January 17, 2014
সরকারি আউটডোরেও এ বার ই-প্রেসক্রিপশন

সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যের ওষুধ জোগানে দুর্নীতি রুখতে ওষুধের বরাত থেকে বিল মেটানো পুরো পদ্ধতি অনলাইনে সেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এ বার সরকারি হাসপাতালের আউটডোরে রোগীরা যাতে নিখরচায় ওষুধ পান, তা নিশ্চিত করতেও স্বাস্থ্য দফতরের সহায় অনলাইন পদ্ধতি।
আর তারই অঙ্গ হিসেবে আসছে অনলাইন প্রেসক্রিপশনের জমানা। দাঁড়ি টানা হচ্ছে আউটডোর টিকিটের উপরে ডাক্তারবাবুদের ওষুধ লিখে দেওয়ার রেওয়াজে। দুটাকার ওই আউটডোর টিকিটই উঠে যাচ্ছে। পরিবর্তে সরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগে শুরু হতে চলেছে রেজিস্ট্রেশন নম্বরের ব্যবস্থা।
সেটা কী রকম? স্বাস্থ্য–সূত্রের খবর: আউটডোরে আসা প্রতি রোগীর জন্য বরাদ্দ হবে একটা রেজিস্ট্রেশন নম্বর। চিকিৎসক রোগী দেখার পরে রোগীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর উল্লেখ করে কম্পিউটারেই প্রেসক্রিপশন লিখবেন, যার একটি প্রিন্ট–আউট সই করে রোগীকে দেওয়া হবে। তা দেখিয়ে হাসপাতালের ফার্মাসি থেকে ওষুধ নিতে হবে। রোগীকে কোন ওষুধ দেওয়া হল বা হল না, ফার্মাসিস্টকে সেটা তৎক্ষণাৎ নথিভুক্ত করতে হবে কম্পিউটারে।
এবং সেই পুরো তথ্য অনলাইনে চলে যাবে স্বাস্থ্য ভবনে। স্বাস্থ্য–কর্তারা মাউসের ক্লিকে জেনে নিতে পারবেন, কোন হাসপাতালে কোন রোগী কী ওষুধ পেলেন, বা পেলেন না। ফার্মাসি কোন ওষুধ রাখছে, বা রাখছে না। কিংবা ডাক্তারবাবু স্টকের ওষুধের বদলে অন্য ওষুধ লিখছেন কি না। কেউ জেনেরিক নামের বদলে ব্র্যান্ড নামের ওষুধ প্রেসক্রাইব করলেও তা ধরা পড়ে যাবে বলে দাবি করছেন স্বাস্থ্য–কর্তারা।
আগামী মাসে হাওড়া জেলা হাসপাতাল, এমআর বাঙুর, এসএসকেএমের গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি এবং এনআরএসের মেডিসিন বিভাগে এর `পাইলট প্রজেক্ট` শুরু হচ্ছে। ধাপে ধাপে এপ্রিলের মধ্যে তা সর্বত্র চালু করা রাজ্যের লক্ষ্য। গোটা প্রকল্পের জন্য ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।