Latest News

December 1, 2025

SIR-এ ৪০ জন মারা গেছে, এটা নাটক? : অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

SIR-এ ৪০ জন মারা গেছে, এটা নাটক? : অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ সেবাশ্রয় ২-র উদ্বোধন করেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই অনুষ্ঠানে ওনার রাজনৈতিক বক্তব্যের কিছু অংশ:

সংসদে বিরোধীরা খুবই সহজ সরল দাবি তুলেছে, যাতে SIR বা ভোটার তালিকা সংস্কার নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়। সেটাকে ‘নাটক’ আখ্যা দেওয়াটা মেনে নেওয়া যায় না। যারা ক্ষমতা রয়েছে তাঁরা যদি মনে করে, ন্যায় সঙ্গত প্রশ্ন করাটা নাটক, তাহলে মানুষেই এর জবাব দেবে আগামী নির্বাচনে। রাজ্য সরকার বা নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের সঙ্গে কথা না বলে, কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই এই SIR চালু করার ফলে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যে BLO-দের নির্বাচন কমিশন নিয়োগ করেছে, তাঁরাই নিজেদের আত্মহত্যার কারণ হিসেবে কমিশনের দিকে আঙুল তুলেছেন। SIR-এ ৪০ জন মারা গেছে, এটা নাটক? কেন্দ্রীয় সরকার, বিজেপি, আইনমন্ত্রী এবং নির্বাচন কমিশনের উচিত এর জবাব দেওয়া।

৪০ জন প্রাণ হারিয়েছে, এখানে কেন্দ্র দায়িত্ব নিচ্ছে না কেন? মানুষ লাইনে দাঁড়াতে ভয় পায় না, কিন্তু এর কোনও গুরুত্ব আছে? দশ বছর আগে নোট বাতিলের সময় মানুষ লাইনে দাঁড়িয়েছিল, ভেবেছিল বুঝি কালো টাকা দেশে ফিরবে, কিন্তু সেটা তো হয়ইনি। উল্টে কালো টাকা আরও বেড়েছে। সন্ত্রাসবাদীরা সীমান্ত দিয়ে দেশে ঢুকছে, সেই সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্র, তাহলে কেন্দ্রের দায়বদ্ধতা কোথায়? দেশের রাজধানীতে সন্ত্রাস হামলা হচ্ছে, কেন্দ্রের দায়বদ্ধতা কোথায়? ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে স্রেফ অপরিকল্পিত SIR-এর ফলে, এখানে কোথায় দায়বদ্ধতা?

এরা ক্ষমতা চায়, কিন্তু জবাবদিহি করতে চায় না। এই সমীকরণ ভয়ঙ্কর। বিরোধীদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে এটা নিশ্চিত করা যে সরকার আইন মেনে কাজ করছে, কিন্তু এই কেন্দ্রীয় সরকার সেটা করছে না। বিধানসভা নির্বাচনে কোনও রাজ্যে জিতছে মানেই তাঁরা জবাবদিহির ঊর্ধ্বে চলে যাচ্ছে, তা নয়। মানুষ যদি জনমত দিতে পারে, তাহলে তাঁরা সেটা প্রত্যাহারও করে নিতে পারে। সংসদ চলা উচিত, কিন্তু সরকার কেন SIR নিয়ে আলোচনা করতে এত ভয় পাচ্ছে? কী আড়াল করতে চাইছে তাঁরা?

বিরোধীরা যদি দাবি করে, SIR-এ ৪০ জনের মৃত্যু নিয়ে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন, তাহলে সেটা নাটক হয়ে যাচ্ছে? পহেলগাঁওতে হামলা নিয়ে আলোচনা চাইলেও সেটা নাটক হয়ে যায়? দিল্লিতে বিস্ফোরণ নিয়ে আলোচনা চাইলেও তা নাটক হয়ে যায়? MGNREGA, জল জীবন মিশন, আবাস যোজনায় বাংলা কেন্দ্রের থেকে প্রায় ১.৯৪ লক্ষ কোটি টাকা পায়, সেটাও নাটক? মানুষ কি তাহলে বিচার চাইবে না?

