ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩
তৃণমূলই ডবল ইঞ্জিন সরকারকে হটাবে : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ ত্রিপুরায় নির্বাচনী বক্তব্য রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ:
আপনাদের এবং আমার ভাষা এক। বাংলা, ত্রিপুরার সংষ্কৃতির কোনও পার্থক্য নেই। ত্রিপুরাটা আমার পুরোটাই আবার ঘোরা। রাজনীতি করার সুবাদে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরেছি। কাজেই ত্রিপুরা একেবারেই আমার কাছে কোনও নতুন জায়গা নয়।
নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে দিতে অভিষেককেই দায়িত্ব দিয়েছিলাম যাতে তাঁরা ত্রিপুরাকে অত্যাচারমুক্ত করতে পারে। বলেন, এই রাজ্যে অভিষেক, সুস্মিতা দেবের উপর হামলা হয়েছে। বুলেটপ্রুফ গাড়ি না হলে সেদিন অভিষেক বেঁচে ফিরতেই পারত না।
গতকাল আমি মাতাবাড়ির মন্দিরে গিয়েছিলাম। এখনও একই রকম অবস্থা। গত কয়েক বছরে কোনও উন্নয়নে হয়নি। আমাদের দক্ষিণেশ্বর, কালীঘাট, তারকেশ্বরে গিয়ে দেখুন। কত কাজ হয়েছে সেখানে।
কোভিড আবহে যেখানে দেশজুড়ে বেকারত্বের হার বেড়েছে সেখানে আমাদের রাজে ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমেছে। জানান, যদি এই রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসে সেক্ষেত্রে এখানেও বাংলার মতো উন্নয়নের জোয়ার বইবে। হবে কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো জনমুখী প্রকল্পও।
বাংলায় যে উন্নয়ন হয়েছে তার অনেকটা ভাগ ত্রিপুরাবাসীও পাবে। বাংলার থেকে ত্রিপুরার দূরত্বও বেশি নয়। বাংলা আর ত্রিপুরা দুই ভাই-বোন। সুযোগ পেলে এখানে হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউন তৈরি করা হবে।
সংবিধান, ইতিহাস ভুলিয়ে দিয়েছে ওরা। দেখা যাক, ২০২৪-এ কী হয়। তৃণমূলই ডবল ইঞ্জিন সরকারকে হটাবে।
একসময়ে আমাদেরও শেষ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু মনে রাখবেন, ঘাসকে কখনও শেষ করা যায় না। এখন আমরা বড় বৃক্ষ হয়ে গিয়েছি। এখন আর আমাদের শেষ করা যাবে না।
নির্বাচনের পর ফের ত্রিপুরাতে আসব। ডবল ইঞ্জিন হয় নাকি সিঙ্গল ইঞ্জিন হয় সেটা দেখব। আমরা ত্রিপুরাকে ছাড়ছি না।