কৃষক আত্মহত্যা করেন। বাংলায় শূন্য।
এর থেকেই সমগ্র দেশে, তথা বাংলায় কৃষকদের অবস্থা জলের মত পরিষ্কার বোঝা যায়।
দাবি বনাম বাস্তব #৫
সিন্ডিকেট – বিজেপি নেতাদের চেয়ে সিন্ডিকেট সম্বন্ধে কেই বা ভাল জানে?
আপনার দল ধর্মীয় ভেদাভেদের সিন্ডিকেট।
আপনার দল ধর্মান্ধতার সিন্ডিকেট।
আপনার দল lynching এর সিন্ডিকেট।
আপনার দল নির্যাতনের সিন্ডিকেট।
আপনার দল agency গুলোর সিন্ডিকেট।
আপনার দল নোটবন্দী (demonetisation) এর সিন্ডিকেট।
আপনার দল দুর্নীতির সিন্ডিকেট।
বিজেপি নেতাদের বলছি, আগুন নিয়ে খেলবেন না।
আপনারা agency দিয়ে যতই আমাদের হয়রান করার চেষ্টা করুন, আমরা কোনও সিন্ডিকেটের সামনেই মাথা নত করব না।
বাংলা সকলের জন্য। বাংলা বিশ্বের সংস্কৃতির রাজধানী। বিজেপি নেতার বক্তব্য প্রমাণ করে যে ওদের উন্নয়ন কোন কর্মসূচী নেই। উনি শুধুই রাজনৈতিক ভাষণ দিতে এসেছেন।
এর নিট ফল শূন্য, শূন্য, শূন্য।
সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বিবৃতি দিয়েছেন:
পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও ডেরেক ও’ব্রায়েন।