সাম্প্রতিক খবর

জুন ২৯, ২০১৯

হেরিটেজ বিল্ডিংগুলিকে হোটেল বানিয়ে পর্যটনে গতি আনতে উদ্যোগী রাজ্য

হেরিটেজ বিল্ডিংগুলিকে হোটেল বানিয়ে পর্যটনে গতি আনতে উদ্যোগী রাজ্য

রাজ্যে প্রচুর হেরিটেজ স্থান আছে, যেগুলির গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস আছে। ঝাড়গ্রাম বা ইটাচুনার রাজবাড়ির আদলে এবার রাজ্যের অন্যান্য হেরিটেজ বিল্ডিংগুলিকেও হোটেল বানিয়ে পর্যটন শিল্পের প্রসারে উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রয়োজনে ওই হেরিটেজ বিল্ডিং বা এস্টেট সংলগ্ন এলাকায় অতিরিক্ত ঘর তৈরী করে তা হোটেল হিসেবে ব্যবহার করা হবে। পর্যটন দপ্তরের আধিকারিকরা মনে করছেন, ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি বা ইটাচুনা রাজবাড়ি যেমন এখন পর্যটন শিল্পে জায়গা করে নিয়েছে, তেমনই রাজ্যে আরও এইরকম প্রচুর হেরিটেজ বিল্ডিং বা স্থান রয়েছে। উন্নতমানের থাকার ব্যবস্থা করা গেলে পর্যটকরা সেখানেও যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী হবেন। সেই কারণেই রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ।

 খুব দ্রুত এই সম্পর্কিত তথ্য রাজ্য পর্যটন দপ্তরে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেইমতো প্রতিটি জেলা পরিষদ এই নিয়ে বিডিও অফিস থেকে সেখানকার হেরিটেজ স্থানগুলি সম্পর্কে তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে। একই সঙ্গে একটি ফরম্যাটও দেওয়া হয়েছে। ওই ফরম্যাট পূরণ করে তা পাঠাতে বলা হয়েছে। ওই ফরম্যাটে বলা হয়েছে, জেলার নাম, হেরিটেজ কেন্দ্রের নাম, স্থান, কাছাকাছি রেল স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড ও হাইওয়ের নাম, হেরিটেজ স্থানের মোট জমির পরিমাণ, ওই হেরিটেজ স্থানের মালিকের নাম ও টেলিফোন নম্বর, সেখানে থাকা ঘরের সংখ্যা, অতিরিক্ত ঘর তৈরী বা সংস্কার করা সম্ভব কি না, এবং ওই জায়গার একটি ছবি ইমেল করে জানাতে বলা হয়েছে। এগুলি জমা পড়ার পর রাজ্য পর্যটন দপ্তর সেগুলি পরিদর্শন করবে ও পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

 ইতিমধ্যেই হাওড়ার আমতার রায় গুণাকর ভরত চন্দ্রের বাসস্থান, বীরভূমের নানুরে কবি চণ্ডীদাসের বাড়ি, কেন্দুলির কবি জয়দবের বাড়ি সংলগ্ন এলাকাটি চিহ্নিত করেছে ব্লক প্রশাসন।