সাম্প্রতিক খবর

এপ্রিল ৫, ২০১৯

নাগরিকপঞ্জি গভীর ষড়যন্ত্রঃ ধুবড়ীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

নাগরিকপঞ্জি গভীর ষড়যন্ত্রঃ ধুবড়ীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ অসমের ধুবড়ীতে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের বক্তব্যে তিনি নাগরিকপঞ্জী, নাগরিকত্ব বিল ও চিট ফান্ড নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন।

তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশঃ

  • আমি আগেও অসমে অনেকবার এসেছি। অসমে আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন তৈরী করা শুরু করেছি গত ৩-৪ মাস আগে থেকে।
  • আমাদের দুর্বল ভাবার কোন কারণ নেই। আগামিদিনে আমরা অসম জয় করব।
  • যখন অসমের নাগরিকপঞ্জীর খসড়া প্রকাশ হল, সেখানে ৪০ লক্ষ লোকের নাম নেই, সেদিন কোন রাজনৈতিক দল সমর্থন করেনি কিন্তু আমি ২ দিনের মধ্যে আমার টিমকে এখানে পাঠিয়েছিলাম। সেই বিপদের দিনে কেউ পাশে ছিল না, তখন আমি ভাবিনি এখানে আমার সাংসদ বিধায়ক আছে কিনা, আমি আমার টিম পাঠিয়েছিলাম কারণ এখানে মা মাটি মানুষ আছে।
  • আমার দলকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি, তাদের ওপর অত্যাচার হয়েছে কারণ আমরা প্রতিবাদ করেছি। আমার নামে এফআইআর করা হয়েছে যাতে আমি অসমে ঢুকতে না পারি।
    আমরা তো গণতান্ত্রিক দেশে বাস করি, আপনারা যখন বাংলায় আসেন আমরা তো তখন আটকাইনা, তাহলে আমাদের আসায় আপনাদের এত আপত্তি কেন?
  • আপনাদের নেতা এক্সপায়ারি প্রধানমন্ত্রী তো খালি এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ান, দেশে ওনার কোন কাজ নেই। আর মিথ্যে কথা বলে বেড়ান।
  • গতবার নির্বাচনের আগে কতরকম প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কিন্তু কোন কাজ করেছেন উনি অসমের জন্য? ৫ বছরে দেশকে ধ্বংস করেছেন, এখন আবার ভোট চাইছেন।
  • বাংলা শান্তিপূর্ণ রাজ্য তাও সেখানে ভোটের জন্য সেন্ট্রাল ফোর্স চাই আর এখানে সেন্ট্রাল ফোর্স কোথায়? আমার লোকেদের এখানে ওরা ভয় দেখাচ্ছে।
  • নাগরিকপঞ্জি তালিকা বেরোনোর পর অসমে ৫ জন বাঙালিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অনেক মানুষ আত্মহত্যা করেছে, কোথাও কারো মায়ের নাম নেই, কারো বাবার নাম নেই, কারো সন্তানের নাম নেই। এটা গভীর ষড়যন্ত্র।
  • ৪০ লক্ষ লোকের নাম বাদ দিয়েছে। ওরা নির্বাচনের সময় হিন্দু মুসলমান করে। ওরা যদি হিন্দুদের ভালোবাসে তাহলে ২২ লক্ষ হিন্দু পরিবারের নাম কেন বাদ গেছে তালিকা থেকে? প্রায়
  • ২০ লক্ষ মুসলিমের নাম, কিছু গোর্খা ভাই বোন, অন্যান্য লোকেদের নামও বাদ গেছে।
  • বাচ্চা ও মায়েদের অমানবিকভাবে ডিটেনশন ক্যাম্পে রেখে দিয়েছে। এরা মনুষ্যত্বের কথা বলে কীভাবে?
  • ভয় দেখালে তৃণমূল কংগ্রেস দমে না। তৃণমূল কংগ্রেসকে কেনা যায় না।
  • মোদী বাবু রোজ বাংলায় গিয়ে চিট ফান্ড নিয়ে ধমকান। আমাদের সময় চিট ফান্ড হয়নি, বরং আমরাই ওদের গ্রেপ্তার করেছি।
  • আমার কাছে ডকুমেন্ট আছে এখানকার মন্ত্রী হেমন্ত কুমার বিশ্বশর্মাকে চিট ফান্ডের মালিক টাকা দিয়েছে। কেউ তাকে গ্রেপ্তার করেছে?
  • সারাদিন ওরা হিন্দু মুসলমান করছে। আমরা বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না।
  • বিজেপি বাঙালী হিন্দু আর বাঙালী মুসলমান আলাদা করে রাখে কারণ আপনারা দুজন যদি এক হয়ে যান, আপনাদের সংখ্যা ৭০% হয়ে যায় এবং ৩০% বিজেপি সংখ্যালঘু হয়ে যাবে। ভাগাভাগি করতে দেবেন না।
  • আড়াই বছর হয়ে গেল বিজেপি এখানে আছে, ২ টাকা কিলো দরে চাল দেয়? বাংলায় সাড়ে আট কোটি মানুষ পায়। বিনা পয়সায় চিকিৎসা দেয়? আমরা সরকারি হাসপাতালে বিনা পয়সায় চিকিৎসা দিই।
  • একটা ললিপপ দিয়েছে এনআরসি, আরেকটা ললিপপ দিয়েছে নাগরিকত্ব বিল।
  • ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত যারা এদেশে এসেছেন সকলে এদেশের নাগরিক।
  • এই বিল অনুযায়ী, আপনারা প্রথমে ছ’বছরের জন্য বিদেশী হয়ে যাবেন। এই ছ’বছর আপনি স্কুলে যাবেন না, খাবেন না, পরবেন না, পুজো করবেন না? আগামী দিন আপনাকে বিদেশী বলে দেশ থেকে তাড়াবে না? এটা আরেকটা চক্রান্ত।
  • পাঁচ বছর আগে নিজেকে বলেছিল চাওয়ালা। এখন চা বাগান ভুলে গেছে, বলছেন আমি চৌকিদার। মোদী এক্সপায়ারি প্রধানমন্ত্রী।
  • মোদী হঠাও, দেশ বাঁচাও। বদলে দিন, তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিন।