এপ্রিল ২৭, ২০১৯
আগামীদিনে দেশের সবচেয়ে বড় বিপদ হল মোদীঃ পাণ্ডুয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ হুগলী জেলার পাণ্ডুয়াতে একটি নির্বাচনী জনসভা করেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আগামীদিনে দেশের সবচেয়ে বড় বিপদ হল মোদী সরকার আর বিজেপি দল।
তিনি বলেন এটা আমাদের দুর্ভাগ্য যে নরেন্দ্র মোদী আমাদের দেশের নেতা। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তাই বিজপিকে পরাস্ত করার আবেদন জানান তিনি।
ওনার বক্তব্যের কিছু অংশ:
- প্রত্যেকবার এত গরমে নির্বাচন হয়, এটা আমাদের হাতে নেই তাই নিরবাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত আমাদের মেনে নিতে হয়
- আগামীদিনে দেশের সবচেয়ে বড় বিপদ হল বিজেপি দল, সবচেয়ে বড় বিপদ হল মোদী সরকার। দেশকে বাঁচাতে চাইলে এদের বিদায় দিন
- ওরা সব ইন্সটিটিউশন নষ্ট করে দিচ্ছে, বদলে দিচ্ছে। গণতন্ত্র ধ্বন্স হয়ে যাচ্ছে
- এটা আমাদের দুর্ভাগ্য যে নরেন্দ্র মোদী আমাদের দেশের নেতা
- ৩৪ বছর ধরে সিপিএম মানুষের ওপর অত্যাচার করেছে আর এখন সেই সিপিএমের হার্মাদরাই বিজেপির ওস্তাদ হয়েছে
- যারা দাঙ্গা করে, মানুষের ওপর অত্যাচার করে, মানুষে মানুষে ভাগাভাগি করে, দেশকে ভালবাসে না তাদের ক্ষমতায় থাকার কোন অধিকার নেই
- বিজপি নাকি হিন্দু দল, কিসের হিন্দু দল? হিন্দু ধর্মকে নিয়ে ওরা রাজনীতি করে। ওরা হিন্দু ধর্মকে বদনাম করে, অসম্মান করে, অপমান করে। আর হিন্দু ধর্মের নামে ঠাকুরকে রাস্তায় বিক্রি করে
- হিন্দুও দাঙ্গা করে না, মুসলিমও দাঙ্গা করে না। দাঙ্গা করে নরেন্দ্র মোদীর মত বিজপির নেতারা। দাঙ্গা করে ওরা রাজনৈতিক ফায়দা তোলে। এটা ওদের চালাকি, এটা ওদের প্ল্যান
- গত ৫ বছরে ওরা কি কাজ করেছে যে এখন ভোট চাইতে এসেছে?
- আমরা সব ধর্মের মানুষের জন্য কাজ করি, সব ধর্মের মানুষ আমাদের সরকারের পরিষেবামূলক প্রকল্পের সুবিধা পায়। আমরা মানুষের মধ্যে ভাগাভাগি করি না
- ৪৪০ ভোল্টের বিপদের সাইনের মত বিজেপি এখন দেশের জন্য বিপজ্জনক
- যারা দাঙ্গা করে রাজনীতি করে বেড়ায় তারা আজ বলছে বাংলার ছেলেরা বাইরে বেরোলে আর ঘরে ফিরতে পারে না, মায়েরা নাকি ঘরে বসে কাঁদে তাদের সন্তানদের জন্য, একথা সত্যি? জনগণের উত্তর – না
- প্রধানমন্ত্রী এত মিথ্যে কথা বলে, শুনে লজ্জা হয়, কিন্তু ওনার কোন লজ্জা নেই। কোন হোমওয়ার্ক করে আসে না
- প্রধানমন্ত্রী এসে শুধু উস্কানিমূলক, উত্তেজনামূলক কথা বলে যায়। মিথ্যে কথা বলে উনি নাকি দেশ রক্ষা করবেন, ওনার বিদায় নেওয়া উচিত।
- কুৎসিত আর মিথ্যে কথা যাদের একমাত্র সম্বল তাদের কাছ এর থেকে বেশি কিছু আশা করা যায় না
- টাকার বাক্স নিয়ে ওদের পান্ডারা (আরএসএস এর প্রচারক) বেরিয়ে পরেছে, মানুষকে টাকা বিলোচ্ছে, টাকা দিয়ে ভোট কিনছে। আর কতগুলো গুন্ডাকে ভাড়া করে নিয়ে এসেছে মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য
- মানুষকে গদা আর তরোয়াল দিচ্ছে রাম নবমীর মিছিল করার জন্য। আগে কখনো এসব নিয়ে মিছিল হয়েছে? এটা বাংলার সংস্কৃতি নয়
- একটি জেলায় কেউ আত্মহত্যা করেছে, সেগুলো দুঃখজনক ঘটনা। ঘটার সঙ্গে সঙ্গে সিআইডি কে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। আর ওরা এই আত্মহত্যা গুলোকে political murder বলে দাবি করছে, মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে
- কালিদাসের মতন উনি নিজে যে ডালে বসে আছেন সেটাই কেটে ফেলছেন
- বাংলায় এখন সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি এক হয়েছে
- সবাইকে ভয় দেখাচ্ছে। মিডিয়া থেকে শুরু করে সব এজেন্সি কন্ট্রোল করছে, সবাই ওনার ভয়ে চুপ করে রয়েছে। কিন্তু আমি নরেন্দ্র মোদীর রক্তচক্ষুকে ভয় পাই না, আমাকে সিপিএম অনেক মেরেছে, আমি লড়াই করেই বেঁচে আছি
- বাংলায় যখন ক্ষরা হয়, বন্যা হয়, বাংলার মানুষ যখন বিপদে পরে তখন নরেন্দ্র মোদী আসেন না, অথচ নির্বাচনের সময় বসন্তের কোকিলের মতন ভোটপাখি হয়ে ভোট চাইতে আসেন
- এনআরসি, আর নাগরিকত্ব বিলের নামে ওরা সবাইকে প্রথমে বিদেশি বানাবে তারপর তাদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দেবে। ওদের এই ভাগাভাগির রাজনীতি করতে দেবেন না