জুলাই ৬, ২০১৮
দেশভিত্তিক রপ্তানি নীতি নিতে চলেছে রাজ্য সরকার

রাজ্যের রপ্তানি বাড়াতে দেশভিত্তিক নীতি গ্রহণ করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগম। এর ফলে যে শুধু নতুন বাজার খুলে যাবে তাই নয়, রাজ্যের অর্থনীতির ভিতও আরও মজবুত হবে।
রপ্তানি নীতিতে আরও গতি আনতে, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই নতুন দেশ ও নতুন বাজার চিহ্নিতকরণের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। এর ফলে নানা দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরালো হবে।
এই নতুন নীতি কার্যকর করতে পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগম প্রতিটি দেশের ব্যাপারে বিশদে সমীক্ষা চালাবে। সেই জন্য নিগমের আধিকারিকরা বিভিন্ন দেশের কন্স্যুল জেনারেলদের সঙ্গে বৈঠক করবে, তাদের চিন্তাধারা বা মতামত জানতে। পাশাপাশি সেই দেশগুলিকে রাজ্যের নতুন রপ্তানি নীতির ব্যাপারে অবহিত করা যাবে।
দামী ধাতুর জন্য, রাজ্য সরকার পাখির চোখ করেছে বাংলাদেশ, ঘানা ও বারমুডাকে কারণ এই দেশগুলিতে এই ধাতুর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এই মুহূর্তে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, চীন, সুইজারল্যান্ড ও আরও কয়েকটি দেশে এই ধাতু রপ্তানি করে।
ভারতে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলাই সবচেয়ে বেশী চামড়ার হ্যান্ডব্যাগ রপ্তানি করে। এই ব্যাগ মূলত পাঠানো হয় আমেরিকা, চীন, সুইজারল্যান্ড ও ইটালিতে। এবার রাজ্যের নজরে আছে কাজাকিস্তান, ইরান, কম্বোডিয়া ও লাওস।
বাংলা কুচো চিংড়ি ও চিংড়ির রপ্তানির জন্য বেছে নিয়েছে পেরু, প্যারাগুয়ে, নিকারাগুয়াকে। এই মুহূর্তে রাজ্য আমেরিকা, জাপান ও ফ্রান্স ও স্পেনে এগুলি রপ্তানি করে।
গত সাত বছরে রাজ্যের রপ্তানি বেড়েছে ১১.১৭ শতাংশ, যা জাতীয় রপ্তানি বৃদ্ধির হারের থেকে অনেক বেশী। রাজ্য সরকার বড় ও মাঝারি ব্যাবসায়ীদের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রাখে এবং রপ্তানি বাড়ানোর জন্য সবরকম সাহায্য করে।
শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী অমিত মিত্র সম্প্রতি রপ্তানির সাথে যুক্ত বিভিন্ন কর্তাব্যক্তিদের সাথে একটি বৈঠক করেন তাদের সমস্যা জানতে। সেই বৈঠকে মন্ত্রী জানান যে আগামী তিন বছরের মধ্যে রাজ্য রপ্তানির পরিমাণ দ্বিগুন করতে চায়।