Bengal Tourism Dept to train students to act as guides during World Cup

‘Atithi Bandhu’ or ‘Friend of Guest’ – around 200 students studying Hospitality and Tourism Management courses in Kolkata have been trained to act as such during the days of the FIFA Under-17 World Cup in Kolkata. Ten matches, including the final would be played in the city.

They would be guides to some of the approximately 3,000 foreign tourists expected to be in the city daily during the duration of the World Cup. This number is expected to become 10,000 per day around the days of the final.

The Bengal Tourism Department is involved in getting these students trained in Spanish, Portuguese and German – languages other than English which are expected to be the mother tongues of most of the foreign tourists – at the Ramakrishna Mission Institute of Culture, as well as giving them other necessary training to turn them into effective tourist guides.

Kolkata is one of the favourite cities with foreign tourists and the grand sporting occasion is expected to act as a major boost to the number. Be it Victoria Memorial, India Museum, Kalighat Temple or the other historical and cultural sites of Kolkata, or the places linked to the lives of Mother Teresa, Rabindranath Tagore and Satyajit Ray – the three most-recognised personalities from the City of Joy – these ‘Atithi Bandhus’ or ‘Friends of Guests’ would be the ideal people to interpret the significance of these places and guide tourists through them.

Details regarding the identities of these guides – like names, e-mail addresses, etc. – as well as the cost of hiring them would be available on the website of the State Tourism Department. Tourists can contact the guides directly through the website.

This is not a one-off project though. The State Government, through the Tourism Department, is going to make ‘Atithi Bandhu’ an ever-continuing project, for foreign tourists arrive in Kolkata throughout the year; and Christmas is the next big occasion.

Source: Anandabazar Patrika

 

অতিথিকে ফুটবলের শহর চেনাবে বন্ধু

 

ফুটবল-মহোৎসব দেখার পাশাপাশি এবার ফুটবলের শহরটাও ঘুরে দেখবেন বিদেশি অতিথিরা। ‘পুজোর শহর’ বদলে যাচ্ছে ‘যুব বিশ্বকাপ ফুটবলের শহরে’। ফুটবল দেখতে দেখতে কলকাতাকে দেখার ইচ্ছে হলে কোনও চিন্তা নেই। আপনাকে শহর ঘুরিয়ে দেখাবে অতিথি-বন্ধু।

চিলে, ইংল্যান্ড, ইরাকের ফুটবলারেরা ইতিমধ্যেই কলকাতায় হাজির। মেক্সিকোও দু’এক দিনের মধ্যে এসে পড়বে। চার দেশের ফুটবলারদের সঙ্গেই আসছেন কয়েক হাজার সমর্থক। এই বিদেশিদের কাছে টেনে কলকাতার পর্যটনকে জনপ্রিয় করতে এখন মরিয়া রাজ্য সরকার।

রাজ্যের নতুন অস্ত্র— ‘অতিথি-বন্ধু’। এরা আসলে হসপিটালিটি এবং ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্টের বাছাই করা শ’দুয়েক পড়ুয়া। যাদের তৈরি করা হয়েছে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে। ‘অতিথি-বন্ধুরা বিদেশি পর্যটকদের নিয়ে যাবেন তাঁদের পছন্দসই সাবেক কলকাতার নানা জায়গায়।

অতিথি-বন্ধুরা সকলেই ইংরেজিতে স্বচ্ছন্দ। গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশন থেকে স্প্যানিশ, পর্তুগিজ ও জার্মান ভাষায় কথা বলার প্রাথমিক পাঠও তাঁদের দেওয়া হয়েছে। নাম, ই-মেল আইডি-সহ অতিথি-বন্ধুদের যাবতীয় তথ্য দেওয়া থাকছে রাজ্য পর্যটন দফতরের ওয়েবসাইটে। সেখানেই যোগাযোগ করে কথাবার্তা আগাম সেরে রাখতে পারবেন বিদেশিরা। গোটা বন্দোবস্তের অবশ্যই কিছু খরচ রয়েছে। একই ভাবে সাম্মানিক পাবেন অতিথি-বন্ধুরাও।

গ্রুপ পর্বের খেলা চলার সময়ে কলকাতায় দৈনিক গড়ে ৩ হাজার পর্যটক থাকবেন। ফাইনালের সময়ে তা ১০ হাজার ছাড়াবে। এদের থাকার জন্য শহরের পাঁচতারা হোটেলগুলি সহ ধর্মতলার আশপাশের হোটেলগুলিকেও তৈরি রাখা হচ্ছে। বিশ্বকাপ শেষ হলেও অতিথি-বন্ধুদের কাজ ফুরোবে না। কলকাতায় বিদেশিদের আনাগোনা লেগেই থাকে। বড়দিনে তা আরও বাড়বে।

 

 

Trinamool Congress announces programme of protest against BJP across Bengal

Trinamool Congress General Secretary Partha Chatterjee held a press conference today to announce a state-wide programme of protest by Trinamool Congress against the BJP tomorrow, that is, October 7.

It will be against the politics of negativity being carried on by the BJP, including causing riots and indulging in destructive activities.

The protests will be staged across all the districts and in Kolkata as well, from 1 pm to 2 pm. In Kolkata, they will be staged at Dharmatala, Hazra More, Shyambazar More, Gariahat More, Garia More, Tollygunge Phanri, bus stand for route no. 14 in Behala, Sakher Bazar, Taratala More and 8B Bus Stand in Jadavpur.

He said that the protests will be held in an orderly manner to cause minimum inconvenience to the people. The Trinamool Congress believes in conducting its activities in a democratic manner.

Partha Chatterjee appealed to everyone to join this protest against those who have insulted Chief Minister and Trinamool Congress Chairperson Mamata Banerjee.

