অক্টোবর ২২, ২০১৯
পাশে সরকার, বাংলা ডিম উৎপাদনে স্বনির্ভরতার পথে

ডিম উৎপাদনে স্বনির্ভরতার পথে বাংলা। আগের থেকে ডিমের উৎপাদন বেড়েছে রাজ্যে। বহু জায়গায় ছোট ছোট খামার তৈরী করা হচ্ছে। কোচবিহার, দুই দিনাজপুর, আলিপুরদুয়ার ও শিলিগুড়িতে কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে। প্রাণীসম্পদ বিকাশ উন্নয়ন নিগমও বাণিজ্যিকভাবে ডিম উৎপাদনে জোর দিয়েছে। গোটা রাজ্যের মধ্যে বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, বাঁকুড়াতেই সবথেকে বেশী ডিম উৎপাদন হয়।
আগামী আর্থিক বছরেই রাজ্যের ডিমের জোগান ও চাহিদার ফারাক অনেক কমে যাবে বলে মনে করছে রাজ্য সরকার। প্রতিদিন রাজ্যে ডিমের চাহিদা প্রায় তিন কোটি। রাজ্যের উৎপাদন দু কোটি। বছরদুয়েক আগে কল্যাণী ও বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় মুর্গী ও হাঁসের খামার তৈরী করে ৬০ কোটি টাকা ব্যয় করেছিল রাজ্য সরকার। বেশ কিছু সরকারি খামারের পরিধি বাড়িয়ে বাণিজ্যিক উৎপাদন করার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
প্রাণীসম্পদ বিকাশ উন্নয়ন দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, উৎসাহ প্রদান স্কীম প্রকল্প ২০১৭ অনুযায়ী ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগে ৮ লক্ষ থেকে ৮০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। ১০ হাজার ডিম–উৎপাদনকারী মুর্গীর খামারের ক্ষেত্রে এই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। শর্তসাপেক্ষে মূলধনী অনুদান ছাড়াও মেয়াদী ঋণের ওপরে সুদে ভর্তুকি, বিদ্যুৎ মাশুলে আংশিক মকুব, এমনকী স্ট্যাম্প ডিউটিতেও ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
সৌজন্যেঃ আজকাল