সাম্প্রতিক খবর

এপ্রিল ১৭, ২০২০

এখন রাজনীতি করবেন না। আমাদের একসঙ্গে লড়াই করতে হবেঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  

এখন রাজনীতি করবেন না। আমাদের একসঙ্গে লড়াই করতে হবেঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  

করোনা মোকাবিলা করতে রাজ্য সরকার আজ পর্যন্ত কি কি ব্যবস্থা নিয়েছে, ভবিষ্যতে কি কি ব্যবস্থা নেবে সেই সকল খতিয়ান মানুষের সামনে তুলে ধরতে আজ নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশঃ-

করোনা নিয়ে অনেক ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে। পুলিশকে বলেছি ব্যবস্থা নিতে

এখন থেকে প্রতিদিন এই সংক্রান্ত বুলেটিন এবং প্রেস বিজ্ঞপ্তি বেরোবে

এখন পর্যন্ত আক্টিভ পজিটিভ কেসের সংখ্যা ৬১ যার মধ্যে সাতটি পরিবার থেকেই ৫৫টি কেস এবং এর মধ্যে ৯৯ শতাংশ কেসের সঙ্গে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ আছে

কালিম্পঙে একই পরিবারে ১১ জন আক্রান্ত। এর মধ্যে চারজনের আজ নেগেটিভ এসেছে যা খুব ভালো লক্ষণ

সেনা চিকিৎসকের পরিবারের পাঁচজন আক্রান্ত

হাওড়ায় আট জন, কলকাতায় ১২ জন, তেহট্টে পাঁচ জন, হলদিয়ায় দুজন আক্রান্ত

করোনায় মৃত্যু হয়েছে মোট তিনজনের। এর পাশাপাশি সুস্থ হয়ে ছাড়া পেয়েছেন ১৩ জন

বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল থেকে ১৩ জন ছাড়া পেয়েছেন। যে ১৭ জন ভর্তি তার মধ্যে ১২ জনের অবস্থারও উন্নতি হচ্ছে

করোনার ফলে সমস্ত লকডাউন হওয়ায় যা আর্থিক বিপর্যয় হয়েছে তা থেকে মুক্তির দিশা পেতে রাজ্য সরকার গ্লোবাল অ্যাডভাইসরি বোর্ড গঠন করেছে। এই কমিটি মুখ্যমন্ত্রীকে নীতি নির্ধারণে সহায়তা করবে। কমিটির সদস্যরা হলেনঃ

ডঃ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া থাকছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রাক্তন ডঃ স্বরূপ সরকার ও ডঃ সুকুমার মুখোপাধ্যায়

১৯৯১ থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে রাজ্যে ম্যালেরিয়ায় লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যান। আমরা সেই ম্যালেরিয়া রুখেছি, এই সমস্যাও আমরা সামলাবো

ডেঙ্গুতেও বেশ কিছু মানুষ মারা যান ম্যালেরিয়ার মত। করোনার পাশাপাশি সেটাও রুখতে হবে। এজন্য আমরা বৈঠক করেছি

নেপাল ও ভূটান সীমান্ত এবং কালিম্পঙের কেসের জন্য চা বাগান খোলার বিষয়টি স্থগিত রাখতে বলেছি

আমরা ১১ লক্ষ পিপিই অর্ডার দিয়েছি। পেয়েছি ২.০৭ লক্ষ। ৫ লক্ষ পিপিই চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রের থেকে

২১ জানুয়ারি প্রথম করোনার কেস পাওয়া যায়। লকডাউন করা হয় ২৪ মার্চ থেকে। এতো দেরীতে কেন কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিল, আমাদের কাছে তা স্পষ্ট নয়

গতকাল কেন্দ্রের থেকে ৩ হাজার পিপিই পেয়েছি যা হলুদ রঙ করা। এটি সাদা নীল রঙের হওয়ার কথা। আমাদের এটা পরীক্ষা করতে হবে

আমরা যা অর্ডার দিয়েছি সেখান থেকে রোজ ১৫ হাজার সেট পাচ্ছি

৫ লাখের মধ্যে কেন্দ্র মাত্র ১০ হাজার এন৯৫ মাস্ক দিয়েছে

থার্মাল গান ও গ্লাভসের পাশাপাশি টু প্লাই এবং থ্রি প্লাই মাস্কেরও অর্ডার দেওয়া হয়েছে

কত পরিমাণে কি কি অর্ডার দেওয়া হয়েছে এবং কত কি পাওয়া গেছে সেই দেখে দৈনিক একটি তালিকা তৈরি করে বিলি করা হবে

ডাক্তার ও নার্সদের ভালো রাখতে হবে। তাই, যে হাসপাতালে আসবেন নিজের কেস হিস্ট্রি গোপন করবেন না

রাস্তায় বেরোলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি মাস্ক পরা আবশ্যিক

বাড়ি ফিরে জামাকাপড় এবং জুতো পাল্টে তা ধুয়ে নিন

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক রাখতে এখন পুষ্টিকর খাবার খান

সকল রাজননৈতিকদের আবেদন করবো এখন রাজনীতি করবেন না। আমাদের একসঙ্গে লড়াই করতে হবে

বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের বোর্ড যা বলবে সকলকে তা মানতে হবে