 

 

রাজ্যজুড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচীর ডাক দিল তৃণমূল কংগ্রেস

আগামীকাল, ৭ই অক্টোবর রাজ্যজুড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচীর ডাক দিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

বিজেপি যে ধরনের বিভাজনের, দাঙ্গার ও ধ্বংসের রাজনীতি চালাচ্ছে তার বিরুদ্ধে হবে এই প্রতিবাদ।

দুপুর ১টা থেকে ২টো পর্যন্ত প্রতি জেলায় এই প্রতিবাদ চলবে আগামীকাল। কলকাতায় এই প্রতিবাদী মঞ্চ হবে ধর্মতলা, হাজরা মোড়, শ্যামবাজার মোড়, গড়িয়াহাট মোড়, গড়িয়া মোড়, টালিগঞ্জ ফাঁড়ি, বেহালার ১৪নম্বর বাস স্ট্যান্ড, সখের বাজার, তারাতলা মোড় ও যাদবপুরের ৮বি বাস স্ট্যান্ডে।

তিনি বলেছেন, এই প্রতিবাদ করা হবে শৃঙ্খলাপূর্ণ ভাবে, যাতে করে নিত্য যাত্রীদের কোনও অসুবিধার সম্মুখীন না হতে হয়। তৃণমূল দল সবসময় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নিজেদের কর্মসূচী পালন করে থাকে।

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপমানের প্রতিবাদ হিসেবে এই কর্মসূচীতে তিনি সকল মানুষকে যোগ করবার আবেদন জানান।

উন্নয়ন ও দায়িত্ব-কর্তব্য

দীর্ঘ সংগ্রামের পর বাংলায় পরিবর্তন এসেছিল। জনতার সমুদ্রে ভর দিয়ে জননেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাত ধরে বাংলায় এক নতুন সূর্য উঠেছিল সেদিন। আর এই সূর্যোদয়ের পেছনে ছিল কয়েক হাজার তৃনমূল নেতা- কর্মীর আত্মবলিদান।

গনতন্ত্রের পথ ধরে যে বাংলা সেদিন নেত্রী হাতে পেয়েছিলেন তা ছিল পুরোপুরি নিঃস্ব-রিক্ত। ৩৪ বছরের অনুন্নয়নের ধাক্কায়  ঝাঁঝড়া হয়ে গিয়েছিল বাংলার স্বপ্ন। প্রায় ২ কোটি বেকার, কেন্দ্রের ঘরে প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ রেখে বাংলা থেকে বিদায় নিয়েছিল বামফ্রন্ট। কোষাগার ছিল পুরোপুরি শুন্য।ঠিকাদাররাজ, দালালরাজ থেকে শুরু করে বেআইনি কর্মকান্ডের গর্ভগৃহ হয়ে উঠেছিল সরকারি অফিসগুলি। দিনের শেষে সরকারি দফতরে মিছিল-আন্দোলন কর্মসূচি পাওনা ছিল রাজ্যবাসীর। অধিকাংশ কারখানার গেটে তখন তালা ঝুলছে, শ্রমিক-মহল্লায় হাহাকার। গরিব কৃষকের জমি কেড়ে নিয়ে শিল্পপতিদের কার্যত জলের দরে দিয়ে দিয়েছিল আলিমুদ্দিনের শাসকরা। শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতির বিষবাষ্প সুকোলমতি পড়ুয়াদের মেধা-বুদ্ধি-বৃত্তিকে পুরোপুরি অকেজো করে দিয়েছিল। উন্নয়ন ভুলে গিয়ে শুধুমাত্র ভোট লুঠ করে ক্ষমতায় বসেছিলেন চেচেস্কুর উত্তরসূরিরা।

সিঙ্গুর, নন্দিগ্রাম শুধু নয়, নেতাইয়ের মতো কলঙ্কজনক ঘটনা ঘটিয়ে একের পর এক গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছিল সিপিএম নেতারা। জমি বাঁচাতে গিয়ে তাপসী মালিকের মতো অনেক নারীর সম্ভ্রমের পাশাপাশি প্রাণও গিয়েছে। কয়েক ডজন শিশু-কিশোর হারিয়ে গিয়েছে নন্দীগ্রামের লড়াইয়ের সাক্ষী হলদি নদীর জলে।সেদিনের স্মৃতি মনে পড়লে আজও আঁতকে উঠতে হয়। নেত্রীর নির্দেশে আমাদের মতো সৈনিকরা তখন দিনরাত এক করে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে জুলুমবাজির সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছিলাম। এই দীর্ঘ সংগ্রামে বেশ কয়েকবার নেত্রীর জীবন বিপন্ন হয়েছে। কোনওক্রমে প্রানে বেঁচে গিয়েছিলেন আমাদের সকলের প্রিয় জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিঙ্গুরের বিডিও অফিসে রাতের অন্ধকারে আলো নিভিয়ে দিয়ে পুলিশের রাইফেলের কুঁদো দিয়ে গুঁতিয়ে নেত্রীকের হত্যার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে বাম সরকারের পুলিশ। যত তাঁর উপর আঘাত এসেছে ততই আরও জোরদার আন্দোলন করে মানুষের দাবিকে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়েছেন।

