সাম্প্রতিক খবর

জুলাই ১৪, ২০১৮

বনসৃজনে এগিয়ে বাংলা

বনসৃজনে এগিয়ে বাংলা

রাজ্য বন দপ্তরের নিরলস প্রচেষ্টায় বনসৃজনে সাফল্য এসেছে গত সাত বছরে। তিনটি ক্ষেত্রে এসেছে বিরাট পরিবর্তন। এই ক্ষেত্রগুলি হল, বন ও গাছের সংখ্যা, বন রক্ষা কমিটিকে দেওয়া অর্থের পরিমাণ এবং রাজস্ব আদায়।

বন ও গাছের সংখ্যা – রাজ্যে মোট বনাঞ্চলের আয়তন ২০১০-১১ সালে ছিল মাত্র ১৭.২৭ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে এই সংখ্যাটি বেড়ে হয়েছে ২১.৩৫ শতাংশ।

বন রক্ষা কমিটিকে প্রদান করা অর্থ: ২০০৪-০৫ থেকে ২০১০-১১ সালে এই পরিমাণ ছিল ৬৬.১৭ কোটি টাকা, যা ২০১১-১২ থেকে ২০১৭-১৮ সালে বেড়ে হয়েছে ১৬৭.২৫ কোটি টাকা।

রাজস্ব আদায়: ২০১০-১১ সালে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ৭৫.৪৯ কোটি টাকা যা ২০১৭-১৮ সালে বেড়ে হয়েছে ১৩৫.৩৩ কোটি টাকা।

গত সাত বছরে রাজ্যের মোট ভৌগলিক এলাকার শতাংশ হিসেবে বনাঞ্চলের আয়তন বেড়েছে। এই মুহূর্তে বাংলায় মোট বনাঞ্চল ১২১০২ বর্গ কিলোমিটার। ২০১০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে বনাঞ্চল বেড়েছে ৩৮১০ বর্গ কিলোমিটার, বা ৪.২৯ শতাংশ যা দেশের অন্যতম সর্বোচ্চ। এবং এই বৃদ্ধির হার ক্রমবর্ধমান। এই সাফল্যের মূল কারণ রাজ্য সরকারের উদ্যোগে নিয়মিত বৃক্ষরোপণ।

২০১১-১২ থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে ফরেস্ট ডিরেক্টরেট ৭২৯৬৭ হেক্টর বনাঞ্চলে বৃক্ষরোপণ করেছে। এছাড়াও ভূমি ও আর্দ্রতার সংরক্ষণ করেছে। ২০১৮-১৯ সালে আনুমানিক ১০০০০ হেক্টর বনভুমিতে বৃক্ষরোপণ করা হবে। ১০০টি আধুনিক নার্সারি তৈরী করা হয়েছে। বিভিন্ন বনাঞ্চলে ২০টি টল সিডিং নার্সারি তৈরী করা হবে।

বন রক্ষা কমিটিকে দেওয়া অর্থ আড়াই গুণ বেড়েছে এবং তাদের কাজের জন্য দেওয়া হয়েছে স্বীকৃতিও। রাজস্ব আদায় প্রায় দ্বিগুন হয়েছে এবং উন্নয়নের জন্য অনেক নতুন জায়গা খুঁজে বার করা হয়েছে।

বন দপ্তর ২০১৭ থেকে ২০৩০ এর জন্য ভিশন ও মিশন ডকুমেন্ট তৈরী করেছে।