সাম্প্রতিক খবর

জানুয়ারী ২৪, ২০২০

বন্যা নিয়ন্ত্রণে মেগা সেচ প্রকল্প অনুমোদন মুখ্যমন্ত্রীর

বন্যা নিয়ন্ত্রণে মেগা সেচ প্রকল্প অনুমোদন মুখ্যমন্ত্রীর

মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বার শপথ নেওয়ার পর থেকেই রাজ্যের পাঁচটি বানভাসি জেলার ফি-বছর জলমগ্ন হওয়ার ছবি বদলে দেওয়ার পরিকল্পনা শুরু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বিশ্বব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তায় জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ বৃহৎ সেচ এবং বন্যা ব্যবস্থাপনার মেগা প্রকল্প। এর ফলে পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি— এই পাঁচ জেলায় বর্ষার মরশুমে পরিচিত জলছবি আমূল বদলে যাবে। সংশ্লিষ্ট এলাকার ২৭ লক্ষের বেশী মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উপকৃত হবেন। যার প্রকল্প ব্যয় প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। 

মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগের ফলে নিম্ন দামোদর অববাহিকার উপর অবস্থিত বিরাট অংশকে সেচ-সেবিত করা সম্ভব হবে। সমস্ত জমিতে সেচের জল পৌঁছনোর বিষয়টি সুনিশ্চিত করা যাবে। বন্যার চিত্র বদলের জন্য চলতি মাস থেকেই ওই পাঁচটি জেলার বানভাসি হওয়ার মূল কারণ – মুণ্ডেশ্বরী ও আমতা চ্যানেলের আমূল সংস্কারের কাজ শুরু হবে। বর্তমানে মুণ্ডেশ্বরীর নাব্যতা একেবারে কমে গিয়েছে। যার জেরে মাইথন-পাঞ্চেত থেকে সামান্য জল ছাড়লেই তা উপচে পড়ে গোটা এলাকা ভাসিয়ে দেয়। 

একই সঙ্গে আমতা চ্যানেলের ডানদিকের পাড় দিয়েই প্রথম বর্ষার জল ঢোকে। কিন্তু ওই অংশে উঁচু বাঁধ না থাকাই মূল সমস্যা। এই প্রকল্পে বিপজ্জনক ওই অংশে নতুন বাঁধ তৈরী করা হবে। একই সঙ্গে এলাকায় সেচের জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রকল্পের অন্তর্গত এলাকার প্রতিটি ছোট-বড় খালের পূর্ণ সংস্কার করা হবে। 

২ হাজার ৯৩২ কোটি টাকায় পাঁচ জেলার বানভাসি চিত্র এবং ওই অংশকে সেচ-সেবিত করার কাজ শুরু হচ্ছে। যার মধ্যে ৩৫ শতাংশ দিচ্ছে বিশ্বব্যাঙ্ক, ৩৫ শতাংশ আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক এবং বাকি ৩০ শতাংশ আর্থিক দায় নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলা এই মেগা সেচ প্রকল্প চলবে পাঁচ বছর। 

সৌজন্যেঃ বর্তমান