Bengal Govt gearing up to turn historical towns into heritage cities

The State Tourism Department has decided to turn each of the well-known historical towns of Bengal into a ‘heritage city’.

Cooch Behar, with its royal palace and famous lake (Lal Dighi), and 2, with its cultural heritage linked to Chaitanya Mahaprabhu, are first on the list.

The State Government has appointed IIT Kharagpur (for Cooch Behar) and IISER Shibpur (for Nabadwip) to prepare detailed project reports (DPR). The renovations and modernisations of the tourist sites and facilities would be taken up based on the DPRs.

Work is expected to begin this year itself. Among the areas to be looked into are the electricity and sewage systems of the places. Similar steps would be taken up gradually for the other famous places in the state.

পর্যটনে সুদিন আনতে ঐতিহ্যের শহরে রুপটান

মাথায় মহামহিম হিমালয়। পদতল ধুয়ে দিচ্ছে বঙ্গোপসাগর। এহেন প্রাকৃতিক ঐশ্বর্যের পশ্চিমবঙ্গে ছড়িয়ে আছে সাংস্কৃতিক আর ঐতিহাসিক সম্পদ। পর্যটন জোয়ার আনতে এ বার রুপটান পড়তে চলছে সেই সব ঐতিহ্যবাহী অঞ্চলে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধোপাধ্যায় ঠিক করেছেন ,পর্যটক টানতে রাজ্যের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী শহরে সংরক্ষণ ও সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে। উত্তরে কোচবিহার এবং দক্ষিণে নবদ্বীপকে দিয়ে শুরু হচ্ছে সেই কাজ।

ব্রিটিশ আমলের বাংলার একমাত্র রাজন্যশাসিত রাজ্য কোচবিহারের অন্যতম ঐতিহ্য তার দিঘি ,প্রাসাদ ও বাড়ি।আর গৌড়ীয় সংস্কৃতির পীঠস্থান নবদ্বীপের ঐতিহ্য তার মন্দিরে ,তার চৈতন্যসংস্কৃতিতে। এসবই সংরক্ষণ করে দুই শহরের প্রাচীন রূপ ফিরিয়ে আনার কাজ করবে সরকার।

কি ভাবে তা করা হবে ,তার সবিস্তার রিপোর্ট তৈরির দায়িত্ব পেয়েছে আইআইটি খড়্গপুর এবং আইআইএসটি শিবপুর। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে ,ঐতিহ্যবাহী শহরের সার্থক রূপ দিতে মাটির তলা দিয়ে শহরের বিদ্যুতের সংযোগ এবং নিকাশির ব্যবস্থা হবে।

এর পর ধাপে ধাপে বিষ্ণুপুর-সহ ঐতিহ্যবাহী সব শহরকেই সংরক্ষণের আওতায় আনার পরিকল্পনা আছে।

Durga Puja Bisarjan carnival held on Red Road

A special procession of more than 60 Durga Puja committees who have won the Biswa Bangla Sharad Samman was organised today on Red Road on the way to the bisarjan, or immersion from 5 PM. The Carnival was live telecasted on Mamta Banerjee’s Facebook page.

This bisarjan carnival, initiated by Bengal Chief Minister Mamata Banerjee last year, was a unique show that gave an opportunity to all to see the best pratimas at one place.

From the beautiful dance movements to the rhythmic beats of dhaks to the soul-stirring sounds of dhamsas and madals; from frames that captured Kolkata’s built heritage of a bygone era to the memories of the past – the bisarjan carnival on Red Road last year was a riot for the senses.

Bengal Chief Minister Mamata Banerjee wrote on her Facebook page that:

” The unique Carnival after Durga Puja, the biggest festival of the world, was held today at Red Road, Kolkata.

This is being organised by our government for the second time after its phenomenal success last year.

Noted puja organisers with idols of Ma Durga took part in this colourful programme accompanied by beautiful processions depicting the rich cultural heritage of Bengal, the harmony and unity of Bengal, the pioneering state government schemes like Kanyashree, Sabuj Sathi, the forthcoming U-17 World Cup and many, many interesting themes.

Thousands and thousands of visitors along with dignitaries from all walks of life and distinguished guests from the country and abroad witnessed this spectacular event.

Millions of viewers all over the world also saw live streaming of the event on Facebook and online coverage.

My heartiest greetings and best wishes to all.

