এপ্রিল ১৭, ২০২০
ভুয়ো খবর থেকে দূরে থাকুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ নবান্নে জেলাশাসকদের সঙ্গে এক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বর্তমানে করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে একগুচ্ছ খতিয়ান তুলে ধরেন রাজ্যবাসীর সামনে।
তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশঃ-
হাওড়ার স্থিতি উদ্বেগজনক এবং পুরোপুরি নজরদারি প্রয়োজন। হাওড়াকে আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে রেড জোন থেকে গ্রীন জোন করতেই হবে। হাওড়া ছাড়া আরও তিনটি জেলা সংবেদনশীল, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম বর্ধমান। এগুলিকে আগামী সাত দিনে অরেঞ্জ জোন করতে হবে।
সকলকে বাড়ির মধ্যে থাকতে হবে। মাস্ক ছাড়া কাউকে বাজারে ঢুকতে দেওয়া হবেনা। কোনও দোকানের বাইরে ও ভিতরে পাঁচজনের বেশী মানুষ নিরাপদ দূরত্ব মেনেও জড়ো হতে পারবেন না। সমস্ত বাজারে কঠোর নজরদারি চলবে। দরকার হলে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করা হবে প্রয়োজনে।
খুবই শান্তির বিষয় ১০টি জেলায় একজনও আক্রান্ত হননি। তার মানে এই না যে তারা আর নিরাপত্তা বজায় রাখবেন না।
কড়া নজরদারি চালাতে হবে সীমান্তগুলিতে। এজন্য মালদায় নজরদারি চালাতে হবে। হুগলী জেলায় নজর রাখতে হবে কারণ এখানে প্রচুর ভিন রাজ্যের শ্রমিক আছেন।
আরও ২২জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১৬২। চারজন সুস্থ হয়েছেন।
মুর্শিদাবাদের অবস্থা ভালো না। বাড়ি বাড়ি পরিছন্নতা অভিযান চালানো হচ্ছে। সমস্ত সম্ভাব্য আক্রান্তদের আইসলেশন চাই। উত্তর দিনাজপুর, মালদার আন্তঃরাজ্য সড়কে নজরদারি চালাতে হবে। শিলিগুড়িতেও নজরদারি চালাতে হবে। ব্যাঙ্কগুলোকে বলা হয়েছে ৭ জনের বেশি কাস্টমারকে একসঙ্গে ডাকবেন না। জেলাশাসকরা এটায় নজর রাখবেন। লকডাউনের বিধি যে ভাঙবে তার বিরুদ্ধে এফআইআর করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রেশন দোকানদের বলা হয়েছে ৫ কিলোর প্যাকেট রেডি রাখতে। তাতে ভিড় হবেনা। প্রয়োজনে স্থানীয় ক্লাব পরিষ্কার করে সেখানে প্যাকেট তৈরি করা যেতে পারে। কলকাতা ও হাওড়ার সব রেশন দোকানে সমস্ত নিয়ম কঠোরভাবে পালন করতে হবে।
১০০ দিনের কাজের সঙ্গে যুক্তদের অন্যান্য কাজে নেওয়া হবে। কয়েকটি জায়গায় পাট কারখানা খুলতে কিছু পরিকল্পনা নিতে হবে। যেমন হাওড়ায় পাট কলে কর্মী সংখ্যা ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করতে হবে। কেউ যেন অভুক্ত না থাকে। স্নেহের পরশ প্রকল্পে পরিযায়ী শ্রমিকদের ১০০০ টাকা করে দেওয়া হবে যারা ভিন রাজ্যে আটকা পড়েছেন।
সাংবাদিকদের বিশেষ বীমার আওতায় আনা হবে। জেলাশাসকরা দেখবেন সকল জেলার সাংবাদিকরা যেন বীমার আওতায় থাকেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর থেকে দূরে থাকুন। এরম খবর দেখতে পেলেই পুলিশকে জানান।