সাম্প্রতিক খবর

এপ্রিল ৮, ২০১৯

মোদী বাবুকে গত পাঁচ বছরের কাজের হিসেব দিতে হবেঃ কোচবিহারে দিদি

মোদী বাবুকে গত পাঁচ বছরের কাজের হিসেব দিতে হবেঃ কোচবিহারে দিদি

আজ কোচবিহারের রাসমেলা ময়দানে আর একটি জনসভা করেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার থেকে তৃণমূলের প্রার্থী পরেশ অধিকারী। তাঁর হয়ে এ দিন প্রচারে যান মমতা। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি।

সাধারণ মানুষকে সভায় আসতে বাধা দেওয়া হয়েছিল বলে গতকাল অভিযোগ তুলেছিলেন মোদী। জবাবে এ দিন তাঁকে ‘অকৃতজ্ঞ’ বলে উল্লেখ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তাঁর কথায়, রাজ্য সরকারই মোদীকে সভা করার জায়গা করে দিয়েছিল। তা সত্ত্বেও মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন নরেন্দ্র মোদী। ‘অকৃতজ্ঞে’র মতো কথা বলছেন।

গত পাঁচ বছরে মোদী সরকার কিছু করেনি। তাই তাঁর কাছ থেকে জবাব চাওয়া সাজে না বলেও প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন তিনি।

তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশঃ

জওয়ান মেরে জওয়ান প্রেম, বিজেপি শেম শেম। বাকিরা ভয় পেলেও, আমি বিজেপি-মোদীকে ভয় পাই না।

ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বিচার হবে। ছাপান্ন ইঞ্চি ছাতি দেখিয়ে ৫৬০ ইঞ্চির মিথ্যা বলে বেড়ান মোদী।
যাঁরা গণতন্ত্রকে স্তব্ধ করতে চায়, তাঁদের আপনারা স্তব্ধ করে দিন।

নোটবন্দির বিরুদ্ধে ভোট দিন, দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে ভোট দিন, শান্তির জন্য ভোট দিন, একতার জন্য ভোট দিন। বাংলার মাটির দিকে যেন তাকাতে না পারে, এমন ভাবে ভোট দিন।

বিজেপি ক্ষমতায় এলে দেশে স্বাধীনতা বলে আর কিছু থাকবে না। দেশে এখন ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী সরকার চলছে। প্রতিবাদ করলেই গোয়েন্দা লেলিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু আমি ভয় পাই না ওদের।

পাঁচ বছর ধরে শুধু বিদেশ ঘুরেছেন মোদী। দামি জামা-কাপড় পরে ঘুরে বেড়িয়েছেন।

সারদা-নারদ নিয়ে খোঁচা দিয়ে বেড়াচ্ছেন, কিন্তু আমাদের আমলে তা হয়নি। সিপিএমের আমলে হয়েছিল। এতদিনে কাউকে ধরতে পেরেছেন? কোচবিহারে যাঁকে নিয়ে সভা করেছেন, সারদা কাণ্ডে অভিযুক্ত তিনি। ওঁকে তো আমরা তাড়িয়ে দিয়েছি।

বাংলার মানুষ সুশিক্ষিত, সভ্য। এঁদের ভুল বোঝানো যায় না।

গাঁধীজিকে কারা খুন করেছিল? নেতাজিকে কারা সম্মান দেয়নি? স্বাধীনতা আন্দোলনে কারা অংশ নেয়নি, আজ তাদের কাছ থেকে দেশপ্রেম শিখতে হবে?

পাঁচ বছরে ২ কোটি মানুষ চাকরি হারিয়েছেন।

গোরক্ষার নামে তাণ্ডব চালাচ্ছে আরএসএস।

চৌকিদার শুধু মিথ্যা বলেন। এমন মিথ্যাবাদী প্রধানমন্ত্রী আগে দেখিনি।

মোদীর আমলে ১২ হাজার কৃষক আত্মহত্যা করেছেন।

ঔদ্ধত্যবাদী, ফ্যাসিবাদী সরকার প্রতিশ্রুতি রাখতে জানে না ।

বংলায় দূর্গা পূজা হয় না বলে মিথ্যা ছড়াচ্ছে। এদের সঙ্গে ঠিক কী করা উচিত মাথায় ঢোকে না।

আপনার মতো হিন্দু নই আমি। আমি রামকৃষ্ণের মতাদর্শে বিশ্বাস করি, কামাখ্যা বিশ্বাস করি, মা দূর্গাকে বিশ্বাস করি। হিন্দুধর্ম ত্যাগের কথা বলে। মিলেমিশে থাকার কথা বলে।

বাংলায় এনআরসি করতে দেওয়া হবে না। অসম থেকে ৪০ লক্ষ বাঙালি তাড়িয়েছেন, এখন বাংলাতেও এনআরসি চালু করবেন বলছেন মোদী।

পাঁচ বছরে নিজে কিছু করেননি, এখন আমার কাছে হিসাব চাইছেন এক্সপায়ারি প্রধানমন্ত্রী।

আগে ছিলে চা-ওয়ালা, এখন নিজেকে চৌকিদার বলছেন। আসল চৌকিদার চান মানুষ, নকল নন ।

বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ হয়েছে মোদীর। মানুষ বলছে চৌকিদার চোর হ্যায়।