সাম্প্রতিক খবর

নভেম্বর ৯, ২০২১

আন্দোলনের 'আ' জানে না ওরা: বিধানসভায় বিজেপিকে কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর

আন্দোলনের 'আ' জানে না ওরা: বিধানসভায় বিজেপিকে কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর

মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশন কক্ষেই বিধায়ক হিসেবে শপথ নেন উপনির্বাচনে চার কেন্দ্রের জয়ী প্রার্থী। অধিবেশন শুরু হওয়ার পরই বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিরোধীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘বিরোধীরা বিধানসভাকে বিধানসভা বলে মনেই করেন না। যখন ইচ্ছা হয়, তখন আসেন, যখন ইচ্ছা হয় না তখন আসেন না। এতে আমার মর্মবেদনা হয়, তবে খারাপ লাগে না।’’

এর পরই নতুন বিধায়কদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আপনারা যাঁরা মানুষের ভোটে জিতে এসেছেন, তাঁদের অভিনন্দন। তবে মানুষের জন্য কাজ করতেই এখানে এসেছেন, সেটা মনে রাখবেন। আমরা আমাদের ভালোবাসা আশীর্বাদ পেয়েছি। মানুষের আশীর্বাদ অহঙ্কার করার জায়গা নয়।’’ ভাষণের একেবারে শেষে মমতার কটাক্ষ, ‘‘বিরোধীদের বলব শুভ বিজয়া, শুভ দীপাবলি, শুভ ছট পুজো এবং শুভ অহঙ্কার।’’

পুজো নির্বিঘ্নে কেটেছে, ছট পুজো এবং জগদ্ধাত্রী পুজোতেও শান্তি বজায় রাখতে হবে। উৎসবের মধ্য দিয়ে বাংলা এগিয়ে চলে

বক্তৃতার মধ্যে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে নানা পরিসংখ্যান তুলে তিনি:

আমরা ইস্তেহারে যা বলি তা পালন করি

দুয়ারে সরকার প্রকল্প সর্বত্র প্রশংসিত হয়েছে। বিশ্বের সেরা প্রকল্প হবে তা। তিন কোটি মানুষ এই ক্যাম্পে পৌঁছেছেন।

আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে ফের শুরু হবে দুয়ারে সরকার প্রকল্প। দুয়ারে রেশন প্রকল্পও শুরু হবে দুয়ারে রেশন প্রকল্প।

লক্ষ্মীর ভান্ডারে উপকৃত হয়েছেন বহু মহিলা।

শীঘ্রই শুরু হবে পাড়ায় পাড়ায় সমাধানের কাজ।

স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডে কয়েক লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী উপকৃত হয়েছে।

১৬ নভেম্বর থেকে স্কুল,কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কৃষক বন্ধু প্রকল্প চালু করেছি।

আগামীদিনে লগ্নির অন্যতম গন্তব্য হবে রাজ্য।

দেউচা পাচামির হাত ধরে অর্থনীতির বদল হবে.

দেউচা পাচামি প্রকল্পের জন্য জমিহারারা আর্থিক ক্ষতিপূরণ ছাড়াও পাবেন বাড়ি। এছাড়াও পরিবারের একজনের কর্মসংস্থান হবে।

রাজ্য সরকার ৩৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে এখানে। এর মধ্যে ১০ হাজার কোটি বিনিয়োগ হবে ত্রাণ ও পুনর্বাসনে । যার ফলে ১ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। সিঙ্গুরের মতো জোর করে জমি নেওয়া হবে না।

পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে ৭২ হাজার কোটির বিনিয়োগ এসেছে।

বাংলায় আমরা ৮ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ দিয়েছি। অন্য রাজ্যের তুলনায় বাংলা কম ভ্যাকসিন পেয়েছে।

সাধারণ মানুষের জন্য কিছুই করেনি কেন্দ্র। তার উপরে বিজেপির আবার কথায় কথায় আন্দোলন। ওরা আন্দোলনের আ জানে না।

ওরা দাম বাড়াবে। আর রাজ্য সরকারকে রাজ্য বিক্রি করে ওদের টাকা দিতে হবে! ওদের বলুন ৪ লাখ কোটি টাকা আয় করেছ। ওই টাকা রাজ্যগুলির মধ্যে ভাগ করে দাও!

ডিজেলের দাম বাড়লে কৃষককে ফসলের দাম বাড়াতেই হবে। আমরা ভর্তুকি দিয়ে চালাচ্ছি। কেন্দ্র থেকে টাকা দেওয়া হয় না।

আচ্ছে দিন আসার বদলে বুরে দিন এসে যায়। প্রার্থনা করব প্রকৃত অর্থে আচ্ছে দিন আসুক।

এদিন, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের প্রসঙ্গও এসেছে তাঁর বক্তৃতায়। বললেন, ‘‘মানুষটা চলে গেল হঠাৎ করে। পাশে বসেই আড্ডা মারতেন। তাঁর তো কোভিড হয়নি। কিন্তু হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকে চলে গেলেন। কিছু জিনিস মানা যায় না।’’