এই মাটির একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে এটা কি আমার দায়িত্ব নয়, মানুষের হয়ে জবাব চাওয়া। নির্বাচন কমিশনের অপদার্থতার জন্য যদি ৪০ জনের মৃত্যু হয়ে থাকে, তাহলে কি সংসদকে জবাব দেওয়া উচিত নয় কমিশনের?

আমরা বারবার বলেছি, SIR কখনই ২ মাসের মধ্যে শেষ করা সম্ভব নয়। এখন কেন্দ্র নিজে থেকেই সময়সীমা বৃদ্ধি করেছে, এটার মানে কি বোঝাচ্ছে না, যে আমরাই ঠিক ছিলাম? কোন অহঙ্কারের জন্য নিজেদের ভুল স্বীকার করতে চাইছে না তাঁরা? তাঁরা ৬ মাস বা ১ বছর নিলেও আমাদের কোনও সমস্যা নেই। আমাদের সমস্যা পরিকল্পনাহীন বাস্তবায়ন নিয়ে। BLO-দের প্রশিক্ষণ হয়নি, অ্যাপে সমস্যা রয়েছে। BLO-দের বলা হচ্ছে সব এক দিনেই ডিজিটাইজ করার জন্য। ত্রুটিগুলোর সমাধান করা হচ্ছে না। প্রক্রিয়া শুরুর আগে তাঁদের নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি, এমনকি অনেক জায়গায় ২০০২-এর ভোটার তালিকাও পাওয়া যাচ্ছে না। এটা কার ব্যর্থতা? আর আলোচনা চাইলেই বলছে এটা নাকি নাটক হচ্ছে।

আমি যদি আমার এনুমারেশন ফর্ম ফিল আপ করি, তাহলে আমি চাই কেন্দ্রীয় সরকার এবং মুখ্য নির্বাচন কমিশনার লিখে দিক ১৪০ কোটি জনগণকে, যে SIR প্রক্রিয়া ত্রুটিমুক্ত থাকবে, আর তারপরেও যদি কোনও অবৈধ ভোটার থাকে তাহলে সরকার পদত্যাগ করবে। ওরা যদি দায়িত্ব নিতে রাজি হয়, তাহলে আমরা আর কোনওরকম আলোচনা চাইব না।

নোট বাতিলের সময় প্রধানমন্ত্রী ৫০ দিন সময় চেয়েছিল কালো টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য, বলেছিল টাকা ফেরাতে না পারলে তিনি সব শাস্তি মাথা পেতে নেবেন। ৩,৬৫০ দিন হয়ে গেছে এখনও কালো টাকা ফেরেনি। এখন সরকার দায় এড়াচ্ছে। যদিও অনুপ্রবেশ আটকাতেই SIR হয়ে থাকে তাহলে আগে জানাও যে কীভাবে অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকল এদেশে? সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে কারা রয়েছে?

তোমরা দাবি করছ যে ভোটার তালিকা অবৈধ এবং তাতে কারচুপি রয়েছে, তাই SIR দরকার। তার মানে তো ভোটাররা অবৈধ, কিন্তু সেই ভোটারদের ভোটে জেতা সরকার কীভাবে বৈধ হয়? ? যদি ভোটাররা অবৈধ হয়, তাহলে তাঁদের ভোটে জেতা সরকারও অবৈধ। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত এর দায় নিয়ে পদত্যাগ করা এবং লোকসভা বাতিল দেওয়া, তারপর SIR করা।

নোটবন্দির সময় কি প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে লাইনে দাঁড়াতে দেখেছ? শুধুমাত্র সাধারণ মানুষ লাইনে দাঁড়িয়েছিল। কমপক্ষে ১৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর জন্য কি কেন্দ্রীয় সরকার দায়ী নয়? ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলার ২ লক্ষ কোটি টাকা আটকে রেখে দিয়েছে কেন্দ্র

