সাম্প্রতিক খবর

এপ্রিল ২৯, ২০১৯

সি আর পি এফ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ তৃণমূলের

সি আর পি এফ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ তৃণমূলের

সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস আজ  ভারতের নির্বাচন কমিশনের মুখ্যনির্বাচনী আধিকারিকের কাছে দুটো অভিযোগ দায়ের করে-প্রথম, আজ সকালে সিআরপিএফ জওয়ানরা বীরভূমের দুবরাজপুরের নির্বাচনী বুথে বলপূর্বক ঢুকে  অকারণে গুলি চালায়, দ্বিতীয়- ভোটকেন্দ্রে জোর করে এবং ভয় দেখিয়ে বিজেপির পক্ষে ভোটারদের ভোট দিতে বাধ্য করা।

বীরভূম নির্বাচনী এলাকার দুবরাজপুরে একটি ভোটকেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর অযৌক্তিক গুলি বর্ষণের জন্য ভোটাররা ভীত হয়ে পড়েন  যাতে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হয় এবং এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আমরা সবাই জানি যে এই কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে  ভোটদাতাদের  মধ্যে আস্থা এবং নির্বাচনী আধিকারিকদের উপস্থিতিতে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য রাখা হয়। যদি কোনও সমস্যা হয়, তাহলে তারা সমস্যা সৃষ্টিকারীকে আটক করা এবং তাকে রাজ্য পুলিশের কাছে  হস্তান্তর করার ক্ষমতা তাদের দেওয়া হয়। রাজ্য পুলিশের দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। জেলা রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি ছাড়া  কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালাতে পারেনা এবং অবশ্যই আজ যা ঘটেছে তাতে এলাকার কোনও রাজনৈতিক নেতার নির্দেশে হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।

আজ চতুর্থ দফার নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু প্রত্যেকটা দফায় অনেক নজির আছে যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসার পর প্রভাবিত করেছে এবং বলছে কেন্দ্রে থাকা সরকার, বিজেপিকে ভোট দিতে। তারা দায়িত্ব পালন না করে দায়িত্ব লঙ্ঘন করেছে ও এটাই আজকের দ্বিতীয় নালিশের বিষয় নির্বাচন কমিশনের কাছে। এটা উল্লেখ করা হয়েছে যে এই অভিযোগটি আগেও করা হয়েছে, কিন্তু কমিশন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি, অথচ তাদের ভূমিকা হল সারাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করানো।  কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফ থেকে এই ভাবে ভোটারদের বিজেপি-র পক্ষে প্রভাবিত করার ঘটনা ওই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মদতে করা হয়েছে এবং খোলাখুলি করা হয়েছে। এই সম্পর্কিত মিডিয়া ক্লিপিংস-ও কমিশনের কাছে পাঠানো হয়েছে।

দুটি ক্ষেত্রেই, এআইটিসি মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে আর্জি জানিয়েছে সেই ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা যারা গুলি চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য দ্বিতীয়ত,সেই সকল কেন্দ্রীয় বাহিনী বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার যারা বিজেপি নেতাদের আদেশে ভোটারদের প্রভাবিত করছে ওই পার্টিকে ভোট দেওয়ার জন্য। আরও তিন দফা হওয়া বাকি আছে এবং নির্বাচন কমিশন যেন নিশ্চিত করে যে সিআরপিএফ নিজেদের দায়িত্বের মধ্যেই কাজ করে যাতে নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ ভাবে হয়।