সাম্প্রতিক খবর

অক্টোবর ২৪, ২০১৯

মা ও শিশুর স্বাস্থ্য পরিষেবায় একগুচ্ছ পরিকল্পনা রাজ্যের

মা ও শিশুর স্বাস্থ্য পরিষেবায় একগুচ্ছ পরিকল্পনা রাজ্যের

বাংলার রাজ্য সরকার সুন্দরবন এবং জঙ্গলমহলে মা ও শিশু স্বাস্থ্য পরিষেবা মজবুত করতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে যাতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামবাসীরা সকলে ‘সকলের জন্য স্বাস্থ্য’ অভিযানের সুফল লাভ করতে পারেন।

অনেক সময় অসুস্থ রোগীদের ফেরী করে শহরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সমস্যা হয়। এই কথা চিন্তা করেই রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলায় জেলায় মহকুমা স্তরে সকলকে সেরা স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া।

‘সকলের জন্য স্বাস্থ্য’ অভিযানে নেওয়া কিছু পদক্ষেপঃ

ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে একটি নতুন মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব তৈরী হয়েছে এবং আগামী বছরের শুরুতেই এটির চালু হওয়ার কথা। এই হাবের লক্ষ্য দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিপুল রোগীকে পরিষেবা প্রদান করা।

ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সার্বিক উন্নয়ন করা হয়েছে।

জননী শিশু সুরক্ষা কার্যক্রম প্লাসের উদ্যোগে নৌকোর মাধ্যমে পরিবহণকে বেছে নেওয়া হয়েছে।

রাজ্য সরকার ওয়েটিং হাট বা, প্রাক প্রসব হাট তৈরী করছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রসূতি মহিলাদের পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে। এর ফলে প্রসবের আগে ও পরে শিশু ও মায়ের মৃত্যুর হার কমেছে। সন্দেশখালি, পাথরপ্রতিমা ও গোসাবায় ইতিমধ্যেই অনেকগুলি চালু করা হয়েছে।

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট জেলা হাসপাতালে একটি ব্লাড ব্যাঙ্ক চালু হয়েছে এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং মহকুলা হাসপাতালে ও কাকদীপ মহকুমা হাসপাতালে আরও দুটি ব্লাড ব্যাঙ্ক তৈরী হচ্ছে।

বসিরহাট জেলা হাসপাতাল ও ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে দুটি রক্তের উপাদান পৃথকীকরণ কেন্দ্র খোলা হচ্ছে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলায় একটি ট্রমা কেয়ার কেন্দ্র তৈরী করা হচ্ছিল।

রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামে দুটি মেডিক্যাল কলেজ খোলা হচ্ছে।

বেলদার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল এই বছরের ডিসেম্বরে চালু হয়ে যাবে।

জঙ্গলমহল, পুরুলিয়ায় দুটি, বাঁকুড়ায় সাতটি, পশ্চিম মেদিনীপুরে পাঁচটি, ঝাড়গ্রামে তিনটি রোগ নির্ণয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।