গোটা দেশ জুড়ে বাঙালি অত্যাচারিত হচ্ছে। অনেককে ধরে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও সরকার তাঁদের ফিরিয়ে আনেনি। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে MGNREGA -র কাজ শুরু করার কিন্তু কেন্দ্র এখনও সেই নির্দেশ কার্যকর করেনি। আর আমরা যেই আলোচনা চাইছি, তখনই সেটা হয়ে যাচ্ছে ‘নাটক’। যাদের কোনও সদুত্তর নেই, তাঁদের কাছেই এটা নাটক।

খাতায় কলমে জিডিপি-র সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষকে জিজ্ঞাসা করে দেখ, তাঁদের জীবনে শেষ ১০ বছরে বা শেষ ১ বছরেও কোনও পরিবর্তন হয়েছে কিনা। সরকারের উচিত সংসদে জানানো, কোন তথ্যের ভিত্তিতে তাঁরা এই হিসাব করছে। আদৌ কি সত্য তথ্য ব্যবহার হচ্ছে? জনগণের উত্তর পাওয়া দরকার।

BLO-দের জাতীয় নির্বাচন কমিশন নিয়োগ করেছে। এখন BLO-রা আত্মহত্যা করছে আর তার কারণ হিসেবে নির্বাচন কমিশন আর মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে দায়ী করছে। আর সেটা নিয়ে আলোচনা চাইলেই সেটা নাটক হয়ে যাচ্ছে?

ন্যায্য প্রশ্নকে নাটক করাটা ঔদ্ধত্যের পরিচয়। আমি যদি ক্ষমতায় থেকে থাকি, তাহলে আমি কেন আলোচনা করতে ভয় পাব? ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে, আর তাঁরা নির্বাচন কমিশনকে এর জন্য দায়ী করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলছেন, এটা নাকি নাটক। উনি বলতে চাইছেন, মানুষের মৃত্যুটাও একটা নাটক। সরকারের কাছে এই মানুষগুলোর জীবনের কোনও দাম নেই।

জিএসটি কার্যকর হওয়ার পর বাংলা থেকে কত টাকা নিয়ে গেছে, সেটা বিজেপির থেকে জানতে চাওয়া উচিত। শেষ ৭ বছরে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বাংলা থেকে ৬,৫০,১২৫ কোটি টাকা কর বাবদ নিয়ে গেছে, যেখানে বাংলার প্রাপ্য ২ লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া রেখে দিয়েছে। একঝলকে হিসাব দেখে নিন-

* ২০১৭-১৮- ৬৩, ৪০৭ কোটি
* ২০১৮ -১৯- ৮৪, ৪১৯ কোটি
* ২০১৯-২০- ৮৪, ০১৫ কোটি
* ২০২০-২১ – ৮০, ০০৪ কোটি
* ২০২১-২২- ১, ০১, ৬৭৩ কোটি
* ২০২২-২৩- ১, ১৩, ৬২১ কোটি
* ২০২৩-২৪- ১, ২২, ৯৮৮ কোটি

শেষ চার বছরে MGNREGA-র কত টাকা আটকে রাখা হয়েছে? বাংলায় ২.৬৪ কোটি জব কার্ড হোল্ডার রয়েছে। এর আগে তাঁরা দাবি করেছিল নাকি দুর্নীতির জন্য টাকা আটকে রাখা হয়েছে। এখন আদালতের নির্দেশের পরেও তাঁরা সেই নির্দেশ অমান্য করছে। এর মানে কী?

কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করছে SIR-র দরকার আছে, কারণ বাংলাদেশ থেকে মানুষ এসেছে। তাহলে ত্রিপুরা, মেঘালয়, মিজোরামের মতো যে রাজ্যগুলো বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন, সেখানে SIR হচ্ছে না কেন? বিজেপি নেতারা দাবি করছে, বাংলায় নাকি ১ কোটি রোহিঙ্গা আছে। কিন্তু রোহিঙ্গারা তো একমাত্র অরুণাচল প্রদেশ কিংবা উত্তর-পূর্ব থেকে দেশে ঢুকতে পারে, কারণ বাংলার সঙ্গে মায়ানমারের সীমান্ত নেই। অথছ সেখানে না করে, বাংলায় SIR হচ্ছে। এর আসল উদ্দেশ্য কি? যদি অনুপ্রবেশই মূল সমস্যা হয়, তাহলে যেখান থেকে তাঁরা ঢুকছে সেখান থেকে কেন এই SIR শুরু হল না?

