সাম্প্রতিক খবর

এপ্রিল ২০, ২০২০

নিয়মের বাইরে গিয়ে একতরফা সিদ্ধান্তঃ আগে থেকে না জানিয়ে আইএমসিটিকে পাঠানো প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

নিয়মের বাইরে গিয়ে একতরফা সিদ্ধান্তঃ আগে থেকে না জানিয়ে আইএমসিটিকে পাঠানো প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

নিয়মের বাইরে গিয়ে একতরফা সিদ্ধান্তঃ আগে থেকে না জানিয়ে আইএমসিটিকে পাঠানো প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি লেখেন করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকার কি ব্যবস্থা নিয়েছে সেটা দেখতে আইএমসিটি পাঠানো নিয়ে।

তিনি কেন্দ্রের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। পাশাপাশি এও বলেন, এই উদ্যোগ সম্পূর্ণ রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে করা হয়েছে যা নিয়মের বাইরে গিয়ে একতরফা সিদ্ধান্ত।

তিনি লেখেন কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রী তাঁকে ফোন করে বেলা ১টার সময় এই কেন্দ্রীয় দলের আসার কথা জানান। এনাদের যাতায়াতের জন্য রাজ্য সরকারের যানবাহনের ব্যবস্থা করার কথা। কিন্তু এই কেন্দ্রীয় দল ১০:১০এ কলকাতায় পৌঁছে যায় এবং বিএসএফ, এসএসবির মত কেন্দ্রীয় সংস্থাদের সাহায্য চান যানবাহনের জন্য রাজ্য সরকারকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে।

এছাড়া, এই অর্ডার যার তারিখ ১৯শে এপ্রিল তাও মুখ্যসচিবের কাছে পৌঁছোয় এই টিম আসার আধ ঘণ্টা আগে। তিনি লেখেন, সাধারণত, এসব ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় দল সরেজমিনে তদন্ত করার আগে রাজ্যকে জানায়।

তিনি গৃহমন্ত্রীর পাঠানো চিঠির কথা উল্লেখ করে বলেন, সেখানে লকডাউন ভঙ্গের একাধিক অভিযোগের কথা বলা হয়েছে যার জন্য নাকি অনেক জেলায় অবস্থা চরমে পৌঁছেছে বলে দাবী করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

উদাহরণ দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন ২রা এপ্রিল শেষ করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে কালিম্পং থেকে এবং ৪ঠা এপ্রিল দার্জিলিং থেকে। অতএব বলাই যায় এইসব দাবী নিছক কাল্পনিক এবং দুর্ভাগ্যজনক।

তিনি চিঠি শেষ করেন এই বলে যে রাজ্য সরকার সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের সঙ্গে যৌথভাবে করোনা মোকাবিলা করছে এবং লকডাউন ঘোষণা ও লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা কেন্দ্র করার আগেই রাজ্য করে সুতরাং রাজ্য কেন্দ্র উভয়ের স্বার্থে এরকম একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে কেন্দ্রের বিরত থাকা উচিৎ এবং করোনা মোকাবিলায় সারাক্ষণ একজোটে কাজ করা উচিৎ।

এই চিঠি পাঠিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইটও করেন এই বিষয়ে। তিনি লেখেন আমরা করোনা মোকাবিলায় গঠনমূলক সহযোগিতা চাই এবং ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট ২০০৫ এর ভিত্তিতে নেওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের কিছু জেলায় এই পরিদর্শক দল পাঠানোর কারণ অস্বচ্ছ।

তিনি গৃহমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী উভয়কে আর্জি জানান, এই কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর কারণ জানাতে। এই কারণ না জানালে রাজ্যের পক্ষে এই নিয়ে অগ্রসর হওয়া সম্ভব না এবং এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর মর্যাদা নষ্ট করবে।