সাম্প্রতিক খবর

জুলাই ২৪, ২০১৮

মহানায়ক সম্মান পেলেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অপর্ণা সেন

মহানায়ক সম্মান পেলেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অপর্ণা সেন

২৪শে জুলাই ‘মহানায়ক’ উত্তম কুমারের মৃত্যুবার্ষিকী। এই দিনে মহানায়কের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে প্রতি বছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহানায়ক সম্মাননা প্রদান করেন। পাশাপাশি আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও। বর্তমানের খ্যাতনামা শিল্পীরা পরিবেশন করেন পুরনো দিনের জনপ্রিয় গান।

এবছর মহানায়ক সম্মান পেলেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অপর্ণা সেন। এই নিয়ে সপ্তম বছর এই সম্মান প্রদান করা হল। মুখ্যমন্ত্রীর একান্ত উদ্যোগেই এই সম্মান প্রদান শুরু করা হয়।

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কিছু অংশ:

আজকে আমরা সবার পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাই শ্রদ্ধেয়া অপর্ণা সেন এবং পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আজকের দিনে চলচ্চিত্র জগতের যে শ্রেষ্ঠ, তাদের হাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মহানায়ক পুরস্কার তুলে দিতে পেরে আমরা ধন্য হয়েছি।

এখানে চিত্র পরিচালক থেকে শুরু করে প্রযোজনা সংস্থা থেকে শুরু করে ছোট ছোট শিশু শিল্পী থেকে শুরু করে অনেক সংগীত পরিচালক, অভিনেতা ও বিশিষ্ট জনেরা উপস্থিত আছেন। কিন্তু, সবার মাঝে উত্তমকুমার আছেন। উত্তম কুমারের লিপে গাওয়া গানগুলো আজও পপুলার। আমি এখনও মনে করি উত্তমকুমার সবার উপরে। অগ্নিপরীক্ষায় সবার উপরে চিরদিনের নায়ক উত্তম কুমার।

উত্তম কুমার কোনদিনও আমাদের হৃদয় থেকে মারা যাবেন না। তাঁর মৃত্যু নেই, তিনি জীবিত কিংবদন্তী। চিরকাল, প্রত্যেকটা সুর, গান, ভাষা, কথা সবসময়ে আজও আলোড়ন জাগায় আমাদের। আমরা ভাবতে পারিনা যে উত্তমকুমার আজকে নেই।আমরা যতগুলো খুব শোকের দিন মনে করি তার মধ্যে উত্তমকুমারের মৃত্যুর দিনটা আমাদের সকলের কাছে একটা বড় শোকের দিন।

আমিও তখন স্টুডেন্ট ছিলাম, আমার বেশ মনে আছে, আমি আর মা দাঁড়িয়ে একটা জায়গায় কথা বলছিলাম, হঠাৎ রাত ১০টা নাগাদ চার-পাঁচটা ছেলে গল্প করতে করতে আসছে আর বলছে উত্তমকুমার মারা গেছে। শুনেই আমরা যা শকড হয়েছিলাম। সে তো আপনারা জানেন কীভাবে উত্তমকুমারের শেষ যাত্রায় মানুষ উতলা হয়ে উঠেছিল। কাজেই উত্তমকুমারের কোনও শেষ নেই।

আর যারা আমরা চলচিত্র জগতকে ভালবাসি, টেলি বলুন, টলি বলুন, গান বলুন – উত্তমকুমারকে বাদ দিয়ে টলিউড, টেলিউড কেন, কোনও উডই ভাবা যায় না। এবং তাই তিনি যতদিন বাঁচবেন, যতদিন থাকবেন, আমাদের হৃদয়ে, মননে, চিন্তনে, দর্শনে, ভাষায়, কথায়, সুরে, গানে তিনি চিরদিন আমাদের মধ্যে পল্লবিত হয়ে থাকবেন। তাঁকে আজ আমরা স্মরণ করি।

মহানায়কের প্রয়াণ দিবসে সম্মানিত করতে পেরে আজকে আমরা সত্যি নিজেদের কৃতজ্ঞ মনে করছি। আমি টলিউডকে ধন্যবাদ জানাই। টেলি আকাদেমিকে ধন্যবাদ জানাই। চলচ্চিত্র আকাদেমিকে ধন্যবাদ জানাই।

কলাকুশলীদের জন্য মেডিক্লেম থেকে শুরু করে, নতুন ষ্টুডিও থেকে শুরু করে সব কাজ চলছে। বাংলা সিনেমার ১০০ বছর। অনেক সিনেমা আমরা দেখাবো। অর্থের দিক থেকে আমরা পিছিয়ে থাকলেও বাংলা কিন্তু প্রতিযোগিতায় সবাইকে হারিয়ে দেবার ক্ষমতা রাখে। শুধু পাবলিসিটি ও মার্কেটিং নেই টাকার অভাবে। প্রতিভায় জুড়ি মেলা ভার। আমি বিশ্বাস করি বাংলা বলিউডকে জয় করে এগিয়ে আসবে। বিশ্ববাংলা মিলিত হবে এই বাংলায়।