সাম্প্রতিক খবর

জুলাই ২৫, ২০১৮

বিদ্যুতের কয়লায় রাজ্য স্বনির্ভর হচ্ছে

বিদ্যুতের কয়লায় রাজ্য স্বনির্ভর হচ্ছে

বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি নির্ভরতা সরিয়ে রেখে এবার স্বনির্ভর হচ্ছে রাজ্য সরকার। এবছরের শেষেই বাংলার নিজস্ব ছয়টি খনি থেকে কয়লা উত্তোলন করে রাজ্যের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির চাহিদা পুরোপুরি মেটানো সম্ভব হবে।

দপ্তরের শীর্ষকর্তা ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির আধিকারিকদের নিয়ে দীর্ঘ বৈঠকের পর কয়লা নিয়ে রাজ্যের স্বনির্ভরতার এমনই তথ্য দিয়েছেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী। একইসঙ্গে আসন্ন শারদোৎসবের সময় বাংলার কয়েক হাজার পুজো কমিটির বাড়তি চাহিদা ও রাজ্যকে বর্ণময় আলোয় সাজিয়ে তোলার চাহিদা মেটাতে বিদ্যুতের জোগান নিয়েও বিশেষ প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য সরকার। মহালয়ার পর থেকেই যাতে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে বাড়তি কয়লা পাওয়া যায় সেজন্য নিজস্ব খনি থেকে উত্তোলন বাড়িয়ে মজুত করার প্রস্তুতিও নিয়েছে নবান্ন।

সাত বছর আগে রাজ্য প্রশাসনের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে দেওচা-পচামি কয়লার খনি বাংলার হাতে দেওয়ার দাবি করে আসছেন। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর চাপে পড়ে কেন্দ্র মাসখানেক আগে সেই খনিটি রাজ্যের হাতে ছেড়ে দিয়েছে। বীরভূমের দেওচা-পচামি ছাড়াও এখন আরও ছয়টি কয়লাখনি রাজ্যের হাতে এসেছে। নয়া কয়লার ব্লকগুলি হল-পঞ্চওয়ারা (উত্তর), বড়জোরা, বড়জোরা (উত্তর), গঙ্গারামচক-বাদুলিয়া এবং কাস্তা (পূর্ব) এবং তারা (পূর্ব ও পশ্চিম)।

বিদ্যুৎমন্ত্রী বলেন, “খনিগুলিতে যে পরিমাণ কয়লা সঞ্চিত আছে তা দিয়ে ২০২৫ সাল পর্যন্ত নিশ্চিন্তে রাজ্যের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। আর যদি যন্ত্রাংশ ও প্রযুক্তি আরও উন্নত করা যায় তবে হয়তো আরও কিছুদিন বাড়তি জোগান দেওয়া যাবে এই কয়লা খনিগুলি থেকে।”