December 3, 2025
যে মানুষটা নাগরিক তাঁকে আবার কেন প্রমাণ দিতে হবে যে সে নাগরিক? : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

SIR এর আবহে বাংলার ভোটারদের অধিকার রক্ষার্থে বুধবার মালদহে সভা করছেন গাজলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভা থেকে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) নিয়েও সরব হন তিনি।
তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশ:
মালদা জেলার মানুষ আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন, ভয় পাবেন না. আমি ভোট চাইতে আসিনি। আপনাদের মনে যে দুশ্চিন্তা, সেই দুশ্চিন্তা দূর করতে এসেছি। আপনাদের পাশে দাঁড়াতে এসেছি। আমি সকলকে বলতে চাই, আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুুন। কেউ ভয় পাবেন না। ভীত হবেন না।
আজীবন লক্ষ্মীর ভান্ডার থাকবে।
আমাদের সব টাকা GST tax এর মাধ্যমে কেন্দ্র কেটে নিয়ে যাচ্ছে।
কেন্দ্রের থেকে বাংলার পাওনা ১ লক্ষ ৮৭ হাজার কোটি টাকা। ওরা টাকা আটকে রেখেছে, তবু আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তাই বাংলার উন্নয়নের কর্মকাণ্ড আটকে দিতে ওরা পরিকল্পিতভাবে এসআইআর এর নামে সব কিছু ভণ্ডুল করতে চাইছে।
স্বাস্থ্য বীমার GST উঠিয়ে নেওয়ার যে ক্রেডিট গদি বাবুরা নিচ্ছেন, এই প্রসেসের জন্য রাজ্য সরকারের তহবিল থেকে কেন্দ্র ২০ হাজার কোটি টাকা কেটে নিয়েছে। এখন সিগারেটের টাকাও নাকি কেটে নেবে।
সারা ভারত দখল করেও লজ্জা নেই, দখল কর কিন্তু গণতান্ত্রিক পথে। জোর করে কিছু দখল করতে গেলে তা জরুরি অবস্থার কথা মনে করিয়ে দেয়।
জোর করে যদি আপনারা জরুরি অবস্থা জারি করতে চান, তবে মানুষ ক্ষমা করবে না। আজ দিল্লিতে ক্ষমতায় আছ, কাল থাকবে না।
গঙ্গা আমাদের হাতে নেই। ভাঙন রোধ কেন্দ্রের হাতে। ভাঙন রোধে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কিছু করেনি, বারবার আমরা জানিয়েছি কিন্তু ওরা এড়িয়ে গেছে।ভাঙন রোধে রাজ্য সরকার ২০০ কোটি টাকা দিয়েছে। বহুবার বলার পরও কেন্দ্রের তরফে ফরাক্কায় ড্রেজিং করা হয় না।
বিহারে ভোটের আগে ১০০০০ করে টাকা দিয়ে ভোট কিনলো বিজেপি, যেই ভোট চলে গেলো বুলডোজার দিয়ে হাজার হাজার মানুষকে উৎখাত করে দিয়েছে।
বাংলায় আমরা শুধু ভোটার সময় রাজনীতি করি না, আমরা সারাজীবন মানুষের সেবা করব।
তাড়াহুড়ো করে এসআইআর চালু করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে ইলেকশন ডিক্লেয়ার হবে, তাই চালাকি করে তিন মাস আগে এসআইআর ডিক্লেয়ার করেছে। এসআইআর করেছেন অমিত শাহ। চালাকির দ্বারা মহৎ কাজ হয় না। যাতে এসআইআর না মানলে গর্ভমেন্ট ফেলে দাও!
তৃণমূল কংগ্রেস SIR এর বিরোধী নয়। কিন্তু যেভাবে তাড়াহুড়ো করে করা হচ্ছে, আমরা তার বিরোধিতা করছি। কিসের এত তাড়াহুড়ো? যে মানুষটা নাগরিক তাঁকে আবার কেন প্রমাণ দিতে হবে যে সে নাগরিক?
আপনাদের কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্পে যেতে হবে না। কারও নাম বাদ যাবে না। আপনারা ভয় পাবেন না। এসআইআরে ফর্ম পূরণ করুন। নয়তো আপনাদের নাম কেটে দেবে। পরিযায়ী শ্রমিকদেরও বলছি ফর্ম পূরণ করতে।
খুব লোভ না বাংলা দখল করার? মনে রেখো, চালাকির দ্বারা কোনও মহৎ কাজ হয় না। যতই চেষ্টা করো বাংলাকে দখল করা যায় না, ওরে হ্যাংলার দল! যতই চেষ্টা করো বাংলা দখল করা অসম্ভব। বিহার আলাদা, বাংলা আলাদা। মনে রেখো, SIR করে তোমরা নিজেদের কবর খুঁড়েছো! ভাবছেন গায়ের জোরে সব কিছু করবেন। জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছেন। কিন্তু মনে রাখবেন, মানুষই কিন্তু শেষ কথা বলে। মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবে না।
কোনও কোনও সাম্প্রদায়িক শক্তি ধর্ম নিয়ে বিভেদ করছে, ওয়াকফ আইন বিজেপি তৈরি করেছে, আমরা করিনি, আমরা বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করেছি। , সুপ্রিম কোর্টে কেস করেছি, এখানে কারও সম্পত্তিতে আমি কাউকে হাত দিতে দেব না, মাজার থানে হাত দিতে দেব না, আমি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করি না। আমি সব ধর্মকে ভালবাসি।
আমি কমিউনাল পলিটিক্স করি না। আমি সেক্যুলার পলিটিক্স করি। সংবিধান মানি। সব ধর্মের সব মানুষকে সম্মান করি। বাংলায় সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করি। তাই এখানে অরাজকতা সৃষ্টি করতে দেব না।
আগামী ১২ ডিসেম্বর থেকে May I help you ক্যাম্প চালু হবে ব্লকসস্তরে