জুলাই ৫, ২০১৮
একদিনে ৫০ লক্ষ চারা পোঁতা হবে বনমহোৎসবে

এবারের বনমহোৎসবের স্লোগান ‘অরণ্য ও বন্যপ্রাণ, প্রকৃতি মায়ের সবুজ দান’। স্লোগানটি লিখেছেন প্রকৃতিপ্রেমী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী পরিবেশ ও জলাভূমি সংরক্ষণের ওপর বিশেষ জোর দিয়েছেন।
১৪ই জুলাই শুরু হচ্ছে ৭ দিন ব্যাপী বনমহোৎসব। বনমন্ত্রী বলেন, ১৪ই জুলাই সারা রাজ্যে ৫০ লক্ষ গাছের চারা পোঁতা হবে। নতুন জেলা ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের সাঁকরাইলে এই উৎসবের সূচনা করবেন পরিবেশমন্ত্রী।
এই ৫০ লক্ষ গাছের মধ্যে ১৫ শতাংশ ফলের গাছ। বিভিন্ন জেলার মাটির চরিত্র বুঝে গাছের চারা লাগানো হবে। রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভার বিধায়কদের ১ হাজার করে গাছের চারা দেওয়া হবে।
প্রকৃতি ও গাছের রক্ষণাবেক্ষণ ও যত্ন এলাকার সব মানুষকেই করতে হবে। সেই সঙ্গে স্কুল, কলেজ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, অফিস, ক্লাব যাঁদের জমি আছে, গাছের চারা দেওয়া হবে। বনদপ্তরে কাউন্টার খোলা হয়েছে। কলকাতার গাছপ্রেমীরা সেখান থেকে মনের মতো গাছ কিনতে পারবেন। গাছের চারার দাম ২ টাকা করে ধার্য করে হয়েছে। এছাড়া বন দপ্তরের মধু, সিট্রোনেলা ওয়েল বিক্রি করা হবে ১০শতাংশ ছাড়ে।
কলকাতায় নিমগাছ লাগানো হবে বেশী করে। কারণ, বনৌষধী হিসেবে এই গাছের গুরুত্ব অপরিসীম। এছাড়া শক্তপোক্ত গাছ লাগানো হবে যাতে ঝড় বৃষ্টিতে চট করে গাছ না পড়ে যায়। বিভিন্ন জেলায় ফলের গাছের পাশাপাশি লাগানো হবে শাল, সেগুন, মেহগনি ও শিশু। গোটা রাজ্যকেই সবুজ মলাটে মুড়ে ফেলার পরিকল্পনা রাজ্যের।
এছাড়া, বীরভূমে ইলামবাজারে একটি অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা হয়েছে। পরিবেশ সচেতনতা ও জলাভূমি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে সচেতনতার প্রসার ঘটানো হবে। বনমন্ত্রী বলেন, অযথা গাছ কাটবেন না। গাছ কাটতে হলে বনদপ্তরের অনুমতি নিতে হবে। একটা গাছ কাটলে অন্তত ১০তা গাছ লাগাতে হবে।
যারা গাছের চারা রোপণ করে ভালোভাবে বড় করতে পারবেন এবং যে সব বনকর্মী গাছ বড় করার ক্ষেত্রে দক্ষতার পরিচয় দেবেন, তাদের পুরস্কার দেওয়া হবে। প্রথম পুরস্কার ১ লক্ষ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৭৫ হাজার ও তৃতীয় পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা। সেই সঙ্গে বনদপ্তর ‘বনবীথি’ একটি বিশেষ ম্যাগাজিন প্রকাশ করবে।
সৌজন্যেঃ- আজকাল