সাম্প্রতিক খবর

এপ্রিল ২৪, ২০১৮

মৎস্য দপ্তরের উন্নয়ন

মৎস্য দপ্তরের উন্নয়ন

২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার রাজ্যের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়েছে, হাতে নিয়েছে প্রতি দপ্তরের জন্য অনেক প্রকল্প।

অন্যান্য দপ্তরগুলির মতো মৎস্য দপ্তরও অনেক প্রকল্প নিয়েছে রাজ্যে মাছ চাষ বাড়িয়ে রাজ্যবাসীকে পৌষ্টিক খাদ্য তুলে দিতে রোজকার খাদ্য তালিকায়। এই উদ্যোগের ফলে রাজ্যে অর্থ সামাজিক পরিবর্তনও হয়েছে, হয়েছে প্রচুর কর্মসংস্থান। এই দপ্তরের প্রতিটি কাজের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে পঞ্চায়েতি পরিকাঠামোকে।

এক দশকেরও বেশী সময় ধরে দেশের মধ্যে আন্তঃদেশীয় মৎস্য চাষে নজির সৃষ্টি করেছে বাংলা, সাফল্য পেয়েছে সামুদ্রিক মৎস্য চাষেও। ২০১৭-১৮ সালের ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত ১৩.৪২ লক্ষ মেট্রিক টন উৎপাদন হয়েছে, সেখানে মার্চ মাসের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা ১৭.৫২ লক্ষ মেট্রিক টন। মাছের চারা উৎপাদন হয়েছে ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত ১২৪০০০ লক্ষ। আমাদের রাজ্য দেশের মাছের চাহিদার ৪০ শতাংশ সরবরাহ করে। ২০১৮-১৯ থেকে আমাদের রাজ্য প্রতিবেশী রাজ্য গুলিকেও মাছের চারা সরবরাহ করবে।

মৎস্য উৎপাদন বাড়াতে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে ‘ময়না মডেল’ চালু করা হয়েছে। মূল চাষ করা হবে রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের। সাতটি জেলায়, কোচ বিহার, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, নদীয়া, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং কল্যাণী ফিশ ফার্ম, বড় সাগর দিঘীতে। এই প্রকল্পের অধীনে মডেল ফিশ ফার্ম খোঁজা হয়েছে যেখানে জলাশয় ৯০ একরের মতো। ১১০জন মৎস্য চাষইকে বাছা হয়েছে এই প্রকল্পে। এই প্রকল্পের জন্য ৭৮৩.৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে এই অর্থবর্ষে।

রপ্তানিতেও রাজ্য ভালো কাজ করছে। ২০১১-১২ সালে ৬১৭০৯ মেট্রিক টন মাছ ও মতস্যজাত দ্রব্য রপ্তানি করে ১৭৩৪ কোটি টাকা আয় হয়েছে। ২০১৬-১৭ সালে ১০৪৭৬২ মেট্রিক টন মাছ ও মতস্যজাত দ্রব্য রপ্তানি করে ৪৪৫৫.৭৪ কোটি টাকা আয় হয়েছে।

মাছ চাষে বিনিয়োগ আনতে রাজ্য সরকার ‘দি ওয়েস্ট বেঙ্গল ফিশারিজ ইনভেস্টমেন্ট পলিসি ২০১৫’ শুরু করেছে। ২০১৫-১৭ বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন থেকে ৩০টি প্রকল্প যাতে আনুমানিক বিনিয়োগ হবে ৩৩৯.৩৫ কোটি টাকা শুরু হয়েছে। বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন ২০১৮ তে এছাড়া ১৯টি মৌ স্বাক্ষরিত হয়েছে যার মূল্য ৭৬০.৩০ কোটি টাকা।