জুলাই ৪, ২০১৮
দিঘায় মাছের খামারে হবে ইকো-ট্যুরিজম পার্ক

দিঘা গেট ছাড়িয়ে মেরিন ড্রাইভের রাস্তা পেরিয়ে একটু ওপরে উঠলেই পাওয়া যাওয়া যায় রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগমের নিজস্ব খামার। মৎস্য খামারের সামনেই রয়েছে সাড়ে ৭ হেক্টরের একটি লেক। বৈশাখের কাঠফাটা গরমেও জলে ভরভরন্ত থাকে এই লেক। দিঘা লেক নামেই এর পরিচিতি। এই লেক এবং মৎস্য খামারকে ঘিরে ইকো–ট্যুরিজম পার্ক গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগম। শীতের মরশুমে পরিযায়ীদের দেখতে ভিড় জমান অনেক পর্যটক। আর পর্যটকদের এই উৎসাহকে পুঁজি করে ইতিমধ্যেই মাস্টার প্ল্যান তৈরি করে ফেলেছে মৎস্য উন্নয়ন নিগম।
লেকের জলের ওপর কটেজ তৈরি ছাড়াও পাখি দেখার পরিকাঠামো তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। স্লিপার বিছানো রাস্তা, মরশুমি ফুলের বাগান তৈরি, উঁচু বাতিস্তম্ভ লাগানোর উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। জলাশয়ে বোটিং এবং কাছের দিঘা মোহনাতে গিয়ে যাতে পর্যটকেরা উপকূলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন, তারও ব্যবস্থা করা হবে। সব মিলিয়ে দিঘার পর্যটনে বিনোদনের নয়া সংযোজন হতে চলেছে এই দিঘা লেক ইকো–ট্যুরিজম। নিরিবিলি পরিবেশে পর্যটকরা যাতে এই মনোরম প্রকৃতি উপভোগ করতে পারেন, সে কারণেই এমন উদ্যোগ রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগমের।
বর্ষা শেষে আপাতত ৫০ লক্ষ টাকা খরচে ৪টি কটেজ–নির্মাণ, রাস্তা–নির্মাণ এবং আলোকসজ্জা, বাগান তৈরির কাজ করা হবে। তারপর ধাপে ধাপে অন্যান্য কাজে হাত লাগানো হবে।অন্যান্য পরিকল্পনার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ইকো ফিশ ট্যুরিজম – মৎস্যপ্রেমীদের জন্য এই উদ্যোগ। এই প্রকল্পে বেড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সামান্য টাকা খরচ করলেই জলাশয়ের পাড়ে বসে ছিপ নিয়ে মাছ ধরার আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা। আর সাঁতার জানা থাকলে, মৎস্যকর্মীদের সঙ্গে জাল টেনে মাছ ধরার সুযোগও থাকছে।
এছাড়া পোড়ামাটির পুতুল, মাদুর, পাট, কাঠ, ঝিনুক, বাঁশ এ সবের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রীর বিকিকিনির জন্য একটি মার্কেট কমপ্লেক্স গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে। রাজ্যের হস্তশিল্পের বিকাশের জন্যএই উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য উন্নয়ন নিগম।
সৌজন্যে: আজকাল