 

রেড রোডে দুর্গা বিসর্জনের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা

কলকাতার রাজপথে বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান পুরস্কার জয়ী প্রায় ৬০টির ও বেশি দুর্গাপ্রতিমা বিসর্জনের এক বিরাট শোভাযাত্রার আয়োজন করা হল।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় এই অভূতপূর্ব শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে গত বছর থেকে যাতে একই জায়গায় মানুষ এবারের সবকটি উত্কৃষ্ট প্রতিমা দেখার সুযোগ পান ও কার্নিভালের আমেজ উপভোগ করেন।

গতবছরের মতো এবছরেও এই শোভাযাত্রায় ছিল বিভিণ্ন নৃত্য, ঢাকের তালের সঙ্গে ছিল ধামসা-মাদল। কলকাতার আভিজাত্যের সঙ্গে ছিল অতীতের স্মৃতি। সব মিলিয়ে এই শোভাযাত্রাটি প্রাণোচ্ছল হয়ে উঠেছিল।

বিসর্জনের এই শোভাযাত্রা নিয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায় ফেসবুকে কিছু ছবিও পোস্ট করেন, যা দেখা যাবে এখানে

উন্নয়ন ও দায়িত্ব-কর্তব্য

দীর্ঘ সংগ্রামের পর বাংলায় পরিবর্তন এসেছিল। জনতার সমুদ্রে ভর দিয়ে জননেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাত ধরে বাংলায় এক নতুন সূর্য উঠেছিল সেদিন। আর এই সূর্যোদয়ের পেছনে ছিল কয়েক হাজার তৃনমূল নেতা- কর্মীর আত্মবলিদান।

গনতন্ত্রের পথ ধরে যে বাংলা সেদিন নেত্রী হাতে পেয়েছিলেন তা ছিল পুরোপুরি নিঃস্ব-রিক্ত। ৩৪ বছরের অনুন্নয়নের ধাক্কায়  ঝাঁঝড়া হয়ে গিয়েছিল বাংলার স্বপ্ন। প্রায় ২ কোটি বেকার, কেন্দ্রের ঘরে প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ রেখে বাংলা থেকে বিদায় নিয়েছিল বামফ্রন্ট। কোষাগার ছিল পুরোপুরি শুন্য।ঠিকাদাররাজ, দালালরাজ থেকে শুরু করে বেআইনি কর্মকান্ডের গর্ভগৃহ হয়ে উঠেছিল সরকারি অফিসগুলি। দিনের শেষে সরকারি দফতরে মিছিল-আন্দোলন কর্মসূচি পাওনা ছিল রাজ্যবাসীর। অধিকাংশ কারখানার গেটে তখন তালা ঝুলছে, শ্রমিক-মহল্লায় হাহাকার। গরিব কৃষকের জমি কেড়ে নিয়ে শিল্পপতিদের কার্যত জলের দরে দিয়ে দিয়েছিল আলিমুদ্দিনের শাসকরা। শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতির বিষবাষ্প সুকোলমতি পড়ুয়াদের মেধা-বুদ্ধি-বৃত্তিকে পুরোপুরি অকেজো করে দিয়েছিল। উন্নয়ন ভুলে গিয়ে শুধুমাত্র ভোট লুঠ করে ক্ষমতায় বসেছিলেন চেচেস্কুর উত্তরসূরিরা।

সিঙ্গুর, নন্দিগ্রাম শুধু নয়, নেতাইয়ের মতো কলঙ্কজনক ঘটনা ঘটিয়ে একের পর এক গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছিল সিপিএম নেতারা। জমি বাঁচাতে গিয়ে তাপসী মালিকের মতো অনেক নারীর সম্ভ্রমের পাশাপাশি প্রাণও গিয়েছে। কয়েক ডজন শিশু-কিশোর হারিয়ে গিয়েছে নন্দীগ্রামের লড়াইয়ের সাক্ষী হলদি নদীর জলে।সেদিনের স্মৃতি মনে পড়লে আজও আঁতকে উঠতে হয়। নেত্রীর নির্দেশে আমাদের মতো সৈনিকরা তখন দিনরাত এক করে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে জুলুমবাজির সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছিলাম। এই দীর্ঘ সংগ্রামে বেশ কয়েকবার নেত্রীর জীবন বিপন্ন হয়েছে। কোনওক্রমে প্রানে বেঁচে গিয়েছিলেন আমাদের সকলের প্রিয় জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিঙ্গুরের বিডিও অফিসে রাতের অন্ধকারে আলো নিভিয়ে দিয়ে পুলিশের রাইফেলের কুঁদো দিয়ে গুঁতিয়ে নেত্রীকের হত্যার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে বাম সরকারের পুলিশ। যত তাঁর উপর আঘাত এসেছে ততই আরও জোরদার আন্দোলন করে মানুষের দাবিকে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়েছেন।