এভাবেই একদিন মানুষকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্রের বেদিমূলে অর্ঘ্য দিয়ে সরকারে পৌঁছে দিয়েছেন জননেত্রী। কিন্তু দায়িত্ব নিয়েই মহাকরণে বসে দেখতে পেয়েছেন বাম জমানার রেখে যাওয়া প্রশাসনে তখন শুধুই দলবাজি। কর্মসংস্কৃতির পুরোপুরি বিসর্জন হয়ে গিয়েছে রাজনীতির গঙ্গায়। পুলিশ এবং প্রশাসনের কর্তা-ব্যক্তিরা সাধারণ মানুষের পরিবর্তে লাল পার্টির নেতাদের অঙ্গুলিহেলনে ওঠাবসা করেছিলেন।মানুষের উপকার দুরের কথা নুন্যতম দায়িত্ব ও কর্তব্য ভুলে গিয়েচগিলেন প্রশাসনিক ব্যক্তিত্বরা। সব মিলিয়ে সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভয়াবহ- ভগ্নদশা অবস্থায় বাংলাকে পেয়েছিলেন তা বোধ করি বিশবের অন্য কোনও প্রশাসক পেলে দায়িত্ব নিতেন না। কিন্তু মানুষের উন্নয়নে ২৪ ঘন্টা কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ অগ্নিকন্যা রীতিমতো চ্যালেঞ্জ নিয়ে বাংলার প্রশাসনিক দায়িত্ব নিয়েছিলেন। আর এই দায়িত্ব তাঁকে যে বিশবসভায় বাংলাকে পৌঁছে দেওয়ার শপথ নিতে সাহায্য করেছে তাঁর প্রমাণ কন্যাশ্রী এখন বিশ্বশ্রী। গর্বিত বাংলা,গর্বিত আমি তাঁর সরকারের একজন সহকর্মী হয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়ে। অবশ্যই গর্বিত বাংলার তৃনমূল কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা, যারা সরকারের নানা প্রকল্প ও পরিষেবাকে জনতার কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। জেলায় জেলায় নানা চক্রান্ত ও বিরোধিদের ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত সমস্ত প্রকল্প এবং পরিষেবা সাধারণ মানুষের জন্য বাস্তবায়িত করে চলেছেন।

কিন্তু কেন তিনি এমন একটা সবদিক থেকে দেউলিয়া সরকারের দায়িত্ব নিলেন? কীভাবে ও কোন পথে কেন্দ্রীয় সরকারের লাগাতার বঞ্চনা এবং পক্ষপাতিত্ব উপেক্ষা করে এভাবে বিপুল উন্নয়নে কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছেন? বিদেশের প্রতিনিধিরা যখন কলকাতায় আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন, তখন সকলেরই এই দুটি প্রশ্ন অবধারিত করে থাকেন। দিন কয়েক আগে কলকাতার মার্কিন দুতাবাসের এক শীর্ষ আধিকারিক আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন, মাত্র তিন মিনিটে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে দাঁড়িয়ে কীভাবে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সাফল্য তুলে ধরলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী? বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার শীর্ষকর্তারা কলকাতায় এসে অবাক বিস্ময়ে অনুসন্ধান করেছেন কোন জাদুমন্ত্র বলে ন্যায্যমূল্যের দোকানে এত বিপুল ছাড় দিয়ে ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। বলতে পারেন, এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিরাকেল। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভাবনী শক্তির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে কেউ যে পারবে না, তা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছেন দেশ- বিদেশের নানা সামাজিক প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিত্বরা।

বাংলার প্রশাসনের দায়িত্ব নিয়ে জননেত্রী দেখেছিলেন সামাজিক প্রকল্প ও পরিষাবার ক্ষেত্রে বিপুল শুন্যতা। রেশন দোকানের নাম করে যে সমস্ত ডিলাররা চাল-গম সংগ্রহ করতেন,তাঁর অধিকাংশই গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছাত না। গড়িব মানুষের নাম করে সরকারি তহবিল থেকে কোটি কোটি টাকা ঘুরপথে পৌঁছে যেত সিপীম-এর পার্টি অফিসগুলিতে। স্কুল-কলেজে শিক্ষকদের একটা বড় অংশই শিক্ষাঙ্গনকে রাজনীতির ক্রিড়াঙ্গনে পরিনত করেছিলেন। মাসের পর মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না এলেও বেতন নিয়ে চলে যেতেন একদল রাজনীতি-সর্বসব লালপার্টির নেতারা। হাসপাতালে রোগী ভর্তি হতে এসে দালালচক্রের হাতে সমস্ত খুইয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। এমন অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক সামাজিক প্রকল্প চালু করার পাশাপাশি বিপুল কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলেন।

এতদিন বাংলার মানুষ জানতেন যে মুখ্যমন্ত্রী মানে মহাকরণের অলিন্দে থাকা একটা ক্ষমতাশালী মানুষ। স্বাধীনতার পর কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রতি মাসে জেলায় জেলায় ঘুরে উন্নয়ন নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেছেন, এমন নজির শুধু দেশ কেন, গোটা বিশ্বে নেই। অথচ তৃনমূল নেত্রী গত ছ’বছরের বেশি সময় সেটাই অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে করে চলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁর প্রথম সফর ছিল জঙ্গলমহল। এরপর পাহাড়, সুন্দরবন সর্বত্রই ঘুরে ঘুরে সরেজমিনে উন্নয়নের নানা প্রকল্পের বাস্তবায়নের দেখেছেন তিনি। পরখ করেছেন প্রতিট প্রকল্পের সরকারি ব্যয়ের খুঁটিনাটি। আসলে জনগণের প্রতিটি পাইপয়সার হিসাব অত্যন্ত নিখুঁতভাবে দেখে রাখতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বস্তুত এই কারণে তিনি প্রায়ই বলেন “আমি জনগণের পাহারাদার।” শুধু উন্নয়ন নয়, দুর্গাপুজো থেকে মহরম, ইদ থেকে বড়দিন, নববর্ষ থেকে নিউইয়ার, উৎসবে যখন বাংলার কোটি কোটি মানুষ মগ্ণ থাকেন, তখন প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে কড়া নজরদারি চালিয়ে যান জনতার নেত্রী।

