এপ্রিল ১৯, ২০১৯
কখনো মাথা নত করেন নি মমতা ব্যানার্জী: অভিষেক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

যারা এই গরমে এরকম মিটিংয়ে আসে তারা শুধু শুনতে আসে না, সিদ্ধান্ত নিয়ে আসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক সরকার দিল্লির বুকে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে।
২০১৪ তে লড়েছিলাম সাম্প্রদায়িক বিজেপি, দুর্নীতিগ্রস্ত কংগ্রেস ও হার্মাদ সিপিমের বিরুদ্ধে। ২০১৯ শে সারা ভারতবর্ষে- কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী লড়াইটা দুই মতাদর্শের- সাম্প্রদায়িক মোদী ও অগ্নিকন্যা দিদির লড়াই।
মা বোনেদের বলছি আগামী ২৭ তারিখ ভোটের শেষ প্রচার করুন ও আগামী ২৯ তারিখ ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ভোটটা এমন ভাবে দিতে হবে বাংলার লাঞ্ছনা, বাংলার বঞ্চনা, বাংলাকে অবহেলিত, নিপীড়িত, অত্যাচারিত শোষিত করে যে নরেন্দ্র মোদী রেখেছে,তার সরকারের মাজা আমাদের ভেঙে দিতে হবে। বোতাম টিপব এখানে, কোমর ভাঙবে ওখানে।
জোড়াফুলকে ভোট দেওয়া মানে মোদীকে দিল্লি ছাড়া করা
ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে যারাই প্রতিবাদ করেছে, তাদের ধমকে চমকে বাড়িতে ঢুকিয়ে দিয়েছে ইডি ও সিবিআইয়ের ভয়ে। একমাত্র বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা ব্যানার্জি বশ্যতা স্বীকার করেননি, আত্মসমর্পণ করেননি কারণ আপনাদের ভালোবাসা, দোয়া আছে।
মমতা ব্যানার্জিকে যত ধমকেছে, চমকিয়েছে, যত আঙ্গুল দেখিয়েছে। এই তৃণমূল কংগ্রেস আন্দোলন তত করেছে, প্রতিবাদের ভাষা উন্নতর হয়েছে আর উন্নয়নের বিজয়রথ তত ত্বরান্বিত হয়েছে।
পাঁচ বছর আগে যারা বলেছিলেন আচ্ছেদিন আসবে, নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ ছাড়া কারও আচ্ছেদিন আসেনি।
২৩শে মে ফল বেরবে, বাংলা এবং ভারতে তৃণমূলময় হয়ে যাবে।
পাঁচ বছর আগে রান্নার গ্যাসের দাম ছিল ৪০২ টাকা, এখন হয়েছে ৭৪০ টাকা। পাঁচ বছর আগে কেরোসিনের দাম ছিল ১৫ টাকা প্রতি লিটার,এখন ৩১ টাকা প্রতি লিটার। পাঁচ বছর আগে জীবনদায়ী ওষুধের দাম কী ছিল আর এখন কী? পাঁচ বছরে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে।
ঋণের বোঝা নিয়েই এগিয়ে চলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু এক টাকা বাড়তি কর মানুষের ওপর চাপায়নি
মোদী বলেছিল ১৫ লক্ষ দেব, কিন্তু ১৫ পয়সাও দেয়নি। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যাশ্রী-যুবশ্রী-রূপশ্রীর টাকা আপনারা পেয়েছেন। গতিধারা পেয়েছেন, আইটিআই – কলেজ হয়েছে, গীতাঞ্জলি থেকে শুরু করে সব প্রকল্পের টাকা পেয়েছেন।
আপনাদের একটা ভোটে কী পরিবর্তন হবে তা ২৯ তারিখ ভোটটা তৃণমূল কংগ্রেসকে দিন, ২৩ তারিখ ফল ঘোষণা হবে তখন দেখবেন আপনাদের প্রার্থী এগিয়ে গেছে, তখন নরেন্দ্র মোদী ইস্তফা রাষ্ট্রপতি ভবন পৌঁছে গেছে,তখন আপনি আপনার একটা ভোটের শক্তিটা অনুভব করবেন
আপনারা দেখবেন আপনার এই একটা ভোট নরেন্দ্র মোদীর দাম্ভিকতা, অহংকার ও এই দলের মাজা ভেঙে দিয়েছে।
ইতিমধ্যেই দু’ দফা হয়ে গেছে, পাঁচে পাঁচ হয়ে গেছে তৃণমূলের।আজকে নরেন্দ্র মোদীর সরকার পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হতে চলেছে কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য দশ পয়সারও কিছু করেনি।
রাস্তাঘাট, মাল্টিসুপার হাসপাতাল, কৃষকদের ঋণের বেলায় নরেন্দ্র মোদীর কাছে টাকা নেই, কিন্তু মূর্তি গড়ার জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকা খরচ করছে।