এভাবেই একদিন মানুষকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্রের বেদিমূলে অর্ঘ্য দিয়ে সরকারে পৌঁছে দিয়েছেন জননেত্রী। কিন্তু দায়িত্ব নিয়েই মহাকরণে বসে দেখতে পেয়েছেন বাম জমানার রেখে যাওয়া প্রশাসনে তখন শুধুই দলবাজি। কর্মসংস্কৃতির পুরোপুরি বিসর্জন হয়ে গিয়েছে রাজনীতির গঙ্গায়। পুলিশ এবং প্রশাসনের কর্তা-ব্যক্তিরা সাধারণ মানুষের পরিবর্তে লাল পার্টির নেতাদের অঙ্গুলিহেলনে ওঠাবসা করেছিলেন।মানুষের উপকার দুরের কথা নুন্যতম দায়িত্ব ও কর্তব্য ভুলে গিয়েচগিলেন প্রশাসনিক ব্যক্তিত্বরা। সব মিলিয়ে সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভয়াবহ- ভগ্নদশা অবস্থায় বাংলাকে পেয়েছিলেন তা বোধ করি বিশবের অন্য কোনও প্রশাসক পেলে দায়িত্ব নিতেন না। কিন্তু মানুষের উন্নয়নে ২৪ ঘন্টা কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ অগ্নিকন্যা রীতিমতো চ্যালেঞ্জ নিয়ে বাংলার প্রশাসনিক দায়িত্ব নিয়েছিলেন। আর এই দায়িত্ব তাঁকে যে বিশবসভায় বাংলাকে পৌঁছে দেওয়ার শপথ নিতে সাহায্য করেছে তাঁর প্রমাণ কন্যাশ্রী এখন বিশ্বশ্রী। গর্বিত বাংলা,গর্বিত আমি তাঁর সরকারের একজন সহকর্মী হয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়ে। অবশ্যই গর্বিত বাংলার তৃনমূল কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা, যারা সরকারের নানা প্রকল্প ও পরিষেবাকে জনতার কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। জেলায় জেলায় নানা চক্রান্ত ও বিরোধিদের ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত সমস্ত প্রকল্প এবং পরিষেবা সাধারণ মানুষের জন্য বাস্তবায়িত করে চলেছেন।

কিন্তু কেন তিনি এমন একটা সবদিক থেকে দেউলিয়া সরকারের দায়িত্ব নিলেন? কীভাবে ও কোন পথে কেন্দ্রীয় সরকারের লাগাতার বঞ্চনা এবং পক্ষপাতিত্ব উপেক্ষা করে এভাবে বিপুল উন্নয়নে কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছেন? বিদেশের প্রতিনিধিরা যখন কলকাতায় আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন, তখন সকলেরই এই দুটি প্রশ্ন অবধারিত করে থাকেন। দিন কয়েক আগে কলকাতার মার্কিন দুতাবাসের এক শীর্ষ আধিকারিক আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন, মাত্র তিন মিনিটে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে দাঁড়িয়ে কীভাবে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সাফল্য তুলে ধরলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী? বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার শীর্ষকর্তারা কলকাতায় এসে অবাক বিস্ময়ে অনুসন্ধান করেছেন কোন জাদুমন্ত্র বলে ন্যায্যমূল্যের দোকানে এত বিপুল ছাড় দিয়ে ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। বলতে পারেন, এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিরাকেল। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভাবনী শক্তির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে কেউ যে পারবে না, তা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছেন দেশ- বিদেশের নানা সামাজিক প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিত্বরা।

বাংলার প্রশাসনের দায়িত্ব নিয়ে জননেত্রী দেখেছিলেন সামাজিক প্রকল্প ও পরিষাবার ক্ষেত্রে বিপুল শুন্যতা। রেশন দোকানের নাম করে যে সমস্ত ডিলাররা চাল-গম সংগ্রহ করতেন,তাঁর অধিকাংশই গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছাত না। গড়িব মানুষের নাম করে সরকারি তহবিল থেকে কোটি কোটি টাকা ঘুরপথে পৌঁছে যেত সিপীম-এর পার্টি অফিসগুলিতে। স্কুল-কলেজে শিক্ষকদের একটা বড় অংশই শিক্ষাঙ্গনকে রাজনীতির ক্রিড়াঙ্গনে পরিনত করেছিলেন। মাসের পর মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না এলেও বেতন নিয়ে চলে যেতেন একদল রাজনীতি-সর্বসব লালপার্টির নেতারা। হাসপাতালে রোগী ভর্তি হতে এসে দালালচক্রের হাতে সমস্ত খুইয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। এমন অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক সামাজিক প্রকল্প চালু করার পাশাপাশি বিপুল কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলেন।

