সাম্প্রতিক খবর

জুলাই ১৫, ২০১৮

ই-ওয়ে বিলে ছাড় পরিধানশিল্পে

ই-ওয়ে বিলে ছাড় পরিধানশিল্পে

পোশাক শিল্পে যুক্ত পাঁচ লক্ষ শ্রমিক ও ব্যাবসায়ীর স্বার্থে জিএসটি’র ই-ওয়ে বিলে ছাড় দিল রাজ্য। পোশাক, পরিধান শিল্পের উৎপাদনকারী অ্যাসোসিয়েশনের এক সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন রাজ্যের অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের হস্তশিল্পী ও কর্মীদের সঙ্গে জড়িত ব্যবসা ই-ওয়ে বহির্ভূত হিসেবে ধরা হবে। অর্থাৎ কোনও মালিক যদি কর্মীদের কোনও দ্রব্য দেন বা একইভাবে কর্মীরা মালিককে দেন সেক্ষেত্রে ই-ওয়েবিল দরকার হবে না। একইভাবে কর্মীরা নিজেদের মধ্যে সামগ্রী দেওয়া নেওয়া করলেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। এছাড়াও রাজ্য সরকার বাণিজ্যিক সংস্থার জন্য ই-ওয়েবিল জমা দেওয়ার সীমা ৫০হাজার থেকে বাড়িয়ে এক লক্ষ করেছে।

অমিত মিত্র জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার মেটিয়াবুরুজ ও খিদিরপুর এলাকার পোশাক পরিধান শিল্পে যুক্ত কর্মীদের আয়বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সচেষ্ট। ৬ বছরের মধ্যে মাসিক ১২ হাজার থেকে আয় বেড়ে হয়েছে ২০ হাজার টাকা। নুঙ্গিতে ৯ লক্ষ বর্গফুটের অ্যাপারেল হাব তৈরী হচ্ছে। খুব দ্রুত এটি চালু হবে। এছাড়াও, সন্তোষপুরে দশ হাজার বর্গফুটের গারমেন্ট পার্ক চলতি বছরেই চালু হবে।

মন্ত্রী বলেন, মেটিয়াবুরুজের পাঁচ লক্ষ কর্মীর মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ কর্মী অসংগঠিত ক্ষেত্রের। জিএসটি প্রসঙ্গে মন্ত্রীর বক্তব্য, বেশিরভাগ সময়েই কাউন্সিলে একা লড়তে হয়েছে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে রাজ্যের দাবী মানতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্র। আগাম প্রস্তুতি না নিয়ে তাড়াহুড়ো করে জিএসটি লাগুর সমালোচনাও করেছেন মন্ত্রী।