এপ্রিল ২৬, ২০১৯
বীরভূম জেলায় অব্যাহত উন্নয়ন

তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকার বীরভূম জেলার উন্নয়নে অনেক কাজ করেছে।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক কিছু উন্নয়নমূলক কাজঃ
স্বাস্থ্যঃ নতুন স্বাস্থ্য জেলা রামপুরহাট তৈরী করা হয়েছে। রামপুরহাটে খোলা হয়েছে মেডিক্যাল কলেজ। তিনটি মাল্টি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল, চারটি ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান, ছটি ন্যায্য মূল্যের রোগ নির্ণয় কেন্দ্র, ১৪টি এসএনএসইউ, তিনটি এসএনসিইউ, তিনটি সিসিইউ, তিনটি এইচডিইউ, চরম অপুষ্টি আক্রান্ত শিশুদের জন্য আঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে পৌষ্টিক লাড্ডু দেওয়া হয়। ঐ শিশুদের সমানে পর্যবেক্ষণ করার ব্যবস্থাও আছে।
স্কুলঃ ৩১৮টি স্কুল তৈরী হয়েছে, ১২৭টি স্কুলকে উন্নীত করা হয়েছে। পাঁচটি মডেল স্কুল, একটি ইন্টিগ্রেটেড মডেল স্কুল খোলা হয়েছে।
বৃত্তিঃ ১.৯৯ লক্ষের বেশী কন্যাশ্রী এই জেলায়, ৩.২৪ লক্ষের বেশী পড়ুয়াকে শিক্ষাশ্রীর আওতায় আনা হয়েছে।
উচ্চ শিক্ষাঃ বিশ্ব বাংলা বিশ্ববিদ্যালয় তৈরী করা হচ্ছে। সাতটি আইটিআই কলেজ, তিনটি পলিটেকনিক কলেজ খোলা হয়েছে।
কিষাণ মান্ডিঃ ১৩টি কিষাণ মান্ডি খোলা হয়েছে।
১০০ দিনের কাজঃ ১০.৯৬ কোটি কর্মদিবস তৈরী হয়েছে ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের মধ্যে।
আবাসনঃ ৩.০৯ লক্ষের বেশী মানুষ আবাসন প্রকল্পে উপকৃত।
মিশন নির্মল বাংলাঃ এই জেলা নির্মল জেলা হিসেবে ঘোষিত জেলা।
শিল্পঃ দেশের সবথেকে বড় কয়লাখনি দেওচা পচামিকে সংস্কার করা হচ্ছে। একটি শিল্প কেন্দ্র, একটি শিল্প উন্নয়ন কেন্দ্র, ১১টি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ক্লাস্টার (একটি মসলিন ক্লাস্টার, একটি পেতলের ক্লাস্টার, দুটি মৃৎশিল্পের ক্লাস্টার), ৫০৩২কোটি টাকার ব্যাঙ্ক ঋণ প্রদান করা হয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে। রাজনগর ব্লকের তাঁতিপাড়ায় সিল্ক ইয়ার্ন এবং ফ্যাব্রিক প্রোডাকশন সেন্টার তৈরী হয়েছে।
সড়ক ও সেতুঃ ২৯৪০ কিলোমিটারের বেশী রাস্তা নির্মাণ/সারাই/চওড়া করা হয়েছে, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে একটি সেতু নির্মাণ শুরু করা হয়েছে।
পর্যটনঃ ১০টি কটেজ নিয়ে রঙ্গ বিতান পর্যটন কেন্দ্র, পাথরচাপুড়িতে তারাপীঠ মন্দির ও দাতা বাবা মাজারের সংস্কার করা হয়েছে, জয়দেব-কেদুলি বাউল আকাদেমি তৈরী করা হয়েছে, আরেকটি পর্যটন কেন্দ্র বাউল বিতান তৈরী করা হচ্ছে, কঙ্কালিতলা মন্দির ও তার চারপাশ সংস্কার করা হয়েছে।
সামাজিক সুরক্ষা যোজনাঃ অসংগঠিত ক্ষেত্রের সাড়ে ৩.৭৯ লক্ষের বেশী শ্রমিককে এই যোজনার আওতায় আনা হয়েছে।
কর্মতীর্থঃ ২৩টি কর্মতীর্থ চালু হয়েছে।
খেলাধুলাঃ ১৫০টি মাল্টি জিম, ৩৬টি মিনি ইন্ডোর স্টেডিয়াম। পাঁচটি খেলার মাঠ তৈরী করা হয়েছে।