সাম্প্রতিক খবর

অক্টোবর ১, ২০১৯

মণ্ডপে মণ্ডপে ‘ফায়ার বল’ রাখার পরামর্শ দমকলমন্ত্রীর

মণ্ডপে মণ্ডপে ‘ফায়ার বল’ রাখার পরামর্শ দমকলমন্ত্রীর

পুজোর উদ্যোক্তাদের এবার মণ্ডপে অগ্নি নির্বাপক ‘ফায়ার বল’ রাখার পরামর্শ দিলেন দমকলমন্ত্রী। দমকল দপ্তরে একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ছোটখাট আগুন নিয়ন্ত্রণ বা নেভানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করবে এই ফায়ার বল।

দমকলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে কাঠ, কাগজ, তেল, গ্যাস বা বৈদ্যুতিক তারে আগুন লাগলে, তা দ্রুত নেভানোর ক্ষেত্রে এই বল বিশেষভাবে কার্যকর। মণ্ডপগুলিতে অগ্নিনির্বাপণ বিধি মানা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে মণ্ডপ পরিদর্শন করবেন দমকলমন্ত্রী-সহ ডিজি ও আধিকারিকেরা।

এই বলগুলির ওজন ১ কেজি ৩০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ৫০০ গ্রাম। এগুলির এক একটির দাম প্রায় ৩,৬০০ টাকা। আগুনের মধ্যে এই বলটিকে ছুঁড়ে দিতে হবে। ৩ থেকে ১০ সেকেন্ডের মধ্যে তা ফেটে যাবে। তখন এর মধ্যে থাকা মনো-অ্যামোনিয়াম ফসফেটের গুঁড়ো চেন ব্রেকিং পদ্ধতির মাধ্যমে এবং অক্সিজেন কমিয়ে আগুন নিভিয়ে দিতে সক্ষম হবে। বৈদ্যুতিক সার্কিট বাক্স, গ্যাস গুদাম, কম্পিউটার সার্ভার রুমে এই ফায়ার বল ব্যবহার করা যাবে।

মোট ২২ লক্ষ ৬৮ হাজার ৪০০ টাকা খরচ করে ২ হাজারটি বল দমকল দপ্তর কিনেছে। এগুলি প্রত্যেকটি দমকল কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হবে যাতে সুবিধামতো ব্যবহার করতে পারবেন দমকলের কর্মীরা।

দুর্গাপুজোয় শুধু কলকাতার বড় বড় মণ্ডপই নয়, প্রত্যেকটি জেলার সবক’টি নামকরা পুজোর সংলগ্ন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থলে অস্থায়ী দমকল কেন্দ্র থাকবে। যাতে কোনও সময় অগ্নিকাণ্ডের মতো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে, দ্রুত পৌঁছে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। মোট ১৪২টি দমকল কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি অস্থায়ী কেন্দ্র করা হয় পুজো উপলক্ষে। শুকনো বালি, আঁকশি, প্রাথমিক অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র পুজো মণ্ডপে রাখা আবশ্যিক করা হচ্ছে।

সৌজন্যেঃ বর্তমান