সাম্প্রতিক খবর

অক্টোবর ৩১, ২০১৯

বাঁকুড়ার ঘোড়ার আদলে ‘পেনড্রাইভ’, ফ্রিজ ম্যাগনেটে ছৌ-মুখোশ

বাঁকুড়ার ঘোড়ার আদলে ‘পেনড্রাইভ’, ফ্রিজ ম্যাগনেটে ছৌ-মুখোশ

পাঁচমুড়া এবং বিষ্ণুপুরের মতো বেশ কিছু জায়গায় পোড়া মাটির ঘোড়া তৈরী হয়। এই শিল্পকে বিশ্বের পর্যটন দুনিয়ায় তুলে ধরতে চাইছে রাজ্য পর্যটন দপ্তর। দপ্তরের উদ্যোগে পোড়া মাটির ঘোড়ার আদলে তৈরী হয়েছে ক্ষুদ্র একটি মডেল। আদতে এই ঘোড়া একটি ‘পেনড্রাইভ’, যার মধ্যে ভরা হয়েছে রাজ্যের পর্যটন মানচিত্র। সেখানে যেমন ঠাঁই পেয়েছে কলকাতা শহরের দুর্গাপুজোর ইতিহাস, তেমনই রয়েছে উপকূল এলাকায় পর্যটন পরিকাঠামো সম্পর্কিত তথ্য। “শো-পিসের” পাশাপাশি ‘ইউটিলিটি প্রোডাক্টও’ বটে এই মডেল।

রেড রোডে ‘পুজো কার্নিভাল’-এ আগত বিদেশি পর্যটকদের হাতে স্মারক হিসাবে তুলে দেওয়া হয়েছে ওই ‘পেনড্রাইভ’। দেশ-বিদেশে পর্যটন দপ্তর আয়োজিত বিভিন্ন মেলায় বিনামূল্যে সেগুলি দেওয়া হবে পর্যটকদের। ‘‘এতে পোড়া মাটির ঘোড়ার বাজার এবং বাঁকুড়ার পর্যটন সম্ভবনা—দুই-ই বাড়বে,’’ দাবি পর্যটন দপ্তরের আধিকারিকের। তাঁর সংযোজন, ‘‘রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে থাকা পর্যটন দফতরের ৩২টি ট্যুরিস্ট রিসর্ট এবং অনেক বেসরকারি রিসর্টে আসা পর্যটকদের মধ্যেও বিতরণ করা হবে ওই পেনড্রাইভ।’’

পুরুলিয়ার ছৌ-নাচের মুখোশের আদলে এমনই একটি ‘ইউটিলিটি প্রোডাক্ট’ তৈরীর ভাবনা রয়েছে পর্যটন দপ্তরের। ছৌ-নাচের মুখোশের আদলে একটি ‘ফ্রিজ ম্যাগনেট’ তৈরী করা হবে। সেটিও বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে পর্যটকদের মধ্যে। ছৌ-নাচ সম্পর্কে উৎসাহ বাড়লে পর্যটনস্থল হিসাবে পুরুলিয়ার গুরুত্ব বাড়বে।

পর্যটন দপ্তরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘পর্যটন সম্পর্কিত তথ্যের প্রয়োজন হলেই ওই পেনড্রাইভ ব্যবহার করবেন পর্যটকেরা। এতে পোড়ামাটির ঘোড়া সম্পর্কে আগ্রহ বাড়বে। আবার পর্যটনস্থল হিসাবে বিষ্ণুপুরের গুরুত্বও বাড়বে। বিনামূল্যে এ ধরনের জিনিস বিতরণ করলে তাদের খুব একটা লোকসান হবে না। যাঁরা এই দ্রব্যগুলি পাবেন, তাঁদের মাধ্যমে অনেককে পোড়া মাটির ঘোড়া বা ছৌ-নাচ সম্পর্কে আগ্রহী করা যাবে, যা পর্যটন শিল্পের প্রসারে অনুঘটকের কাজ করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।’’