অশান্তির ঘুর্ণিঝড় বিধ্বস্ত করে দিয়েছিল জঙ্গলমহল। ফেরালেন শান্তি। সঙ্গে সঙ্গে বিপথে যাওয়া জঙ্গলমহলের যুবকদের জীবনে এনে দিলেন কর্মসংস্থানের অক্সিজেন। এখানেই শেষ নয়, সমস্ত আদিবাসীদের জন্য দু’টাকা কিলো চাল-আটা চালু করলেন। সবুজ সাথী সাইকেল থেকে শুরু করে কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, মাতাশ্রী-র মতো নানা প্রকল্প আজ শুধু বাংলায় নয়, গোটা দেশেই বিভিন্ন রাজ্য অনুকরণ করছে। কন্যাশ্রী প্রকল্প শুধুমাত্র নারীশিক্ষায় আলো আনেনি, বাল্যবিবাহ থেকে শুরু করে নারী পাচার অনেকটাই বন্ধ করে দিয়েছে আমাদের রাজ্যে। আর সেই কারণেই রাষ্ট্রসংঘ কন্যাশ্রী প্রকল্পের প্রবক্তা বাংলার নবরুপকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে বিশ্বসম্মান তুলে দিয়েছে। বাংলা হয়েছে সত্যি সত্যি বিশ্ববাংলা।

দেশের এক অস্থির সময়ের মধ্যে দিয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ তৈরি করে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পে শ্বাসরোধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে আমাদের। সামাজিক সম্প্রীতি আজ মরুভূমিতে পরিণত হতে চলেছে। দেশে চরম অসহিষ্ণুতা গ্রাস করতে চলেছে। এমন প্রেক্ষাপটে দেশবাসীর কাছে একটাই মরূদ্যান- বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, মা-মাটি-মানুষের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি থেকে পাটনা, সর্বত্রই তাঁকে সামনে রেখেই দেশের সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শপথ নিচ্ছেন। স্বভাবতই বাংলার তৃনমূল কর্মীদের দায়িত্ব পড়েছে মা-মাটি-মানুষের নেত্রীর উপর। তাই একদিকে যেমন নেত্রীর চালু করা সমসত প্রকল্প ও পরিষেবা আরও বেশি করে জনতার কাছে পৌঁছে দিতে হবে, অন্যদিকে সাম্প্রদায়িকতা-বিরোধী লড়াইকে আরও জোরদার করতে হবে। দলকে করতে হবে আরও শক্তিশালী। দলীয় কর্মিদের মনে রাখতে হবে, দলীয় সংগঠন যত শক্তিশালী হবে, নেত্রীর হাত ততই মজবুত হবে। আর দেশের নেতৃত্ব দিতে আরও সহজ এবং সাবলীল পথ হয়ে উঠবে আমাদের প্রিয় নেত্রীর। মনে রাখতে হবে, সেদিন আর বেশি দূরে নেই, যেদিন মা-মাটি মানুষের নেত্রীর হাত ধরেই বিভাজনের রাজনীতিকে গুড়িয়ে দিয়ে দেশে মুক্তির নতুন সূর্য উঠবে। নতুন ভারত গড়ে উঠবে, স্বপ্ন সফল হবে মা-মাটি মানুষের।

Mamata Banerjee inaugurates several community Durga Puja pandals

Chief Minister Mamata Banerjee inaugurated several community Durga Pujas this week. She started inaugurating from the day before Mahalaya.

The Chief Minister inaugurated Ekdalia Evergreen, Hindustan Park, Behala Natun Dal, Ajay Sanhati, Naktala Udayan Sangha, Jodhpur Park 95 Pally, Ahiritola Durgotsav, Santoshpur Sarbajonin, Sreebhumi Sporting Club and several other pandals.

Like every year, this year too she drew the eyes of Ma Durga – called ‘chokkhudan’ (‘gifting the eyes’) in Bengali, which is a crucial ritual of Durga Puja – at Chetla Agrani Club.

The Chief Minister has appealed to the Puja committees to maintain tight security at the pandals so that people can enjoy the sights and sounds in an orderly and peaceful manner.

 

 

 

বিভিন্ন পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী

এই সপ্তাহে বিভিন্ন পুজো প্যান্ডেলের উদ্বোধন করেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহালয়ার আগের দিন থেকে পুজো উদ্বোধনে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একডালিয়া এভারগ্রিন, হিন্দুস্তান পার্ক, বেহালা নতুন দল, অজয় সংহতি, নাকতলা উদয়ন সংঘ, যোধপুর পার্ক ৯৫পল্লী, ঐতিহ্যবাহী আহিরিটোলা দুর্গোৎসব, সন্তোষপুর সর্বজনীন, শ্রীভুমি স্পোর্টিং ক্লাব সহ আরও অনেক পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।

প্রতি বছরের মত, এবারও তিনি চেতলা অগ্রণী ক্লাবে মা দুর্গার চক্ষুদান করেন।

উৎসবের দিনগুলোতে পুজো প্যান্ডেলগুলিতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা, শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য পুজো কমিটিগুলোকে বিশেষ আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্বোধন করা কিছু প্রতিমার ছবি দেওয়া হলো, বর্ণানুক্রমিক ভাবে সাজানো (ওনার ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত)

 

41 Pally (4)

41 Pally

95 Pally (4)

95 Pally

ABANTI 3

Abanti

Ahiritola (1)

Ahiritola

BABUBAGAN 2

Babubagan

Ballygaunge Culture (1)

Ballygunge Cultural Association

Barisha Club (1)

Barisha Club

BOKULBAGA 1

Bakulbagan

Bosepukur (2) - Copy

Bosepukur Sitalamandir

Chetla Agroni (3)

Chetla Agrani

Ekdalia Evergreen

Ekdalia Evergreen

garia hat hindusthan club 1_Ed

Hindustan Club

Hindusthan Park (1)

Hindustan Park

jodhpur park 3

Jodhpur Park

Kalighat Milan Sangha

Kalighat Milan Sangha

Naktala Udayan Sangha (1) - Copy

Naktala Udayan Sangha

Samaj Sebi (2)

Samajsebi

Shelimpur Palli 18

Selimpur Pally

Shiv Mandir (4)

Shiv Mandir

Sreebhumi (3) - Copy

Sreebhumi Sporting

Tridhara (2)

Tridhara Sammilani

Ahead of Sharodotsav, Bengal CM reaches out to Durga Puja with a letter

In a poetic letter, Bengal Chief Minister Mamata Banerjee reached out to the Durga Puja committees across the state, wishing the organisers.

