জানুয়ারী ২২, ২০২৪
সব ধর্মকে বাঁচিয়ে রাখতে বাংলাকেই উদ্যোগী হতে হবে : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিয়ে সংহতি যাত্রা শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিশেষ সংহতি যাত্রা কর্মসূচিতে ওনার বক্তব্যের কিছু অংশ
বাংলার মানুষকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে, সব ধর্মকে বাঁচিয়ে রাখতে বাংলাকেই উদ্যোগী হতে হবে
ভোট এলেই একদল লোক দেশটাকে বিক্রি করে দিয়ে চলে যাবে
নির্বাচন এলে বড় কথা বলে, ধর্মের সুড়সুড়ি দেয়, হিন্দু ধর্মকে ভাগ করছে, কেউ কেউ আবার দালাল নেতা তৈরী করছে
১০০ দিনের কাজের টাকা দেয় না, গ্রামের রাস্তা-আবাসনের কাজ বন্ধ, বলছে গৈরিকী রং করতে হবে. কত রং আছে, গেরুয়া কেন করবো, কেন কোন দলের রাজনৈতিক লোগো ব্যবহার হবে
এন আর সি যখন চাপাবে বলেছিলো তখন কত মারা গেছে কেউ খবর রেখেছে? তখন বাকি নেতারা কোথায় ছিল? একমাত্র তৃণমূল রাস্তায় নেমেছিলো মানুষের স্বার্থে
বাবরি যখন ধ্বংস হয়েছিল তখন বিজেপি কোথায় ছিল
আমি ধর্ম মানি
যারা দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক ভাঙার কথা বলছে তারা কোন মুখে নিজেদের হিন্দু ধর্মের প্রবর্তক বলেন?
কে কি খাবে, কে কি পড়বে সব ওরা ঠিক করে দেবে
আমরা ওদের বিরুদ্ধে কথা বলি তা আমার পুরো পরিবারকে চোর বানিয়ে দিয়েছে
ইন্ডিয়া নাম আমি দিয়েছি, আমি যখন মিটিং এ যাই দেখি সিপিএম মিটিং কন্ট্রোল করছে, ৩৪ বছর করেছে আর না, আমি ওদের উপদেশ মানব না, আমার যথেষ্ট অপমান হয়.আমি সেটা মানব না
একটা লড়াই শুরু হয়েছে। আর এই লড়াই চলবে। আমরা না ভয় পেয়ে লড়ব। আমরা কাপুরুষ নয়। তাই আমরা লড়ব।
বিজেপিকে আমরা একটাও সিট ছাড়বো না
গরিবকে মেরে যা খুশি করো না
আমি আন্তর্জাতিক চ্যানেলকে শ্রদ্ধা করি, এ দেশের চ্যানেলগুলোকে আম্বানি আদানীকে বেচে দিচ্ছে, সব ওদের কথামতো হয়
নিউজ চ্যানেল দেখবেন না, দেখলে টেনশন হবে। ওরা ইচ্ছে করে খবর করে যাতে চ্যানেল তা চলে .আমি কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে নেই, আমি চ্যানেল কর্তাদের বিরুদ্ধে।আমার লজ্জা হয় এসব দেখে
নেতাজির জন্মদিনে ওদের ছুটি দেওয়ার কথা বলেছিলাম। দেয়নি। আর আজ ওরা ছুটি চাইছে। ছুটি দিচ্ছে। কারণ আজ নাকি ওদের স্বাধীনতা দিবস।
স্বামী বিবেকানন্দ হিন্দু নয় সেটাও এখন আমায় ওদের থেকে জানতে হবে?
সবাইকে আজকের দিনে ছুটি দিয়ে বলছে ঘরে থাকো, আর আমার মন কি বাত শোনো
রাম নিয়ে কথা হয় সীতা কৌশল্যা নিয়ে কথা হয় না তাহলে কি তোমরা নারী বিরোধী?
বাংলাই পথ দেখাবে