জুলাই ১০, ২০১৮
গত সাত বছরে মৎস্য দপ্তরের উন্নয়ন

২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে জোর দিয়েছেন। সমস্ত দপ্তরের উন্নয়নের জন্য নেওয়া হয়েছে একগুচ্ছ পদক্ষেপ। রাজ্যে মাছ চাষের পরিকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন করা হচ্ছে। রাজ্য সরকার মৎস্যচাষিদের কল্যাণে অনেক প্রকল্প নিয়েছে।
মাছচাষ:২০১৭-১৮ সালের ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত ১৩.৪২ লক্ষ মেট্রিক টন উৎপাদন হয়েছে। মার্চ মাসের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা ১৭.৫২ লক্ষ মেট্রিক টন, যা ২০১০-১১ সালের বাম শাসনের তুলনায় অনেক বেশী।
মাছের চারা:২০১৭-১৮ সালে মাছের চারার উৎপাদন হয় ২০১৭.৭ কোটি, এটিও ২০১০-১১ সালের তুলনায় অনেক বেশী। ২০১১-১২ সাল থেকে ২০১৭-১৮ সালের মধ্যে ১.২১ লক্ষ জলাশয়ে ১৭ কোটি চারা মাছ ছাড়া হয়েছে। বাংলা সাড়া দেশের মাছের চারার চাহিদার ৪০ শতাংশ উৎপাদন করে।
মাছের খাবার:২০১৪-১৫ সালে বিনামূল্যে পুষ্টিযুক্ত ভাসমান মাছের খাবার বিতরণ করা হয় । ২০১৭-১৮ সাল পর্যন্ত ১৪০০০ মৎস্য চাষিকে ২৭০০০ মেট্রিক টন মাছের খাবার যোগান দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় মাছের সংরক্ষণ:স্থানীয় মাছের সংরক্ষণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বিল ও ডোবা পুকুরে (যেমন, পাবদা, সরল পুঁটি, দেশী ট্যাংরা, মৌরলা, চিতল ও ফলুই)। দেশী মাগুর উৎপাদনেও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
নতুন প্রজাতির মাছ:গত সাত বছরে সিলভার পম্পানো, নোনা ট্যাংরা, কোবিয়া, চ্যানস, সামুদ্রিক কাঁকড়া চাষ শুরু করা হয়েছে ডোবা পুকুরে। দক্ষিণ বঙ্গের মিষ্টি জলে বোরোলি মাছের চাষ শুরু হয়েছে।
ময়না মডেল:মৎস্য উৎপাদন বাড়াতে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে ‘ময়না মডেল’ চালু করা হয়েছে। মূল চাষ করা হবে রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের (১২ মেট্রিক টন প্রতি হেক্টরে)। সাতটি জেলায়, কোচ বিহার, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, নদীয়া, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং কল্যাণী ফিশ ফার্ম, বড় সাগর দিঘীতে। এই প্রকল্পের অধীনে মডেল ফিশ ফার্ম খোঁজা হয়েছে যেখানে জলাশয় ৯০ একরের মতো। ১১৩জন মৎস্য চাষইকে বাছা হয়েছে এই প্রকল্পে। এই প্রকল্পের জন্য ৭৮৩.৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে এই অর্থবর্ষে।
রপ্তানি:২০১১-১২ সালে ৬১৭০৯ মেট্রিক টন মাছ ও মতস্যজাত দ্রব্য রপ্তানি করে ১৭৩৪ কোটি টাকা আয় হয়েছে। ২০১৬-১৭ সালে ১০৪৭৬২ মেট্রিক টন মাছ ও মতস্যজাত দ্রব্য রপ্তানি করে ৪৪৫৫.৭৪ কোটি টাকা আয় হয়েছে।