এতদিন বাংলার মানুষ জানতেন যে মুখ্যমন্ত্রী মানে মহাকরণের অলিন্দে থাকা একটা ক্ষমতাশালী মানুষ। স্বাধীনতার পর কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রতি মাসে জেলায় জেলায় ঘুরে উন্নয়ন নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেছেন, এমন নজির শুধু দেশ কেন, গোটা বিশ্বে নেই। অথচ তৃনমূল নেত্রী গত ছ’বছরের বেশি সময় সেটাই অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে করে চলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁর প্রথম সফর ছিল জঙ্গলমহল। এরপর পাহাড়, সুন্দরবন সর্বত্রই ঘুরে ঘুরে সরেজমিনে উন্নয়নের নানা প্রকল্পের বাস্তবায়নের দেখেছেন তিনি। পরখ করেছেন প্রতিট প্রকল্পের সরকারি ব্যয়ের খুঁটিনাটি। আসলে জনগণের প্রতিটি পাইপয়সার হিসাব অত্যন্ত নিখুঁতভাবে দেখে রাখতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বস্তুত এই কারণে তিনি প্রায়ই বলেন “আমি জনগণের পাহারাদার।” শুধু উন্নয়ন নয়, দুর্গাপুজো থেকে মহরম, ইদ থেকে বড়দিন, নববর্ষ থেকে নিউইয়ার, উৎসবে যখন বাংলার কোটি কোটি মানুষ মগ্ণ থাকেন, তখন প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে কড়া নজরদারি চালিয়ে যান জনতার নেত্রী।

অশান্তির ঘুর্ণিঝড় বিধ্বস্ত করে দিয়েছিল জঙ্গলমহল। ফেরালেন শান্তি। সঙ্গে সঙ্গে বিপথে যাওয়া জঙ্গলমহলের যুবকদের জীবনে এনে দিলেন কর্মসংস্থানের অক্সিজেন। এখানেই শেষ নয়, সমস্ত আদিবাসীদের জন্য দু’টাকা কিলো চাল-আটা চালু করলেন। সবুজ সাথী সাইকেল থেকে শুরু করে কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, মাতাশ্রী-র মতো নানা প্রকল্প আজ শুধু বাংলায় নয়, গোটা দেশেই বিভিন্ন রাজ্য অনুকরণ করছে। কন্যাশ্রী প্রকল্প শুধুমাত্র নারীশিক্ষায় আলো আনেনি, বাল্যবিবাহ থেকে শুরু করে নারী পাচার অনেকটাই বন্ধ করে দিয়েছে আমাদের রাজ্যে। আর সেই কারণেই রাষ্ট্রসংঘ কন্যাশ্রী প্রকল্পের প্রবক্তা বাংলার নবরুপকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে বিশ্বসম্মান তুলে দিয়েছে। বাংলা হয়েছে সত্যি সত্যি বিশ্ববাংলা।

দেশের এক অস্থির সময়ের মধ্যে দিয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ তৈরি করে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পে শ্বাসরোধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে আমাদের। সামাজিক সম্প্রীতি আজ মরুভূমিতে পরিণত হতে চলেছে। দেশে চরম অসহিষ্ণুতা গ্রাস করতে চলেছে। এমন প্রেক্ষাপটে দেশবাসীর কাছে একটাই মরূদ্যান- বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, মা-মাটি-মানুষের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি থেকে পাটনা, সর্বত্রই তাঁকে সামনে রেখেই দেশের সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শপথ নিচ্ছেন। স্বভাবতই বাংলার তৃনমূল কর্মীদের দায়িত্ব পড়েছে মা-মাটি-মানুষের নেত্রীর উপর। তাই একদিকে যেমন নেত্রীর চালু করা সমসত প্রকল্প ও পরিষেবা আরও বেশি করে জনতার কাছে পৌঁছে দিতে হবে, অন্যদিকে সাম্প্রদায়িকতা-বিরোধী লড়াইকে আরও জোরদার করতে হবে। দলকে করতে হবে আরও শক্তিশালী। দলীয় কর্মিদের মনে রাখতে হবে, দলীয় সংগঠন যত শক্তিশালী হবে, নেত্রীর হাত ততই মজবুত হবে। আর দেশের নেতৃত্ব দিতে আরও সহজ এবং সাবলীল পথ হয়ে উঠবে আমাদের প্রিয় নেত্রীর। মনে রাখতে হবে, সেদিন আর বেশি দূরে নেই, যেদিন মা-মাটি মানুষের নেত্রীর হাত ধরেই বিভাজনের রাজনীতিকে গুড়িয়ে দিয়ে দেশে মুক্তির নতুন সূর্য উঠবে। নতুন ভারত গড়ে উঠবে, স্বপ্ন সফল হবে মা-মাটি মানুষের।

