সাম্প্রতিক খবর

জানুয়ারী ২৩, ২০২৪

পলিটিক্যাল প্রচারের জন্য ছুটি হয় কিন্তু দেশনায়কদের জন্মদিনে হয় না : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

পলিটিক্যাল প্রচারের জন্য ছুটি হয় কিন্তু দেশনায়কদের জন্মদিনে হয় না : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ নেতাজির ১২৭ জন্মবার্ষিকীতে আবক্ষ মূর্তিতে ফুলের মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেড রোডের এই অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য

তিনি যা বলে গিয়েছিলেন দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে, তাঁর কথাগুলো যদি মান্য করে আমরা চলতাম, দেশ আরও উন্নত হত।

তিনি তৈরি করেছিলেন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি। তিনি বিশ্বাস, ঐক্য ও ত্যাগের কথা বলেছিলেন। লেখার বলেছিলেন, ডিটারমিনেশন, ডেডিকেশন না থাকলে জীবনে বড় হওয়া যায় না। তিনি লিখেছিলেন, ত্যাগ আর উপলব্ধি কয়েনের এপিঠ ওপিঠ। তিনি বলেছিলেন, ১৬ আনা পেতে হলে ১৬ দিতে হবে।

আমরা যদি কাউকে ফলো করে থাকি, তাঁরা হলেন. নেতাজি, বিবেকানন্দ, রামকৃষ্ণ। তাঁরা সমাজ গড়তে, সংবিধান তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন।

নেতাজি তৈরি করেছিলেন প্ল্যানিং কমিশন। আমাদের কী দুর্ভাগ্য, যে মানুষটা দেশের জন্য লড়াই করতে গিয়ে কোথায় যে হারিয়ে গেলেন, আজ পর্যন্ত আমরা জানতে পারলাম না। তাঁর জন্মদিনটা জানলেও মৃত্যুদিনটা জানি না। এটা চিরঅমবস্যার অন্ধকারে আমরা ডুবে। আমাদের সরকার আসার পর ৬৪টা ফাইল ছিল। সেগুলি পাবলিক ডমেনে এনেছিলাম। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার আগেই বলেছিল, রহস্য উদঘাটন করব।কিন্তু সবাই সব ভুলে যায়।

আজ প্ল্যানিং কমিশন নেই, কোনও প্ল্যান নেই দেশের জন্য। প্ল্যানিং এখন কিলিংয়ের মধ্যে চলে গিয়েছে। তৈরি হয়েছে নীতি আয়োগ। যার না আছে নীতি, যার আছে আয়োগ।

দেশের নেতা তো তাঁকেই বলে, যাঁর একপাশে থাকে, হিন্দু, আরেকপাশে থাকে মুসলিম, জৈন, খ্রীষ্টান।

তিনি আমাদের লড়তে শিখিয়েছিলেন, বাঁচতে শিখিয়েছিলেন। গান্ধীজীকে তাঁকে প্রথম দেশনায়ক বলে অভিহীত করেছিলেন। আমি বিশ বছর ধরে চেষ্টা করেও তাঁর জন্মদিনটা জাতীয় ছুটির দিন হিসাবে ঘোষণা করতে পারি নি। আমি ক্ষমাপ্রার্থী, আমি লজ্জিত।

এদেশে পলিটিক্যাল প্রচারের জন্য ছুটি হয়ে যায়। কিন্তু দেশনায়কদের জন্মদিনে হয় না।