সাম্প্রতিক খবর

জুলাই ১০, ২০১৮

তৃণমূলের আমলে বেড়েছে মাছ চাষের পরিকাঠামো

তৃণমূলের আমলে বেড়েছে মাছ চাষের পরিকাঠামো

২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে ব্রতী হয়েছেন। বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জোর দেওয়া হয়েছে মৎস্য দপ্তরেও। নেওয়া হয়েছে প্রচুর পদক্ষেপ, পাল্টে ফেলা হয়েছে পুরো পরিকাঠামো। আনা হয়েছে নতুন যন্ত্রপাতি, প্রযুক্তি।

হিমঘর পরিকাঠামো
২০১৭-১৮ সালে দপ্তর হিমঘর নির্মাণের মাধ্যমে পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দিয়েছে; এর জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩ কোটি টাকা। এছাড়া কোল্ড চেন প্রকল্পের অধীনে আরও ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে ট্রান্সিট ও টার্মিনাল বাজার ও রিটেল আউটলেট তৈরী করতে। ইন্সুলেটেড বাক্স সম্বলিত সাইকেলও বিতরণ করা হয়েছে। আটটি হিমঘর ও ছটি বরফকল নির্মাণ করা হয়েছে।

খুঁটি সমাজ
খুঁটি সমাজের উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকার আর্থিক সহায়তা করছে। এই আর্থিক সহায়তায় কাথি ও ডায়মন্ড হারবারের ৫৩টি খুঁটি সমাজ উপকৃত হয়েছে। এই আর্থিক সহায়তায় আছে খুঁটি সমাজের রক্ষণাবেক্ষণের খরচ, খুঁটি সমাজ দেখার জন্য জমাদারদের বেতন, খুঁটির পরিকাঠামো তৈরী যেমন লিঙ্ক রোড, নিমজ্জিত পাম্প, সোলার আলো, মাছ শুকোনোর প্ল্যাটফর্ম তৈরী, বাঁশের কাঠামো, পরিষ্কার মালপত্র, ছোট মালপত্র, টিউবওয়েল মেরামত।

ফিশিং হারবার ও ফিশ ল্যান্ডিং কেন্দ্র
এই মুহূর্তে রাজ্যে ৭টি মাইনর ফিশিং হারবার ও ১৩টি ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টার আছে। আইস প্ল্যান্টের নির্মাণ ও দীঘার মোহনায় মাছের বাজারের নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়াও, বেনফিশ আধুনিক মাছের বাজার তৈরী করেছে নদীয়ার কল্যাণীতে, বীরভূমের বোলপুরে, হাওড়ার উলুবেড়িয়া ও দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে। সম্প্রতি পাঁচটি ফিশ ল্যান্ডিং কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে যার ফলে ইন্দ্রপুর, সত্যদাসপুর, কান্তামারি, রায়দিঘি, ডোমকল, খেয়াঘাট ও নামখানায় ৮৭০০জন মৎস্য চাষি উপকৃত হয়েছে।

হ্যাচারির স্বীকৃতি
১৯টি হ্যাচারি তৈরী করা হয়েছে উন্নতমানের মাছের চারা উৎপাদনের জন্য। ২৩১টি হ্যাচারিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

মাছের বাজার
১০টি মাছের বাজার তৈরী করা হয়েছে, মাছের চারার বাজার করা হয়েছে সিনাহাটি, রাজেন্দ্রপুরে। পাইকারি ও খুচরো মাছের বাজার হলদিবাড়ি, বোলপুর, কল্যাণী, ফুলেশ্বর, উদয়রামপুর, নলবন আন্তর্জাতিক অর্নামেন্টাল ফিশ মার্কেট, কাঁটামারি, ঝরখালি। এছাড়া, হাওড়ার পাইকারি বাজার উন্নয়নের করা হচ্ছে।

মাছ গবেষণা কেন্দ্র
রাজ্যে ব্লক স্তরে গবেষণাগার তথা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে দপ্তর। এর মাধ্যমে জল ও মাটি পরীক্ষা করা হবে যাতে বৈজ্ঞানিক ভাবে মাছ চাষ করা যায়। এখনও পর্যন্ত ৩০৮টি এরকম গবেষণাগার গড়ে তোলা হয়েছে। ২০১৭-১৮ আর্থিক বর্ষে ২৫টি ব্লক স্তরে গবেষণাগার তথা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে।

পইলান গবেষণা কেন্দ্রে মাছ ও মাছ চাষের ওপর গবেষণা করা হচ্ছে। কুলিয়ার মিষ্টি জলের গবেষণা কেন্দ্রে মিষ্টি জলের মাছের চারার উৎপাদন, এর মধ্যে কিছু বিলুপ্তপ্রায় মাছ, অ্যাকোরিয়ামের মাছ নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে। অ্যাকোরিয়ামের মাছের রপ্তানি মূল্য খুব বেশী। গ্রামীণ মহিলাদেরও এই মাছ চাষে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। একটি ইলিশ মাছের সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র খোলা হয়েছে সুলতানপুরে নরওয়ের নরওয়েইয়ান ইন্সটিটিউট অফ ফুড ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়াকালচার রিসার্চএর সহায়তায়।

ডোবায় মাছ চাষ
ডোবার জলে মাছ চাষ বাড়াতে সরকার আর্থিক সহায়তা করছে। এই ব্যাপারটি মূলত হয় সুন্দরবনের বদ্বীপ অঞ্চলে।