সামনে জোর লড়াই

বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে বহু চাপান -উতোর পার করে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সংঘবদ্ধ করে ২০১১-র ২০মে বাংলার ক্ষমতায় এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়. সেই ঐতিহাসিক বিধানসভানির্বাচনে ২৭ দিনে ১৮৭ টি জনসভার মধ্যে দিয়ে বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সেই রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণে বাংলায় সঠিক পরিস্থিতির বাতাবরণকে সামনে রেখে মানুষেরকাছে আবেদন করেছিলেন বাংলার পরিবর্তনের।রাজনৈতিক সন্ত্রাস,অরাজকতা ,অনুন্নয়নের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে উন্নয়নের বাংলা গড়ে তোলার সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে বাংলার মানুষ মমতাবন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলার কান্ডারি হিসাবে চিহ্নিত করলেন।
রাজনৈতিক সন্ত্রাস,অরাজকতা ,অনুন্নয়নের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে উন্নয়নের বাংলা গড়ে তোলার সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলার কান্ডারি হিসাবে চিহ্নিতকরলেন।

বাংলার মানুষের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে উন্নয়নের কর্মসূচি নিয়ে রাজ্যজুড়ে কন্যাশ্রী  ,যুবশ্রী,খাদ্যসাথী,সবুজসাথী,জলধরো-জলভরোর মতো বিভিন্ন কর্মযজ্ঞের মধ্যে দিয়ে বাংলার মানুষের কাছেপোঁছানোর চেষ্টা করলেন।শুধু প্রকল্প রুপায়নের মধ্যে দিয়ে বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করলেন । শুধু প্রকল্প রুপায়নের মধ্যে দিয়ে বাংলার মানুষ সুফল পেতে শুরু করল ।

প্রথম পর্যায়ে ১১৬ টি প্রশাসনিক বৈঠক করে সচিবালয়ের মন্ত্রীবর্গ থেকে শুরু করে আধিকারিকদের নিয়ে বাংলার গ্রামে গ্রামে পৌঁছে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সর্বস্তরের মানুষকে তার পাওনা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করলেন। মানুষের কাছে পৌঁছাতে শুরু করল মা-মাটি-মানুষের সরকারের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা , খাদ্য সাথীর মতো প্রকল্পের সুবিধা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কর্মকাণ্ড মানুষ উপলব্ধি করেছে বলেই ২০১৬ র নির্বাচনে যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়েছে। আমরা মনে করি সংসদীয় গণতন্ত্রে কোন নির্বাচন এলে যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এসেছে রাজ্যের সাফল্য বা ব্যর্থতা সেই সরকারের ওপর নির্ভর করে। তাঁর উপরেই নির্বাচনে অংশ নেয় সরকার। কিন্তু আমরা প্রত্যক্ষ করলাম, ২০১৬ সালে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি উপেক্ষা করে বিরোধী দলগুলির সঙ্গে কিছু সংবাদমাধ্যমের যোগসাজশে একদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে হেয় করা ও তাঁর কর্মসূচিগুলিতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা যার মুখ্য নায়ক ছিল কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন শাসকদল। কিন্তু আমরা বাংলার মানুষকে কুর্নিশ করি, কারণ সাত দফা নির্বাচনে তাপপ্রবাহ (৪১ ডিগ্রী) উপেক্ষা করে মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দু হাট তুলে আশীর্বাদ করেছেন। আশীর্বাদ এমন জায়গায় পৌঁছালো যে, ২০১১ র ১৮৭ টি আসনকে অতিক্রম করে ২০১৬ তে তা ২১১ টি আসনে নিয়ে গিয়ে কেন্দ্রের শাসকদলের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছিল। তার পর আবারও উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ অব্যাহত।

