জুলাই ১৫, ২০১৮
কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাচ্ছে কৃষি বিপণন দপ্তর

২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার জোর দিয়েছেন কৃষি বিপণনের ওপর। নিয়েছে একগুচ্ছ প্রকল্প। এর ফলে রাজ্যে কৃষি বিপণন পেয়েছে এক নতুন মাত্রা।
এখন দেখে নেওয়া যাক, এই দপ্তর যেসকল প্রকল্পের ওপর ভিত্তি করে সাফল্য অর্জন করেছে, তার কয়েকটি উল্লেখ করা হলঃ
বাজারের পরিকাঠামো তৈরী
রাজ্য কৃষি বিপণন বোর্ড ও বিভিন্ন জেলা পরিচালিত বাজার সমিতির সাহায্যে কৃষি বিপণন দপ্তর বাজারের পরিকাঠামো তৈরী করছে ও রক্ষণাবেক্ষণ করছে। এই পরিকাঠামো তৈরীর মধ্যে আছে রাজ্য জুড়ে বাজারের সঙ্গে সংযোগকারী রাস্তা, প্রাথমিক, দ্বিতীয় ও টার্মিনাল বাজার তৈরী, নিলামঘর তৈরী যার মাধ্যমে কৃষিজ উৎপাদনের বিপণন সহজ, তাড়াতাড়ি ও স্বচ্ছ হয়। ২০১৭-১৮ সালে ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৫টি প্রকল্প শুরু করা হয়েছে। ২০১৮-১৯ সালে আরও বাজারের পরিকাঠামো তৈরীর জন্য ১৪৬.৫৫ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
হিমঘর
ওয়েস্ট বেঙ্গল কোল্ড স্টোরেজ (লাইসেন্সিং ও রেগুলেশন) অ্যাক্ট, ১৯৬৬ অনুসারে কৃষি বিপণনের অধিদপ্তর হিমঘর তৈরীর জন্য লাইসেন্স প্রদান করে ও তাদের কার্যকলাপের ওপর পরিদর্শন ও নজরদারি করে। এই মুহূর্তে রাজ্যে ৫৬৮টি হিমঘর আছে, সব মিলিয়ে এই হিমঘরগুলির মজুত রাখার ক্ষমতা ৭৭.৮৩ লক্ষ মেট্রিক টন।
আমার ফসল আমার গোলা
দুর্বল পরিকাঠামোর জন্য ফসল তোলার পরে ফল ও আনাজের ক্ষতি কমাতে ‘আমার ফসল আমার গোলা’ প্রকল্প নিয়েছে কৃষি বিপণন দপ্তর। এই প্রকল্পে, যোগ্যতাসম্পন্ন কৃষকরা আর্থিক সহায়তা পাবেন মজুত করার ক্ষমতার উন্নয়নের জন্য। কৃষকরা ৫০০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা পাবে ঐতিহ্যবাহী সংগ্রহস্থল গঠন, ১৭৩২৯ টাকা পাকা সংগ্রহস্থল গঠন এবং ৩২৩৮৯ টাকা পেঁয়াজের সংরক্ষণের জন্য। এ বছর থেকে পোর্টেবল পলিথিন ধানের গোলা ও চাতাল বিতরণ করা হচ্ছে।
আমার ফসল আমার গাড়ি
এই দপ্তরের আরও একটি প্রকল্প হল, ‘আমার ফসল আমার গাড়ি’। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ফসল তোলার পরে ফল ও আনাজের ক্ষতি কমাতে মসৃণ পরিবহন ব্যবস্থার। এই প্রকল্পে ১০০০০ টাকা আর্থিক সাহায্য করা হয় রিকশা ভ্যান তৈরী করার জন্য। এই টাকা কৃষকদের কিষাণ ক্রেডিট কার্ড আকাউন্টে সরাসরি দেওয়া হয়। ২০১৭-১৮ সালে ২.০৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে এই বাবদ। ২০১৮-১৯ সালে এই বাবদ ৬.২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।