জুলাই ১৮, ২০১৮
অর্থ কমিশনের ভূয়সী প্রশংসা পেল রাজ্য

শিক্ষা, স্বাস্থ্যের মতো মানবসম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রে গত কয়েক বছরে অসামান্য কাজ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার, মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠকের পর এই মন্তব্য করেন অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান নন্দকিশোর সিংয়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছেন, ‘খুবই সদর্থক আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন ইস্যুতে পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা হয়েছে। আমাদের আশা, ঋণের বোঝা কমানোর কথা বিবেচনা করবে কমিশন।’
অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান এন কে সিং এদিন বলেছেন, ‘আলোচনায় উঠে এসেছে ৫–৬টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গত বেশ কয়েকবছরে অসামান্য উন্নয়নমুখী কাজ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। বিশেষত স্বাস্থ্য, শিক্ষার সঙ্গে রাজস্ব আদায়ে। জিডিপি হারও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। যার প্রত্যক্ষ ফলাফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ ঘটেছে।’ তাঁর কথায়, ‘পশ্চিমবঙ্গ যেভাবে এগিয়েছে, কর্মসংস্থান, তথ্য প্রযুক্তি ও চর্মশিল্পে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। উদাহরণ সৃষ্টি করেছে সারা দেশেই।’
তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত ৭ বছরে ২ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকা সুদ ও আসল–সহ ফেরত দিতে হয়েছে কেন্দ্রকে। চলতি আর্থিক বছরেই ৪৬ হাজার কোটি টাকা দিতে হয়েছে।বিপুল ঋণের বোঝা নিয়েও রাজস্ব আদায় দ্বিগুণ করা হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানীয় জল, রাস্তা, বিদ্যুৎ, নারী ও শিশু কল্যাণ প্রকল্পে ৯০% রাজ্যবাসী সুবিধা পাচ্ছে। কেন্দ্র আলোচনা ছাড়াই বহু প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছে। পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের অনুদান কমিয়ে সমস্যায় ফেলা হয়েছে রাজ্যকে। রাজস্ব ঘাটতি অনুদান, পরিকাঠামো, প্রশাসনিক সংস্কার, জলাভূমি ও বনাঞ্চল রক্ষা এবং পঞ্চায়েত ও পুরসভার উন্নয়নে অনুদান আরও বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফ থেকে।
এন কে সিং আশ্বাস দিয়েছেন, এর স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করা হবে। ঋণ মকুব বা পুনর্গঠনের ব্যাপারে সুপারিশ করব আমরা।