সাম্প্রতিক খবর

এপ্রিল ২৩, ২০১৯

নদীয়া জেলায় উন্নয়নের জোয়ার

নদীয়া জেলায় উন্নয়নের জোয়ার

তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকার নদীয়া জেলার উন্নয়নে অনেক কাজ করেছে। যার ফলে এই জেলা হয়ে উঠেছে উন্নততম জেলাগুলির একটি।

একনজরে দেখে নেওয়া যাক কিছু উন্নয়নমূলক কাজঃ

স্বাস্থ্যঃ ১০টি ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান, সাতটি ন্যায্য মূল্যের রোগ নির্ণয় কেন্দ্র, ১৬টি এসএনএসইউ, চারটি এসএনসিইউ, চারটি সিসিইউ, চারটি এইচডিইউ, একটি মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব, ইন্সটিটিউট অফ পাবলিক হেলথ কল্যাণী তৈরী হচ্ছে। এইমস খোলার জন্য কল্যাণীতে জমি দিয়েছে রাজ্য সরকার।

স্কুলঃ ৩৩৯টি স্কুল তৈরী হয়েছে, ১২৩টি স্কুলকে উন্নীত করা হয়েছে। একটি মডেল স্কুল খোলা হয়েছে।

বৃত্তিঃ ৩.৩৪ লক্ষের বেশী কন্যাশ্রী এই জেলায়, ৪.৭ লক্ষের বেশী পড়ুয়াকে শিক্ষাশ্রীর আওতায় আনা হয়েছে।

উচ্চ শিক্ষাঃ কল্যাণীতে ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়ান টেকনোলজি, ফুলিয়াতে ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ হ্যান্ডলুম টেকনোলজি, মৌলনা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির শাখা, চারটে সরকারি ডিগ্রী কলেজ, ১০টি আইটিআই কলেজ, চারটি পলিটেকনিক কলেজ, গুরুচাঁদ হরিচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা খোলা হচ্ছে।

কিষাণ মান্ডিঃ ১০টি কিষাণ মান্ডি খোলা হয়েছে।

১০০ দিনের কাজঃ ৯.৪২ কোটি কর্মদিবস তৈরী হয়েছে ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের মধ্যে।

আবাসনঃ ১.৯৪ লক্ষের বেশী মানুষ আবাসন প্রকল্পে উপকৃত।

মিশন নির্মল বাংলাঃ নদীয়া জেলা ভারতের প্রথম ঘোষিত নির্মল জেলা। এই কারণে জেলা প্রশাসনকে ২০১৫ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘ জনসেবা পুরষ্কার দেয়।

শিল্পঃ চারটি শিল্প পার্ক, ৭২টি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ক্লাস্টার (৫৩টি হস্তশিল্প ক্লাস্টার, ১৫টি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ক্লাস্টার, চারটি খাদি ক্লাস্টার), কল্যাণীতে তথ্য প্রযুক্তি পার্ক, মসলিন তীর্থ খোলা হয়েছে কৃষ্ণনগর ১ নম্বর ব্লকে, মসলিন তাঁতিদের প্রশিক্ষণ, তাঁত সাথী প্রকল্প শুরু করা হয়েছে, ৪৪৮৭কোটি টাকার ব্যাঙ্ক ঋণ প্রদান করা হয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে।

সড়ক ও সেতুঃ ২৫০০ কিলোমিটারের বেশী রাস্তা নির্মাণ/সারাই/চওড়া করা হয়েছে, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।

পর্যটনঃ ঘুরনিতে আর্ট ও ক্র্যাফট সংগ্রহশালা, পলাশি প্রান্তে কবরস্থানকে পর্যটন কেন্দ্র, নবদ্বীপ এবং মায়াপুরকে হেরিটেজ শহর হিসেবে তৈরী করা হয়েছে।

সামাজিক সুরক্ষা যোজনাঃ অসংগঠিত ক্ষেত্রের সাড়ে ৯ লক্ষের বেশী শ্রমিককে এই যোজনার আওতায় আনা হয়েছে।

কর্মতীর্থঃ ২৬টি কর্মতীর্থ চালু হয়েছে।

খেলাধুলাঃ ২১৫টি মাল্টি জিম, ২২টি মিনি ইন্ডোর স্টেডিয়াম, কৃষ্ণনগর জেলা ক্রীড়াঙ্গন এবং নবদ্বীপ স্টেডিয়াম তৈরী হয়েছে।