সাম্প্রতিক খবর

অগাস্ট ৩১, ২০২০

অ্যাক্ট অফ গডের আগে ছিল অ্যাক্ট অফ ফ্রডঃ অমিত মিত্র

অ্যাক্ট অফ গডের আগে ছিল অ্যাক্ট অফ ফ্রডঃ অমিত মিত্র
৩০শে আগস্ট এক সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র কোভিড অতিমারি শুরুর আগে জিডিপির পতন নিয়ে কেন্দ্রকে তুলোধোনা করেন এবং অর্থনীতি তলানিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করেন।
রাজ্যগুলিকে দেনায় ডোবানো
অমিত মিত্র বলেন, অ্যাক্ট অফ গডের নামে বিপুল বোঝা চাপানো হচ্ছে রাজ্যগুলির ওপর। তিনি বলেন, এটি সম্পূর্ণ পূর্ব পরিকল্পিত যাতে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো নষ্ট হয় এবং কেন্দ্রের একচ্ছত্র অধিকার চালানো যায় রাজ্যের ওপর।
কেন্দ্র রাজ্যের ঘাড়ে বিপুল দেনা চাপাচ্ছে যাতে রাজ্যের অর্থভান্ডার ধুলিস্যাত হয়। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, আমাদের রাজ্য কেন্দ্রের নির্দেশ মাঞ্ছে না যেখানে বলা হচ্ছে রাজ্যগুলি ঋণ নিতে পারে।
কেন্দ্রের বিকল্পগুলো অচল
কেন্দ্রের দেওয়া দুটি ঋণের প্রস্তাবকেই বাংলা অস্বীকার করেছে। এবার জিএসটি বাবদ পাওনা নিয়ে বিজেপি শাসিত রাজ্যসহ অন্যান্য সমমনস্ক রাজ্যগুলিকে নিয়ে কথা হবে। কেন্দ্রকেও জানানো হবে যে এই নতুন কর ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছে।
যেদুটি ঋণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, সেগুলি হল, জিএসটির ঘাটতি সরাসরি ধার নেওয়া যা কেন্দ্র সেসের মাধ্যমে শোধ করবে বা, পুরো ঘাটতি বাজার থেকে ধার নেওয়া নির্দিষ্ট সুদে।
বাংলা প্রথম প্রস্তাব খারিজ করে কারণ এর ফলে বাংলা ১.৩৮ লক্ষ কটি টাকার দেনায় ডুবে যাবে। কারণ, কেন্দ্র কিভাবে এই ধার মুকুব করবে, তা স্পষ্ট করে বলা নেই।
দ্বিতীয় প্রস্তাব খারিজ করা হয় কারণ এতে সুদের হার বাড়বে।
অমিত মিত্র আরও বলেন, বাংলা এফআরবিএম নির্দেশিকা মেনে যতটা সম্ভব ধার নিলেও ১৫,০০০ কোটি টাকা ঘাটতিতে থাকবে।
অ্যাক্ট অফ ফ্রড
নোটবন্দীর আগে দেশের জিডিপি ছিল ৮ শতাংশ। নোটবন্দীর পর কমে হয় ৪ শতাংশ।
কেন্দ্রের অ্যাক্ট ও গড তত্ত্বকে দুরমুশ করে তিনি বলেন, অ্যাক্ট অফ গডের আগে ছিল অ্যাক্ট অফ ফ্রড। তিনি বলেন তাহলে তো নোটবন্দী আর
অপরিকল্পিত জিএসটিকেও অ্যাক্ট অফ গড বলতে হয়।
বিশ্বাসের ঘাটতি
তিনি জিএসটি চালু করার মনোবৃত্তি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। ২০১৬ সালের এমপাওয়ারড কমিটির বৈঠকের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, সেই বৈঠকে ছিলেন
বর্তমানের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী যিনি বলেন, জিএসটি বাস্তবায়নের জন্য আমি ইউপিএ সরকারকে বিশ্বাস করি না।
এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় কেন্দ্র রাজ্যগুলোকে পাঁচ বছরের জন্য জিএসটি বাবদ ক্ষতিপূরণ দেবে।
এখন এই বৃত্ত সম্পূর্ণ হয়েছে। এখন রাজ্যগুলিও বলছে আমরা কেন্দ্রকে বিশ্বাস করি না, অমিত মিত্র বলেন।
সমাধানঃ কেন্দ্র ধার নিয়ে রাজ্যকে দিক
খুব ভালো হয় যদি কেন্দ্র ধার নিয়ে রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেয়। যদি রাজ্যগুলি ধার নেয়, তাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ হবে। অমিত মিত্র বলেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াও চায় কেন্দ্র ধার নিয়ে রাজ্যগুলিকে দিক।