জুলাই ১৭, ২০১৮
বাংলার কচুর লতিতে মজেছে ইউরোপ, চাহিদা মিটিয়ে চাষ বাড়ানোর পরিকল্পনা

বাংলার কচুর লতি, কচুশাকে মজেছে ইউরোপ। শুধু বাঙালি নয়, সেখানকার সাহেবরাও। কচুর লতি চাষ করার পরিকল্পনা নিচ্ছে রাজ্য।
মূলত পূর্ববঙ্গের প্রিয় খাবার বলে পরিচিত হলেও পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছেও জনপ্রিয়তা পেয়েছে কচুর লতি। যা এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইউরোপ মুলুক। ছাড়পত্র পেলে এবার আমেরিকাও সরষে দিয়ে কচুশাক বা কচুর লতি-চিংড়ি দিয়ে রসনাতৃপ্তি করতে পারবে। কচুর মুখীর রপ্তানি ইতিমধ্যে রেকর্ড গড়েছে। পটল, পেঁপে, করলা, ঝিঙে তো ছিলই। এবার আম ও লিচু রপ্তানি হয়েছে গতবারের চেয়ে অনেক বেশি। তবে বাংলার কচুর এই বিশ্বজনীন হয়ে ওঠা নিঃসন্দেহে চমকপ্রদ। যা ঘিরে আশার আলো দেখছেন রপ্তানিকারক থেকে কৃষি বিপণন দপ্তর৷
১০ জন রপ্তানিকারকের এখন সবচেয়ে বড় কাজ কচুর মুখী ও লতি জোগান দেওয়া। চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে উঠতে পারছেন না তাঁরা। ইউরোপে বাংলাদেশের প্রচুর মানুষ থাকেন। তাঁরাই প্রধানত ক্রেতা। তবে স্থানীয়দের কাছেও জনপ্রিয় হচ্ছে বাংলার সবজি। কচুও। রপ্তানিকারদের আশা, ছবিটা বদলাবে।
রপ্তানি সংক্রান্ত সমস্ত রীতিনীতি মেনে পরীক্ষা করে তবেই বিদেশে পাঠানো হয় বাংলার ফল-সবজি। প্যাক হাউসের মাধ্যম ছাড়া কোনও উন্নত দেশ সবজি নেয় না। কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের আতঙ্ক থেকেই তাদের এই সতর্কতা। প্যাকহাউসের সৌজন্যে আম, পেঁপে, শাক নিয়মিত যাচ্ছে জার্মানি, রোম, সুইডেন, ইতালি, সুইজারল্যান্ডে। দুবাই, আরব আমিরশাহিতে রমজান মাসে আম গিয়েছে প্রচুর পরিমাণে। বার্মিংহামের বাঙালিদের কাছেও চাহিদা বাড়ছে এই রাজ্যের শাক-সবজির। এই বছর সেখানেও রেকর্ড পরিমাণ রপ্তানি হয়েছে বলে কৃষি বিপণন দপ্তর সূত্রে খবর।
সৌজন্যে: প্রতিদিন