In a letter dated August 30, 2017, she eulogised the victory of good over evil. She also appealed to all to maintain communal harmony at the time of the festivities.

She said that ‘Sharodiya Durgotsav’ is not only a religious festival but a festival that unites all.

 

শারদোৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়ে দুর্গা পুজো আয়োজকদের চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

শারদোৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়ে দুর্গা পুজো আয়োজকদের চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

৩০শে আগস্ট তিনি এক চিঠির মাধ্যমে সকল পুজো আয়োজকদের বলেন আনন্দময়ীর আবাহনের মধ্যেই নিহিত অশুভ শক্তির বিনাশ আর শুভ শক্তির জয়। তিনি আবেদন করেন অনুষ্ঠানের দিনগুলিতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে।

তিনি বলেন, দুর্গাপুজো কোনও একটি সম্প্রদায়ের পুজো নয়, এটি এমন এক উৎসব যেখানে সকল সম্প্রদায় মিলে আনন্দ করেন।

এই সেই চিঠিঃ

 

শারদ শুভেচ্ছা

‘বাজলো তোমার আলোর বেণু’

শিউলি সকাল, কাশফুলের দোলা আর শরতের সাদা মেঘ এবার বয়ে আনলো মা দুর্গার আগমন বার্তা। এবারে সব দুঃখ দৈন্য ভুলে আনন্দে মেতে ওঠার পালা; সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে সবাই মিলে একসাথে উৎসবের আঙিনায় মিলিত হওয়ার সময়।

আনন্দময়ীর আবাহনের মধ্যেই নিহিত অশুভ শক্তির বিনাশ আর শুভ শক্তির জয়। চিন্ময়ী দেবীর মৃন্ময়ী রূপে আগমন তাই নিয়ে আসে নববিধানের আশ্বাস আর নবনির্মাণের পবিত্র প্রত্যয়।

“মা আসছেন, শিউলি ভোরে

শঙ্খ বাজুক ঘরে ঘরে।”

শারদীয়া দুর্গোৎসব শুধুমাত্র এক ধর্মীয় আচার-আয়োজন নয়, সর্বস্তরের, সর্বধর্মের মানুষের আত্মিক মেলবন্ধনই এই উৎসবের মূল ভাবনা, চিরন্তন সুর। দশভুজার চরণস্পর্শে তাই সঞ্চারিত হোক আশার আলো, আনন্দধারায় সিক্ত হয়ে উঠুক বিশ্বভুবন। সবাই ভালো থাকুন, সকলের ভালো হোক।

আপনাদের শারদোৎসবের আয়োজন সফল হোক, উৎসবের দিনগুলিতে সবাই শান্তি ও মৈত্রীর মেল্বন্ধনে আবদ্ধ থাকুন। সকলকে জানাই শারদীয়ার প্রীতি, ভালোবাসা ও শিউলি শুভেচ্ছা।

(মমতা ব্যানার্জী)

 

For Singur, Durga Puja 2017 would be special indeed

For the residents of Singur, the 2017 Durga Puja would be special. After a long struggle, they have at last got back their land, taken away forcibly in 2006 for setting up industry by the Left Front Government.

Chief Minister Mamata Banerjee has been instrumental in the successful culmination of the Singur Movement. A few months back, after the Supreme Court’s final verdict, Mamata Banerjee had herself felicitated the people involved in the struggle and family members of those killed and affected during the violence unleashed on Singur. She had also sown the first seeds for the new crops with her own hand.

And now, Singur is going to witness its first Durga Puja festival after a momentous victory. A long and hard-fought struggle, laced with the blood and tears of hundreds of people, has come to an end. It’s time for celebration now. And celebrate they will.

Potato, onion, maize, paddy and other crops have been harvested. With the money earned from selling the crops, the people are making preparations for grand festivities – buying clothes and fire-crackers, building colourful pandals, creating idols decked up in finery, and so much more.

The good times have returned. And with the people of Singur too in spirit is the whole of Bengal, celebrating the revival of a people’s hopes and aspirations.

ফিরে পাওয়া জমির প্রথম ফসল দিয়ে ফের পুজোয় মেতে উঠেছে সিঙ্গুরবাসী

 

গ্রামের মানুষের ত্যাগ আর প্রার্থনায় সাড়া দিয়েছেন মা। টানা দশ বছর ধরে অবস্থান, ধর্না, অনশন ও আদালতে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে ঘরের লক্ষ্মী অর্থাৎ জমি ফিরে পেয়েছেন অনিচ্ছুকসহ সমস্ত চাষিরা। হারানো জমির পাশাপাশি পেয়েছেন ক্ষতিপূরণের টাকাও। আদালতের রায়ের পর কেড়ে নেওয়া জমি হাতে পেয়ে আগের মতোই সোনার ফসল ঘরে তুলেছেন চাষিরা। এবছর প্রথম উৎপাদিত সেই ফসল দিয়ে মাতৃ আরাধনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন সিঙ্গুরের বেড়াবেড়ি গ্রামের মানুষ। ইতিমধ্যেই গ্রামের শীতলামাতা শক্তি সংঘের উদ্যোগে একটি কাল্পনিক মন্দিরের আদলে মণ্ডপ গড়ে তোলার কাজ চলছে। টাটাদের কারখানার জন্য জমি দখলের আগের দিনগুলোর মতোই পুজোর কটা দিন নতুন পোশাকে নিজেদের সাজিয়ে আনন্দোৎসবে মেতে ওঠার প্রস্তুতি নিচ্ছে সিঙ্গুর।

