এপ্রিল ২১, ২০১৮
সেচ দপ্তরের উন্নয়ন

২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার রাজ্যের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়েছে, হাতে নিয়েছে প্রতি দপ্তরের জন্য অনেক প্রকল্প।
শেষ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সেচ উন্নয়ন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, যোগাযোগ উন্নয়ন ব্যবস্থায় নজির সৃষ্টি করেছে। আগের বছরের মতো ২০১৭-১৮ তেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন হয়েছে।
ভূপৃষ্ঠস্থ সেচের ক্লাস্টার প্রকল্প ও দশটি চেক ড্যামের মাধ্যমে ৯৬৬০০ একর জমিতে সেচের সম্ভবনা পুন: প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে।
খারিফ মরশুমে ২০৭৫৬০০ একর জমিতে ভূপৃষ্ঠস্থ জলের মাধ্যমে সেচ ও রবি/বোরো মরশুমে ৫২৫৬০০ একর জমিতে ভূপৃষ্ঠস্থ জলের মাধ্যমে সেচ করা হচ্ছে।
বন্যা নিয়ন্ত্রণে বাঁধ, নদীর পাড় রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে ৩৯৩ কিঃমিঃ। এই জেলাগুলি হল উত্তর, পশ্চিম, মধ্য ও দক্ষিণ বঙ্গ। আয়লা অধ্যুষিত সুন্দরবনে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে।
পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলী, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও কলকাতায় ‘কালিয়াঘাই-কপালেশ্বরী-বাঘাই বেসিন ড্রেনেজ প্রকল্পের’ অধীনে ২২৫ কিঃ মিঃ নিকাশি নালা পরিষ্কার করা হয়েছে।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেচের খাল ও নিকাশি চ্যানেলের ওপর ৭০ নতুন আরসিসি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে।
সেচের জন্য গ্রহণ করা বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি খালের সাহায্যে ২০১৭-১৮ সালে রবি/বোরো সেচ কভারেজ করা হয়েছে ৫২৫৬০০ একর জমিতে। যা অন্তত গত চার দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। আর এটি সম্ভব হয়েছে গত কয়েক বছর ধরে সেচ পরিকাঠামোর পুনরুজ্জীবনের জন্য।
এছাড়াও ১৩২২০০ একর জমিতে সেচ কাজ করা হয়েছে নিকাশি চ্যানেল গুলিতে জোয়ারের জল দিয়ে।
বন্যা নিয়ন্ত্রণে একগুচ্ছ প্রকল্প
বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা বন্ধ হওয়া সত্ত্বেও রাজ্যের সেচ ও জলপথ দপ্তর সম্পূর্ণ নিজের খরচে কান্দি ও মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমের সংলগ্ন অঞ্চলে প্রশমন এবং নিষ্কাশনের উন্নয়ন মূলক প্রকল্পে হাত দিয়েছে। ২০১৯ সালের জুন মাসের মধ্যে এই প্রকল্পসেশ হওয়ার কথা।
একইভাবে কেন্দ্রীয় অনুদান বন্ধ থাকা সত্ত্বেও ২০১৭-১৮ সালে রাজ্যের সেচ ও জলপথ দপ্তর প্রায় ‘কালিয়াঘাই-কপালেশ্বরী-বাঘাই অববাহিকা নিষ্কাশন প্রকল্পের ’ কাজ শেষ করে ফেলেছে। শুধু কালিয়াঘাই নদীতে রাবার ড্যাম নির্মাণ ও কিছু টারসিয়ারি ড্রেনের চ্যানেলের কাজ বাকি আছে।
২০১৮-১৯ সালের মধ্যে সুন্দরবনের আয়লা অধ্যুষিত আরও ৩৯ কিলোমিটার এলাকায় বাঁধ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।