November 16, 2013
আয় বাড়াতে পর্যটনে জোর বন উন্নয়ন নিগমের

পর্যটনে গুরুত্ব দিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগম৷ বনাঞ্চলে বাংলোর সংখ্যা ও বর্তমান পরিষেবা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ তেমনই জঙ্গল থেকে মধু সংগ্রহ ও হলুদ–আদা–তিল ইত্যাদি চাষ করেও আয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বন দপ্তরের ওই সহযোগী সংস্থায়৷ নিগমের শীর্ষকর্তাদের এক বৈঠকে সোমবার এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে৷ নিগমের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েছেন রাজ্যের পুর্ত দপ্তরের পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ৷ পুর্বতন চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায়কে সরিয়ে তাঁকে ওই অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়৷
নানা ক্ষেত্রে বন উন্নয়ন নিগম লোকসানে চলছে৷ এতে উদ্বিগ্ন নিগম কর্তারা৷ দায়িত্ব নিয়ে নতুন চেয়ারম্যান লোকসানের ক্ষেত্রগুলিকে চিহ্নিত করার উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন৷ প্রাথমিক ভাবে দেখা গিয়েছে করাত কল ইত্যাদিতে কাঠ বেচে লোকসান হচ্ছে সংস্থার৷ অথচ পর্যটন ক্ষেত্রে বিপুল সম্ভাবনা আছে৷ নিগমের চেয়ারম্যান রবিবাবু বলেন, `বর্তমানে নিগমের তত্ত্বাবধানে রাজ্যে ২০টি বাংলো আছে৷ প্রথম পর্যায়ে আরও ৩০টি বাংলো তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আজ৷ পাহাড়ে লাভা–লোলেগাঁও–সহ যে ৫টি বাংলো মোর্চার আন্দোলনের সময় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেগুলিকে শিগগির পুননির্মাণ করা হবে৷`
তাছাড়া পর্যটক আকর্ষণে বাংলোগুলির পরিষেবা আরও উন্নত করার দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে৷ মধু বিক্রি করেও বন উন্নয়ন নিগমের ভালো আয় হয়৷ মূলত সুন্দরবন থেকেই নিগম মধু সংগ্রহ করে৷ বন উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, `এখন প্রতি বছর ৩০ টন মধু সংগ্রহ হয়ে থাকে৷ সেই পরিমাণ বছরে ৫০ টন করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে৷ তাছাড়া আয় বাড়াতে জঙ্গলের ফাঁকা জায়গায় নানা চাষের পরিকল্পনা করা হয়েছে৷ মূলত বন্যপ্রাণীরা যে শস্যগুলির ক্ষতি করে না, সেগুলিরই আবাদ করা হবে৷ তাই হলুদ, আদা, তিল ইত্যাদি চাষের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷`
জঙ্গলের ভিতর ওই চাষে বনাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের সাহায্য নেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে বৈঠকে৷ তাতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে বনবস্তিবাসীদের৷ তাতে ওই মানুষগুলির জঙ্গল নির্ভরতা কাটানো যাবে বলে নিগমের কর্তারা মনে করছেন৷