সাম্প্রতিক খবর

জুন ১০, ২০১৯

বাংলাকে অশান্ত করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ হবে: তৃণমূল

বাংলাকে অশান্ত করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ হবে: তৃণমূল

গত দুই বছরে কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন উপায়ে বাংলা সরকার ও তার জনগণকে অপমান করার চেষ্টা করছে। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কর্তৃক প্রেরিত এই অ্যাডভাইসরি নোট পাঠিয়েছে। বিজেপি দল এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক একই ব্যক্তি দ্বারা পরিচালিত হয়। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন দলের নির্দেশেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পরিচালিত হয়।

ওনার বক্তব্যের কিছু অংশ:
বাংলার মত সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ রাজ্য এর বিরুদ্ধে এখন একটি গুরুতর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।যে রাজ্যে গণ্ডগোল, হিংসা নেই, সেই রাজ্যে এমন নোট পাঠাচ্ছে! বাংলার সংস্কৃতিকে অপমান করছেন ওঁরা। উত্তরপ্রদেশে যাদবদের হত্যা বা শিশু ধর্ষণ ও হত্যার সময়ে কোথায় ছিলেন আপনারা? ওখানে অ্যাডভাইসরি নোট পাঠানো হয়েছিল? বাংলা যখন শান্তির মরূদ্যান, তখন তাকে অশান্ত করার জন্য বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে ব্যবহার করে এমন নোট পাঠাচ্ছেন।’

এটা বিজেপির রাজনৈতিক চক্রান্ত ছাড়া কিছুই না। এখানে জনগণের মধ্যে যে শান্তি আছে, তা কি গুজরাটে আছে? কেন্দ্রের বিজেপি সরকার রাজ্যের পরিস্থিতিকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে।
২০১৪ সাল থেকেই ওনারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এর বিরুদ্ধে পরিকল্পনা করছে। রাজ্য সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য এখন একটি গুরুতর ষড়যন্ত্র চলছে।পশ্চিমবঙ্গের মানুষের এর বিরুদ্ধে সর্বশক্তি নিয়ে লড়াই করবে।

আমরা ভয় পাই না, আমরা কি ঘটছে সেই ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন। আমরা এটা প্রতিহত করবো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সারাজীবন অবিচার এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপি কর্তৃক এই ক্ষমতার অপব্যবহারের এই সকল প্রচেষ্টাকে আমরা নিন্দা জানাচ্ছি।

মানুষ এর বিরুদ্ধে লড়াই করবে। আমরা দৃঢ়ভাবে এই অ্যাডভাইসরি নোট এর বিরুদ্ধে লড়াই করবো। আগামীকাল এর জবাব দেবে রাজ্য ও দল। এটা রাজ্যবাসীর কাছে অপমান।
নির্বাচনের পর আমাদের ছয় কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। অশোকনগর এ দুই মাস বয়সী শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। যখন এই সব ঘটেছে যখন আপনি কোথায় ছিলেন। তখন কি আপনারা চিঠি পাঠিয়েছিলেন রাজ্যকে?

এই সন্দেশখালির ঘটনার পর কোন দলের সাংসদ গেছে? পরিকল্পিত ভাবে ঝামেলা সৃষ্টি করা হচ্ছে।
বিদ্যাসাগরের মূর্তি কারা ভেঙেছে? কারা রাজ্যের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বিপন্ন করার চেষ্টা করছে? এসবই রাজ্যের সরকারকে অপমান করার একটি বড় পরিকল্পনা

দুই দিন আগে গঙ্গারামপুরে একজন পুলিশ অফিসার আহত হন। ওনারা কি ভুলে গেছেন? বিজেপির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কি এই রাজ্যে তার দলের লোকেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন?

ওনারা বারবার প্রশাসনকে আক্রমণ করছে। সবকিছুকে পাল্টে দিয়ে ওনাদের পার্টি অফিসের সাথে লিঙ্ক করার চেষ্টা করছেন।
এই যে অপপ্রচেষ্টা চলছে এর বিরুদ্ধে বাংলার মানুষ রুখে দাঁড়াবে।

১৮টি আসনে বিজয়ী হওয়ার পরেও বিজয় সমাবেশ চলছে। ওনারা আইন শৃঙ্খলার বিরুদ্ধে যাচ্ছেন। এই সব বন্ধ করা আবশ্যক। রাজ্যের জনগণ এই অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।