কালকে যারা সিপিএম করত আজকে তারা বিজেপি করছে। এখন আরএসএস সিপিএম এক হয়েছে।ভারতীয় জনতা পার্টি-সিপিএম-কংগ্রেস এদের একটিও ভোট দেবেন না কারণ এদের ভোট দেওয়া মানে আপনার ভোট নষ্ট করা
মমতা ব্যানার্জিকে ভোট দিন কারণ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা সব উৎসবেই মানুষের পাশে আছে।বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব আপনারা ভারতীয় জনতা পার্টির কাউকে শুভেচ্ছা জানাতে দেখেননি।আমাদের দল তৃণমূল কংগ্রেস সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের কথা বিশ্বাস করে,একতায় বিশ্বাস করে।ইমাম ভাতা দেয় মমতা ব্যানার্জি ওয়াকফ বোর্ডের তহবিল থেকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে, আপনাদের করের টাকায় নয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করের টাকায় কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, রুপশ্রী, সবুজসাথী, শিশুসাথী, গতিধারা, আইটিআই, পলেটেকনিক, রাস্তা-ঘাট, জল-কল দিয়েছে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি ইমাম ভাতা, মোয়াজ্জেম ভাতা দিলে ওরা বলছে সংখ্যালঘু তোষণ আর হিন্দুদের সব থেকে বড় উৎসব দূর্গোৎসব উপলক্ষ্যে ২৮ হাজার ক্লাবকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দিলে সিপিএম বিজেপি আর কংগ্রেস হাইকোর্টে গিয়ে মামলা করছে। মানে হিন্দুদের জন্য কাজ করলে খারাপ আর মুসলমানদের জন্য কাজ করলেও খারাপ।
পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী বলছে নরেন্দ্র মোদীকে চাই, তার মানে বিজেপিকে ভোট দেওয়া মানে পাকিস্তানকে ভোট দেওয়া।
বিজয় মালিয়া, নিরব মোদী, দাঙ্গাবাজ, গদ্দাররা বলছে নরেন্দ্র মোদী চাই, আর খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ বলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাই। আপনার ভোট-টা নরেন্দ্র মোদী-তে থাকবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-তে থাকবে সিদ্ধান্ত আপনার।
অমিত শাহ, যে নাকি বাংলা লিখতে পারেন, পড়তে পারেনা, বলতে পারেনা সে নাকি বলছেন ২৩টা আসন পাব? এতো সোজা নয়। স্বাধীনতার পরে এতো নিকৃষ্টতম প্রধানমন্ত্রী আমরা দেখিনি।
কংগ্রেস-সিপিমকে ভোট দেওয়া মানে ভোট নষ্ট করা।চৌকিদার যদি চুরি করে ১০০বার বলব চৌকিদার চোর।
নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে পার্থী হয়েছেন বিএসএফের জওয়ান তেজবাহাদুর যাদব, যে আসল চৌকিদার, আর সেনাকে নিয়ে রাজনীতিকরা নরেন্দ্র মোদী নকল চৌকিদার।
যে প্রধানমন্ত্রী ভারতের সেনা নিয়ে রাজনীতি করে, বিভাজনের রাজনীতি করে, দাঙ্গার রাজনীতি করে,বাংলাকে বঞ্চিত করে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ায়, নোট বন্দি করে দেশকে পিছিয়ে দেয়, হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে দাঙ্গা করে বাংলা দখল করতে চায়, তাকে ভোট দেওয়া উচিত কি উচিত নয়?
আচ্ছে দিনের নামে নোট বন্দি করে বিজেপি নিজেদের পকেট ভরেছে। কার স্বার্থে নোট বন্দি, জিএস টি, দাঙ্গা? আগামীদিন আমরা কড়ায় গন্ডায় এর হিসেব নেব।
পাঁচ বছর পরেও ধনী আরও ধনী হয়েছে, গরীব আরও গরীব হয়েছে।
১০ই মার্চ থেকে ১০ই এপ্রিল সারা ভারতবর্ষ জুড়ে ২৫০০ কোটি কালো টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের মতে এটা দৃষ্টান্ত।কেউ কিছু বললে ইডি, আর সিবি আই?
বাংলার মাটি বিভাজন শেখায় না, দাঙ্গা শেখায় না।
২০১৯ বিজেপি বুঝবে তৃণমূল কংগ্রেস কি জিনিস। লড়ছে মমতা দেখছে দেশ ২০১৯ মোদী শেষ।
মনে রাখবেন শতাব্দীকে ভোট দেওয়া মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেওয়া।
জয় হিন্দ বন্দেমাতরম
তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