একের পর এক মনিষীর আত্নমবলিদানে ভারত স্বাধীন হয়েছে ১৯৪৭ এর ১৫ আগস্ট। তার পর সর্বজন শ্রদ্ধেয় ডঃ বি আর আম্বেদকার দায়িত্ব নিলেন সংবিধান কমিটির। যার ফল মানুষ পেল ১৯৫০ সালে। ভারতবর্ষের সংবিধান ভারতবর্ষকে সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং সংবিধান মোতাবেক মানুষ পাঁচ বছর অন্তর তাদের মতামতের ভিত্তিতে ভারতের সরকার তৈরি করে। সংবিধান মোতাবেক প্রথম নির্বাচন হয় ১৯৫২ সালে। ১, ২ করতে করতে ১৬ তম নির্বাচন হল ২০১৪ সালে। সেই নির্বাচনে ভারতবর্ষের মানুষ বিজেপির নানান রকম প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে আশাগ্রস্ত হয়ে ভারতবর্ষের ক্ষমতায় আসীন করে। দুর্ভাগ্য ভারতের মানুষের। তবে তারা উপলব্ধি করেছে এই সরকার ও রাজনৈতিক দলের একমাত্র উদ্দেশ্য নানা অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করার পাশাপাশি দেশের রাজনৈতিক দলগুলিকে বিপর্যস্ত করা। একদিকে মানুষের পাওনা থেকে তাকে বঞ্চিত করে, নোটবন্দি, স্বল্প সঞ্চয়ের সুদের হার হ্রাস, ব্যাঙ্কে নাআন বাধ্যবাধকতা তৈরির মত নানা জনবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়ে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ধর্মের সুড়সুড়ি দিয়ে জাতিতে জাতিতে সংঘর্ষ ঘটিয়ে সামাজিক বিভাজন ঘটানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে, যা সংবিধান বহির্ভূত। আগ্রাসী ভূমিকা নিয়েছে এই রাজনৈতিক দল।

বাংলা সহ ভারতের রাজনৈতিক লড়াইয়ে তাই ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দলগুলি জোটবদ্ধ হওয়ার প্রচেষ্টা শুরু করেছে। কোথাও কোথাও খামতি যদি মনে হয়, তাতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখেই সংবদ্ধ দলগুলি আগামিদিনে গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ ভূমিকা নেবে। আর তৃণমূল নেত্রীর প্রতিবাদী কণ্ঠ সোচ্চার বলেই তিনি পেরেছেন ২১ জুলাই দলের মহতি সভা থেকে সাম্প্রদায়িকতা ভারত ছাড়োর ডাক দিতে। সেখান থেকে মেদিনীপুরের সভায়। সেখান থেকে আওয়াজ তুলে ভারতের সমস্ত প্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করলেন। নির্যাতন যত বেশি হবে এই আওয়াজ তত তীব্র হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংকল্প বাংলার মানুষের সমর্থন নিশ্চিতভাবে আগামিদিনে ভারতবর্ষ ব্যাপী ছড়িয়ে দেবে এই আওয়াজ – সাম্প্রদাকিতা ভারত ছাড়ো।

এই সম্পর্কে বলা যায়, ভারতের সর্বস্তরের মানুষের সমর্থন নিয়ে সাম্প্রদাকিতা ভারত ছাড়ো স্লোগান দিয়ে মানুষ ২০১৯ এ লোকসভায় হাজির হবে। এবং আমত্রা নিসচিত ২০১৯ এ সর্বস্তরের, সর্বজাতের, সর্বপেশার মানুষ সংগবদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িকতাকে হটিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গঠন করবে, নেতৃত্বে অবশ্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আমাদের ভূমিকা আরও কঠিন। লড়াই আরও শক্ত মনে হলেও পথ প্রশস্ত। আগামি দিনের সর্বস্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মানুষের পাশে থেকে সার্বিক উন্নয়ন, আমাদের এই কর্তব্য পালন করে যেতে হবে। সবরকমভাবে বাংলার মানুষ অত্যন্ত সক্রিয়। তারা উপলব্ধি করেন তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার ৯ কোটি মানুষের মধ্যে সাড়ে ৬ কোটি ভোটার আর আড়াই কোটি পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে খাদ্যসাথীর মত প্রকল্প নিয়তে পারে না। মানুষ তার উন্নয়নের ছোঁয়া পান। আমাদের তৈরি হতে হবে সাম্প্রদায়িকতা হটিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ সরকারের দিকে।

Delhi’s So-Called National Media and Its Irrelevant Obsessions

Indian politics has changed, but the national media hasn’t quite realised it. Actually, it would be a travesty to call a bunch of Delhi-based channels and newspapers – some of which sell barely a few thousand copies – the ‘national media’. They are the Delhi media and yet they have given themselves national status. Regional-language papers and channels, whether in Bengali or Gujarati, Tamil or Hindi, may sell millions more and be watched by millions more but they will never be considered ‘national’. Like the ‘regional parties,’ they are forever consigned to second-rate status in the Delhi media caste system.

The Rajya Sabha has 233 elected members, of which around fifty per cent belong to the BJP and the Congress. Fifty per cent% of the House is made up of the non-BJP non-Congress parties, many who often act in concert. For example, anti-Dalit atrocities in Gujarat and elsewhere were raised by the Bahujan Samaj Party (BSP), Trinamool and other parties. I recall the attempt to make Aadhaar compulsory for claiming government benefits and availing public services – an imposition that is contrary to earlier commitments by the government and the advice of the courts -was protested against by the Samajwadi Party (SP), the Biju Janata Dal (BJD) and the Trinamool Congress (AITC).