যখনই বিরোধীরা বাংলার কোনও বিষয়ে দাবি তোলে, তখনই সেটা নাটক আখ্যা দেওয়া হয়। নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দার জন্য বাংলায় SIR করে এখানকার মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার করে।

যারা বলেছে SIR-র পর তৃণমূল কংগ্রেস থাকবে না, আমি তাঁদের চ্যালেঞ্জ করছি। আগামী নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটের শতাংশ এবং আসন, দুইই বৃদ্ধি পাবে। যদি সেটা না হয়, তাহলে যা শাস্তি দেবে আমি মাথা পেতে নেব। কিন্তু যদি সেটা হয়, তাহলে বিজেপিকেও এক সপ্তাহের মধ্যে ২ লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া মেটাতে হবে। যদি সাহস থাকে, এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন।

মুখ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আমাদের প্রতিনিধি দল গিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা ছিল, কিন্তু কমিশন আমাদের পাঁচটা প্রশ্নের একটিরও উত্তর দিতে পারেনি। আমি নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ করছি, আমাদের কাছে সাক্ষ্য প্রমাণ আছে। কমিশন যদি মনে করে তাঁদের মধ্যে সততা আছে, আর তাঁদের কাছে আমাদের প্রশ্নের উত্তর রয়েছে, তাহলে তার উত্তর দিক প্রকাশ্যে। তারপর আমরা আদালতে নিয়ে যাব। ওদের তিন দিন লাগুক বা তিন মাস, ওরা উত্তর দিক। কিন্তু ওরা তিন বছরেও এর উত্তর দিতে পারবে না, কারণ বাংলার সঙ্গে ওরা অন্যায় করেছে।

বিজেপি নেতাদের কমিশনকে টার্গেট করা প্রসঙ্গে: আমরা মানুষের পাশে রয়েছি, জনগণে আমরা বিশ্বাস করি। যারা জনগণের ওপর বিশ্বাস করে না তাঁরা ইডি, সিবিআই, নির্বাচন কমিশন আর আদালতের উপর নির্ভর করে। বিজেপির প্রত্যাশা পূরণে হয়ত ব্যর্থ হয়েছে কমিশন, তাই বিজেপি নেতারা কমিশনের ওপর রুষ্ট। বিজেপি বোধহয় মনে করেছে ইডি, কমিশন দিয়ে ভোটে জেতা যাবে। কিন্তু বাংলা তো আর বিহার বা মধ্যপ্রদেশ নয়।

নির্বাচন কমিশনকে বলে দেওয়া হয়েছে ১ কোটি নাম বাদ দিতে। এই নিয়ে বিজেপি নেতারাই কথা বলেছেন। এই আতঙ্ক এবং ভীতির পরিবেশ কে সৃষ্টি করেছে?

এমন কি PRI নির্বাচনেও আমরা দেখেছি নির্বাচন কমিশন আধা সামরিক বাহিনী দিয়ে ভোট করিয়েছে, কিন্তু তাতে কি হয়েছে? ওরা চেয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাথা নিচু করুক, কিন্তু আমরা মাথা উঁচু করেই লড়াই করে যাই। কেন্দ্র আমাদের টাকা আটকে রেখেছে, তাও আবাস যোজনায় আমরা ১২ লক্ষ পরিবারকে ১.২০ লক্ষ টাকা করে দিয়েছি। আমরা সব পরিস্থিতিরই একটা বিকল্প পথ তৈরি রাখি। আবারও মাননীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিশ্চিত করেছে, যে রাজ্য সরকার আবাস যোজনায় টাকা দেবে।

বাংলার মানুষ মনে রাখবে যে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ২৮,০০০ কোটি টাকা খরচ করে ২.৩ কোটি মহিলাকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। এর জন্য বাংলার ওপর কোনও বোঝা চাপায় না। ব্রিটিশরাও বাংলাকে আটকাতে পারে, সেখানে তোমাদের কী ক্ষমতা আছে?