বেড়াবেড়ি গ্রামে প্রায় ২৬০টি পরিবারের বসবাস। জমি অধিগ্রহণের আগে ধুমধাম করে এখানে থিমের দুর্গাপুজো হত। ২০০৬ সালে পুজোর আগেই সিঙ্গুরে টাটাদের জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। পুজোর আগেই আন্দোলনের সময়ে ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে বিডিও অফিসে আলো নিভিয়ে দিয়ে নির্বিচারে লাঠিপেটা করে পুলিশ। পুজোর আগে জমি হাতছাড়া হওয়ায় গ্রামের মানুষের সব অভিমান গিয়ে পড়েছিল মা দুর্গার উপরে। তাই জমি ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত পুজো করবেন না বলে শপথ নিয়েছিলেন সিঙ্গুরের বেড়াবেড়ি গ্রামের অনিচ্ছুক চাষিরা। সেই শপথ বজায় রেখে পুজোর সময়ে নতুন পোশাক, ঢাকের কাঠি, আলোর রোশনাই ও আতসবাজি থেকে নিজেদের সরিয়ে রেখেছিলেন গ্রামের মানুষ।

বেড়াবেড়ি দুর্গাপুজো কমিটির অন্যতম সদস্য তথা জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ মানিক দাস বলেন, জমি জোর করে নেওয়ার পর প্রথমে অভিমানে পুজো বন্ধ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু, পরে দু’বছর ধরে অনাড়ম্বরভাবে পুজো করে মায়ের কাছে জমি ফেরত পাওয়ার আবেদন করেছি। গ্রামের মানুষের সেই আবেদনে মা সাড়া দিয়েছেন। জমি ফেরত পাওয়ার পর আলু, সরষে, ধান, পিয়াজসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল আমরা ঘরে তুলেছি। তাই এবার আমরা ফিরে পাওয়া জমিতে ফলানো সোনার ফসল দিয়েই মায়ের পুজোর প্রস্তুতি নিচ্ছি। পুজো কমিটির সভাপতি সহদেব দাস বলেন, আন্দোলনের আগে আমরা যেভাবে পুজো করতাম, এবার গ্রামে উৎসবের সেই মেজাজ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। গ্রামের বাসিন্দা পারমিতা দাস বলেন, মা আমাদের কাতর মিনতিতে সাড়া দিয়েছেন বলেই আমরা জমির পাশাপাশি ক্ষতিপূরণের টাকাও পেয়েছি। তাই ফিরে পাওয়া জমির প্রথম ফসল দিয়ে পুজো দেওয়ার জন্য টাকা তুলে রেখেছি।

Bengal shows the way once again, this time for the model code on snakebite management

What Bengal thinks today, India thinks tomorrow – this was proved once again when the Central Government published a model code for snakebite management recently, five years after the Bengal Government had published its Module for Training and Medical Officers on Snakebite Management in 2012.

Not just that, it must also be mentioned that Bengal was the first state to set up a formal protocol on the subject.

Under the stewardship of Chief Minister Mamata Banerjee, Bengal has progressed in many fields, and this is only the latest example.

 

দেশকে পথ দেখাল বাংলা, রাজ্যের পাঁচ বছর বাদে প্রকাশিত সাপের কামড় নিয়ে কেন্দ্রীয় গাইডলাইন

ন্যায্যমূল্যের দোকানের পর এবার সাঁপের কামড়ের চিকিৎসা। ‘বাংলা আজ যা ভাবে, কাল তা ভাবে ভারত’—এই আপ্তবাক্য ফের সার্থক হল স্বাস্থ্যক্ষেত্রে। পথ দেখাল মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্য দপ্তর।

২০১২ সালে সারা দেশে প্রথম সাঁপের কামড়ের চিকিৎসার আদর্শ নিয়ম বের করেছিল পশ্চিমবঙ্গ। নাম ছিল ‘মডিউল ফর ট্রেনিং অব মেডিকেল অফিসার্স অন স্নেকবাইট ম্যানেজমেন্ট’। প্রায় সেটাই অনুসরণ করে পাঁচ বছর বাদে কেন্দ্রীয় সরকার স্বাধীনোত্তর ভারতবর্ষে এই প্রথম সাঁপের কামড়ের আদর্শ চিকিৎসার নিয়মাবলী প্রকাশ করল। নাম স্ট্যান্ডার্ড ট্রিটমেন্ট গাইডলাইনস স্নেকবাইট (এসটিজি)।

শুধু তাই নয়, রাজ্যের পক্ষে আরও একটি গর্বের বিষয় হল, বাংলায় প্রথম যাঁর উদ্যোগে মডিউলটি প্রকাশিত হয়েছিল, সেই ডাঃ দয়ালবন্ধু মজুমদার কেন্দ্রীয় সরকারের গাইডলাইনটি প্রকাশের অন্যতম কুশীলবদের একজন।

Source: Bartaman

 

 

State Govt to invest Rs 300 cr for Andal Airport

The Bengal Cabinet, during a meeting headed by Chief Minister Mamata Banerjee, has given its nod to infuse Rs 300 crore for the revival of Andal Airport.

Bengal Aeorotropolis Projects Limited (BAPL) has stakes of the State Government and other private players. With the infusion of the Rs 300 crore, the State Government’s share in BAPL has increased from 11 percent to 26 percent.

With this initiative, the airport will become at par with other airports. With the increase of traffic at the Netaji Subhas Chandra Bose International Airport in Kolkata, there is a need to develop other airstrips to ensure that flight services remain unaffected.

It may be mentioned that after the change of guard in the state, the government had a taken series of steps to improve air connectivity in the State.