Issues of public importance are taken up by the opposition when Parliament is in session. Often these subjects are first raised by comparatively smaller parties not always by the Congress, who have by far the most number of opposition MPs in the Rajya Sabha. The media, almost by reflex action, reports it, however, as a Congress versus BJP battle. Generally speaking, regional parties – fifty per cent of the Rajya Sabha as I said – are given scant coverage. The one exception among the smaller parties is the Aam Aadmi Party (AAP). Good for them. I suspect they get more than a fair share of media coverage because they are based in the capital. If AAP were a Bengaluru based party phenomenon or a Mumbai-based party, it would have received the same neglect. For Delhi’s media supremacists, there is no India beyond the capital, or at best Gurgaon and Noida.

This may sound like a churlish complaint. It is not, and Trinamool is certainly not pleading for column inches and prime-time space. The fact is that this is a snapshot of inadequate knowledge and awareness of political and social issues and the churning in the country by a media permanently stationed in Central Hall. I got a taste of this during the 2016 West Bengal election, when Delhi-based journalists were making wild predictions without setting foot in the state and without speaking to anybody other than BJP and Congress and occasionally CPI(M) fat cats who were and are Delhi fixtures.

Doesn’t India deserve better? Doesn’t the media industry, now so rich and well-endowed, aspire to higher standards? Isn’t there a credibility gap? Does the media have interest in understanding how policy is shaped and legislation is negotiated in Parliament? Can this be done without engaging with and understanding what I term the ‘middle bloc’ – the state parties that occupy the largest space in the Upper House, between the BJP and the Congress?

The media is overwhelmed by the same one dozen personalities and politicians from the two big parties that it interacts with everyday. The ‘special briefings’ too come from the same folks. What is even more dangerous is that some glam television anchors are becoming self-obsessed. Do you recall the bizarre sight of an anchor on News Channel A interviewing an anchor from News Channel B about the conduct and views of an anchor from News Channel C? I was aghast.

This is delusional. Who the hell is interested, in this country of a billion people, if a couple of senior journalists have a personality clash or even an argument on principles? It can form the subject of a panel discussion at the India International Centre or Press Club, but how is it prime-time news? The messenger cannot become the message. The media cannot be interviewing each other and reporting on each other. That is what we did when we produced college magazines.

I know much has been said in the past about ‘nationalist’ and ‘anti-national’ media. This is a tiresome debate. Much more important than this squabble about ‘nationalist’ and ‘anti-national’ is the question of what the Delhi-based media considers ‘national’ and what it considers ‘regional’. We very easily give these titles and names to media outlets, to politicians and to economic, social and political grievances and concerns. So a short-lived Delhi-Gurgaon flood, which causes only traffic jams, is a ‘national story’. And a week-long flood in West Bengal or Assam, which displaces thousands and kills fifty, is a small-time ‘regional’ story. I rest my case.

Mamata Banerjee inaugurates several community Durga Puja pandals

Chief Minister Mamata Banerjee inaugurated several community Durga Pujas this week. She started inaugurating from the day before Mahalaya.

The Chief Minister inaugurated Ekdalia Evergreen, Hindustan Park, Behala Natun Dal, Ajay Sanhati, Naktala Udayan Sangha, Jodhpur Park 95 Pally, Ahiritola Durgotsav, Santoshpur Sarbajonin, Sreebhumi Sporting Club and several other pandals.

Like every year, this year too she drew the eyes of Ma Durga – called ‘chokkhudan’ (‘gifting the eyes’) in Bengali, which is a crucial ritual of Durga Puja – at Chetla Agrani Club.

The Chief Minister has appealed to the Puja committees to maintain tight security at the pandals so that people can enjoy the sights and sounds in an orderly and peaceful manner.