শেষ ৫ বছরে কোথাও শুনেছো বিজেপির পার্টি অফিস ভেঙে পড়ছে? কিন্তু বিহার, মহারাষ্ট্রে সব সময়ই শুনবে নাকি ব্রিজ ভেঙে পড়ছে। কেন? কারণ জনগণের উন্নতির স্বার্থে যে টাকা ব্যবহার হওয়া দরকার, তা চলে যাচ্ছে বিজেপির পার্টি অফিসে।

উত্তরপ্রদেশের কম এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে: বাংলাকে অন্য কোনও রাজ্যের সঙ্গে তুলনা করা উচিত নয়। এই কারণেই বিজেপি কোনওদিন বাংলা দখল করতে পারবে না। ১১ বছর ধরে কেন্দ্রে বিজেপি রয়েছে, কিন্তু বাংলার জন্য ওরা এতদিনে কী করেছে? বাংলার যা উন্নতি হওয়ার সেটা হয়েছে মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকাকালীন।

BLO-দের বকেয়া পারিশ্রমিক নিয়ে: নির্বাচন কমিশন এই অভিযোগ করেছে। তিন মাস আগে কমিশন নোটিস জারি করে, যাতে BLOদের পারিশ্রমিক ৬,০০০ থেকে ১২,০০০ করা হয়। কিন্তু এই টাকা কমিশন দেবে না। আমার একটা অনুরোধ আছে, কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্বাচন কমিশন একটা চিঠি লিখে জিজ্ঞাসা করুক কেন বাংলার ২ লক্ষ কোটি টাকা আটকে রেখে দেওয়া হয়েছে? কেন্দ্র যদি আমাদের বকেয়ার অন্তত ১ লক্ষ কোটি টাকাও দিয়ে দেয়, তাহলে আমরা BLO-দের ১২,০০০-এর পরিবর্তে ৬০,০০০ টাকা করে দেব। ওরা আগে ৫০ শতাংশ টাকা তো দিক।

আমি আবারও দাবি জানাচ্ছি এবং নির্বাচন কমিশনকে বলছি, কেন্দ্রকে একটি চিঠি লিখতে বাংলার বরাদ্দ বন্ধ রাখা নিয়ে। সেই চিঠি পাঠানোর ২৪ ঘণ্টা মধ্যে BLO-দের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে যাবে।

নন্দীগ্রাম আসন নিয়ে সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যের পাল্টা: উনি হয়তো ওনার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু পার্টির সিদ্ধান্তই সব, তাই দলই সিদ্ধান্ত নেবে। যেখানে দল আমায় বলবে, আমি সেখান থেকেই লড়ব। সেটা দার্জিলিং হোক কি নন্দীগ্রাম, কিংবা অন্য কোথাও। যদি সুকান্ত মজুমদার এতটাই রাজনৈতিকভাবে পোক্ত হতেন, তাহলে কোনও মতে ৮,০০০ ভোটে জিততেন না।

তৃণমূল-বিজেপির বোঝাপড়া নিয়ে সিপিআই(এম)-কংগ্রেসের বক্তব্যের পাল্টা: এরকম অভিযোগের কোনও উত্তর দেওয়ার মানেই নেই। বরং সিপিআই(এম) মাঠে নেমে SIR নিয়ে কী কাজ করছে, সেটাই দেখা উচিত। ওরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টার্গেট করতে গিয়ে ওদের নিজেদের ভোটই অন্য দলে চলে যাচ্ছে। যারা নিজেদের ভোটার, নেতা বা কর্মীদেরই ধরে রাখতে পারে না, তাঁদের ভাষণ শোনা উচিতই নয়।