 

অন্ডাল বিমানবন্দরে ৩০০ কোটি লগ্নির সিদ্ধান্ত রাজ্যের

অন্ডাল বিমানবন্দরে নিজেদের অংশীদারিত্ব বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রস্তাবে শিলমোহর পড়েছে। অন্ডাল বিমানবন্দর প্রকল্পে রাজ্যের ১১% অংশীদারিত্ব ছিল। ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের পর তা বেড়ে ২৬% হবে।

মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দ্বিতীয় একটি বিমানবন্দর না হলে অদূর ভবিষ্যতে কলকাতা থেকে বিমানে যাতায়াত খুবই জটিল হয়ে পড়বে। সে জন্যই এই সিদ্ধান্ত।”

নবান্নের এক কর্তা জানান, রাজ্যের অংশীদার ২৬% হওয়ায় বেশ কিছু ক্ষমতাও রাজ্যের হাতে আসছে। এর মধ্যে প্রধান হল, বিমানবন্দরের বোর্ড অব ডিরেক্টরসে দু’জন সদস্য থাকবে রাজ্য সরকারের। ‘ভেটো’ দেওয়ার ক্ষমতাও থাকবে রাজ্যের হাতে।

রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে-র নেতৃত্বে একটি উচ্চস্তরীয় কমিটিও তৈরি করা হবে। যে কমিটি আর্থিক লেনদেন-সহ বিমানবন্দরের অডিট ও অন্যান্য পরিচালন পদ্ধতির উপরে নজরদারি করবে।

ডিজিসিএ অন্ডাল বিমানবন্দরে উড়ান শুরুর অনুমতি দেয় ২০১৫ সালে।

Source: Millennium Post

 

 

Dear Boys: An initiative by Kolkata police on respecting women

Kolkata Police has launched an initiative named ‘Dear Boys’ to educate teenage school boys – from class IX to XII in 20 schools – in showing respect to women.

The project is directed at teenage boys especially because it is pertinent to realise at a young age that women too are humans with every right to stay out for as long as they want to, wear what they wish to – and everyone must respect that.

Boys who inculcate these values in them will grow up into sensitive and responsible men, and will not be unnecessarily judgmental about women’s choices.

Kolkata Police is conducting this campaign also through posts on its Facebook page. The initiative has found support on social media with many users welcoming the move and giving valuable suggestions.

 

ডিয়ার বয়েজঃ কলকাতা পুলিশের নবতম উদ্যোগ

কিশোর বয়সেই যাতে ছেলেরা মহিলাদের সম্মান করতে শেখে তা নিশ্চিত করতে কলকাতা পুলিশ নিয়েছে এক অভিনব উদ্যোগ। স্কুলপড়ুয়া কিশোরদের প্রশিক্ষণ দেবে পুলিশ যাতে তারা মহিলাদের সম্মান জানাতে শেখে। ২০টি স্কুলের ক্লাস ৯ থেকে ১২ এর ছাত্রদের মধ্যে মহিলাদের প্রতি সম্মানবোধ জাগিয়ে তুলতে দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ।

এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডিয়ার বয়েজ’। কিশোর বয়সেই ছেলেদের নারীর প্রতি সম্মানের ব্যাপারে অবগত করানোই উদ্দেশ্য এই উদ্যোগের। বড় হয়ে এই ছাত্ররা যাতে দায়িত্ববান পুরুষ হতে পারে, তাই নিশ্চিত করবে কলকাতা পুলিশ।

এর উদ্যোগকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে বাহবা জানিয়েছে।

Source: inuth.com

 

Attempts are being made to belittle the culture of Bengal: Mamata Banerjee

Speaking at the inauguration of a community Durga Puja in south Kolkata, Chief Minister Mamata Banerjee reiterated today that she will not allow any riots in the State and ensure that peace and harmony is safeguarded in the State.

 

Extracts from her speech:

I will not tolerate any insult to Bengal, its culture, its heritage, its harmony. While majority of the people are gearing up to soak themselves in the spirit of festivities, a certain section is engaging in vilification, spreading canards and conspiring to belittle Bengal’s culture.

People will not accept any insult to the culture of Bengal. In a democracy, the decision of the people is supreme.

Lakhs of people visit Puja pandals every year. Do Puja organisers discriminate on the basis of whether their name is Ram or Rahim or Paul or Santosh or James? No. Do they discriminate on the basis of religion? No. Why should they?

We take inspiration from Rabindranath Tagore who had written: “Punjab, Sindhu, Gujarat, Maratha, Dravid, Utkal, Banga”. He had also written, “Hindu Bouddho Shikh Joino Parosik Musolman Khrishtani”. Dwijendra Lal Roy had written, “Emon desh ti kothao khuje pabe na ko tumi…” This is our culture.

This is the land of Ramakrishna Paramhansa Deb who had taught us ‘Sarva Dharma Samannayay’. We do not need lectures from others. This is the land of Swami Vivekananda and Sarada Maa. The divine mother is embodied in Maa Durga, Jagadamba, Kali, Siddheswari, Vaishno Devi as well as Santoshi Mata.

Everyone has the right to worship in the way they wish to. This is their fundamental right. If I go to a Muslim function, I am accused of appeasement. But when I go to a Hindu function, am I appeasing Hindus? I go to Chhat Puja also; am I appeasing Biharis then? When I go to the midnight mass on Christmas, am I appeasing Christians?

These allegations of appeasement are extremely humiliating. I believe in humanity. I believe the service of mankind is the biggest religion. I believe in a religion that stands for creation not destruction. I abhor politics of division and riots. I do not support violence or creating feud between people in the name of riots.

The Centre is continuously misusing its agencies against us. But I believe that with the blessings of the divinity, we will defeat such conspiracies.

Subrata Da here has been organising Durga Puja for a long time now. I organise Kali Puja at my home. We have never heard of immersions on Saturdays or Ekadoshi. There are attempts to belittle our festival and culture.

People are living in peace and harmony. But some sections are trying to drive a wedge between them and incite violence.

