জুলাই ১৯, ২০১৮
ভেজাল ধরবে ভ্রাম্যমাণ ল্যাব

এ বার খাদ্যে ভেজাল ধরতে শহরের রাস্তায় ঘুরে বেড়াবে ভ্রাম্যমাণ ল্যাবরেটরি। একটি নির্দিষ্ট টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করলেই এলাকায় পৌঁছে যাবে এই ভ্রাম্যমাণ ল্যাব। পরিষেবার বিনিময়ে ওই ফোনের গ্রাহককে দিতে হবে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকাও। পুরসভার সদর কার্যালয়ে দিল্লি থেকে এসে পৌঁছয় খাদ্যে ভেজাল নির্ণয়ের জন্য ওই অত্যাধুনিক যানটি।
পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, এই গাড়ি রাস্তায় নামলে যে সব ব্যবসায়ীরা খাদ্য নিয়ে বেআইনি কাজ করেন, তাঁরা সতর্ক হবেন। এই ভ্রাম্যমাণ ল্যাবরেটিরতে পরীক্ষা করা যাবে হলুদ গুড়ো, মশলা, মিষ্টি, বিরিয়ানিতে মেটানিল ইয়েলোর মতো নিষিদ্ধ রং ব্যবহার করা হচ্ছে কি না। দুধে ভেজাল, ভোজ্য তেলে অন্য তেল বা কিছু ব্যবহার, সফট ড্রিঙ্কে খনিজ অ্যাসিডের ব্যবহার, নুন এবং মশলায় বালি, মাটি, ইটের গুড়ো, গোলমরিচে পেঁপের বীজ, বেসন, ময়দায় স্টার্চ বা চক জাতীয় কিছু মেশানো হচ্ছে কি না, তা ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়েই জানতে পারবেন অভিযোগকারী।
এই ভ্রাম্যমাণ ল্যাবরেটরিতে একজন খাদ্য নিরাপত্তা আধিকারিক-সহ দু’জন টেকিনশিয়ান থাকবেন। যাঁরা ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে অভিযোগকারীর হাতে রিপোর্ট দেবেন। ফলে এই রিপোর্টের ভিত্তিতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দেশের খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবে পুরসভা এবং খাদ্য সুরক্ষা কমিশনও।
এ বিষয়ে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ ল্যাবরেটরির সংখ্যা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে। সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই এই নতুন ভ্রাম্যমাণ ল্যাবরেটরিটিকে শহরের রাস্তায় ঘুরতে দেখা যাবে।’