I perform ‘Chandipath’ every day. I also pray to Allah. I worship Maa Durga as well as Maa Kali. I pray to Maa Lokkhi as well as Maa Saraswati. I celebrate Eid as well as Christmas. Quran, Puran, Ved, Vedanta, Bible, Tripitak, Zend-Avesta, Guru Granth Sahib, Gita – we respect all. This is the culture we have inherited from our parents and we will safeguard it as long as we are alive.

We will not allow riots in Bengal. I am responsible for maintaining peace and prosperity. Those who try to destabilise harmony in the State will be held accountable.

 

 

বাংলার উৎসবকে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা চলছে: মুখ্যমন্ত্রী

 

আজ দক্ষিণ কলকাতার এক দুর্গা পুজো উদ্বোধনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন বাংলার সংস্কৃতি ও উৎসবকে খাটো করার এক চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন এই রাজ্যে তিনি শান্তি বজায় রাখবেন এবং দাঙ্গা লাগাতে দেবেন না।

 

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কিছু অংশ:

যদি আমার বাংলার মানুষ, বাংলার সভ্যতা, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার কৃষ্টিকে গালাগালি দেওয়া হয় তাহলে আমার গায়ে লাগে।বাংলার উৎসবকে ঘিরে যখন মানুষ আনন্দে মেতে ওঠে তখন একদল লোক আছে যারা কুৎসা, অপপ্রচার, চক্রান্ত করে বাংলার উৎসবকে ছোট করে দেখায়।

বাংলার উৎসবকে ছোট করে দেখানো যাবে না। মানুষ গনতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বিচারক এবং মানুষের বিচার সর্বশ্রেষ্ঠ বিচার। কারন মানুষই মানুষের পাহারাদার।

প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ বাংলায় আসেন পুজো দেখতে। তখন কোন পুজো প্যান্ডেলের কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসা করে আপনার নাম রাম না রহিম না পল না সন্তোষ না জেমস? কেউ কি জিজ্ঞাসা করে তুমি হিন্দু না মুসলিম না শিখ না খ্রিস্টান না বৌদ্ধ? কেন জিজ্ঞাসা করবে?

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথায়, পাঞ্জাব, সিন্ধু, গুজরাত, মারাঠা, দ্রাবিড়, উৎকল, বঙ্গ। তিনি লিখেছেন, “হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পারসিক, মুসলমান, খ্রিস্টানি”। দ্বিজেন্দ্রলাল রায় লিখেছেন, “এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি” – এটা আমাদের সংস্কৃতি।

এ মাটিতে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব জন্মেছেন; তার কাছ থেকে আমরা সর্ব ধর্ম সমন্বয় শিখেছি। তার থেকে বড় জ্ঞানদাতা আছে বলে আমি মনে করি না। এই দেশে স্বামী বিবেকানন্দ, সারদা মা জন্মেছেন। এই মাতৃমুখই কখনো মা দুর্গা, কখনো জগদম্বা, কখনো রক্ষাকালী, কখনো চামুণ্ডা কালী, কখনো ছিন্নমস্তা, কখনো সিদ্ধেশ্বরী, কখনো সর্বমঙ্গলা, কখনো কালী, কখনো সিদ্ধেশ্বরী, কখনো সন্তোষী মা।

কে কি পুজো করবে, কোথায় উৎসব করবে এটা মানুষের নিজস্ব অধিকার। আমি মুসলমানদের অনুষ্ঠানে গেলে বলা হয়, আমি তাদের তোষণ করি। আর হিন্দুদের অনুষ্ঠানে গেলে তাদেরকেও তোষণ করি? ছট পুজোর আগের দিন কি দেখতে যাই এটা বাঙালীদের না বিহারিদের উৎসব? যখন আমি বড়দিনে চার্চে যাই তখন কি আমি খ্রিস্টানদের তোষণ করি?

এই কথাটা অপমানজনক, অসম্মানজনক। আমি সেই ধর্মে বিশ্বাস করি যার নাম মানবধর্ম। আমি সেই ধর্মে বিশ্বাস করি যার নাম সর্ব ধর্ম সমন্বয়। আমি সেই ধর্মে বিশ্বাস করি যা সৃষ্টি করা শেখায়, স্রষ্টা কর্তার জন্ম দেয়। যারা মানুষে মানুষে দাঙ্গা লাগায় আমি সেই ধর্মে বা তোষণে বিশ্বাস করি না।

কেন্দ্র অনবরত নানারকম এজেন্সি দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে। কিন্তু আমি এটাও বিশ্বাস করি যদি দেবদেবী বলে কিছু থাকে এই চক্রান্তকে ধুলিস্মাৎ করে দেবে।

সুব্রত দা এখানে অনেক দিন পুজো করছেন। আমার বাড়িতেও মা কালীর পুজো হয়। শনিবার ও একাদশীর দিন কখনো ঠাকুর বিসর্জন দেওয়ার কথা শুনেছেন? উৎসবকে ছোট করার জন্য এসব। মানুষ শান্তিতে আছে, ওদের মধ্যে অশান্তি লাগিয়ে দিচ্ছে। কেন এত হিংসা, এত ষড়যন্ত্র?

আমি রোজ চণ্ডীপাঠ করি। আমি আল্লার কাছে দোয়া মাঙি। আমি মা দুর্গার পুজো করি, মা কালীরও পুজো করি, মা লক্ষ্মীরও পুজো করি, মা সরস্বতীরও পুজো করি। আমি ঈদও পালন করি, বড়দিনও পালন করি। কোরান, পুরান, বেদ, বেদান্ত, বাইবেল, ত্রিপিটক, জেন্দাভেস্তা, গীতা সব কিছুকেই আমরা শ্রদ্ধা করি। আমার সব কৃতজ্ঞতা মানুষের প্রতি কারন মানুষ আমাকে এই পথ দেখিয়েছে।

আমরা বাংলায় দাঙ্গা বরদাস্ত করব না। কেউ অশান্তি করার চেষ্টা করলে আমার থেকে তার বড় শত্রু কেউ হবে না।