 

 

 

বিভিন্ন পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী

এই সপ্তাহে বিভিন্ন পুজো প্যান্ডেলের উদ্বোধন করেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহালয়ার আগের দিন থেকে পুজো উদ্বোধনে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একডালিয়া এভারগ্রিন, হিন্দুস্তান পার্ক, বেহালা নতুন দল, অজয় সংহতি, নাকতলা উদয়ন সংঘ, যোধপুর পার্ক ৯৫পল্লী, ঐতিহ্যবাহী আহিরিটোলা দুর্গোৎসব, সন্তোষপুর সর্বজনীন, শ্রীভুমি স্পোর্টিং ক্লাব সহ আরও অনেক পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।

প্রতি বছরের মত, এবারও তিনি চেতলা অগ্রণী ক্লাবে মা দুর্গার চক্ষুদান করেন।

উৎসবের দিনগুলোতে পুজো প্যান্ডেলগুলিতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা, শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য পুজো কমিটিগুলোকে বিশেষ আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্বোধন করা কিছু প্রতিমার ছবি দেওয়া হলো, বর্ণানুক্রমিক ভাবে সাজানো (ওনার ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত)

 

41 Pally (4)

41 Pally

95 Pally (4)

95 Pally

ABANTI 3

Abanti

Ahiritola (1)

Ahiritola

BABUBAGAN 2

Babubagan

Ballygaunge Culture (1)

Ballygunge Cultural Association

Barisha Club (1)

Barisha Club

BOKULBAGA 1

Bakulbagan

Bosepukur (2) - Copy

Bosepukur Sitalamandir

Chetla Agroni (3)

Chetla Agrani

Ekdalia Evergreen

Ekdalia Evergreen

garia hat hindusthan club 1_Ed

Hindustan Club

Hindusthan Park (1)

Hindustan Park

jodhpur park 3

Jodhpur Park

Kalighat Milan Sangha

Kalighat Milan Sangha

Naktala Udayan Sangha (1) - Copy

Naktala Udayan Sangha

Samaj Sebi (2)

Samajsebi

Shelimpur Palli 18

Selimpur Pally

Shiv Mandir (4)

Shiv Mandir

Sreebhumi (3) - Copy

Sreebhumi Sporting

Tridhara (2)

Tridhara Sammilani

Ahead of Sharodotsav, Bengal CM reaches out to Durga Puja with a letter

In a poetic letter, Bengal Chief Minister Mamata Banerjee reached out to the Durga Puja committees across the state, wishing the organisers.

In a letter dated August 30, 2017, she eulogised the victory of good over evil. She also appealed to all to maintain communal harmony at the time of the festivities.

She said that ‘Sharodiya Durgotsav’ is not only a religious festival but a festival that unites all.

 

শারদোৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়ে দুর্গা পুজো আয়োজকদের চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

শারদোৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়ে দুর্গা পুজো আয়োজকদের চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

৩০শে আগস্ট তিনি এক চিঠির মাধ্যমে সকল পুজো আয়োজকদের বলেন আনন্দময়ীর আবাহনের মধ্যেই নিহিত অশুভ শক্তির বিনাশ আর শুভ শক্তির জয়। তিনি আবেদন করেন অনুষ্ঠানের দিনগুলিতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে।

তিনি বলেন, দুর্গাপুজো কোনও একটি সম্প্রদায়ের পুজো নয়, এটি এমন এক উৎসব যেখানে সকল সম্প্রদায় মিলে আনন্দ করেন।

এই সেই চিঠিঃ

 

শারদ শুভেচ্ছা

‘বাজলো তোমার আলোর বেণু’

শিউলি সকাল, কাশফুলের দোলা আর শরতের সাদা মেঘ এবার বয়ে আনলো মা দুর্গার আগমন বার্তা। এবারে সব দুঃখ দৈন্য ভুলে আনন্দে মেতে ওঠার পালা; সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে সবাই মিলে একসাথে উৎসবের আঙিনায় মিলিত হওয়ার সময়।

আনন্দময়ীর আবাহনের মধ্যেই নিহিত অশুভ শক্তির বিনাশ আর শুভ শক্তির জয়। চিন্ময়ী দেবীর মৃন্ময়ী রূপে আগমন তাই নিয়ে আসে নববিধানের আশ্বাস আর নবনির্মাণের পবিত্র প্রত্যয়।

“মা আসছেন, শিউলি ভোরে

শঙ্খ বাজুক ঘরে ঘরে।”

শারদীয়া দুর্গোৎসব শুধুমাত্র এক ধর্মীয় আচার-আয়োজন নয়, সর্বস্তরের, সর্বধর্মের মানুষের আত্মিক মেলবন্ধনই এই উৎসবের মূল ভাবনা, চিরন্তন সুর। দশভুজার চরণস্পর্শে তাই সঞ্চারিত হোক আশার আলো, আনন্দধারায় সিক্ত হয়ে উঠুক বিশ্বভুবন। সবাই ভালো থাকুন, সকলের ভালো হোক।

আপনাদের শারদোৎসবের আয়োজন সফল হোক, উৎসবের দিনগুলিতে সবাই শান্তি ও মৈত্রীর মেল্বন্ধনে আবদ্ধ থাকুন। সকলকে জানাই শারদীয়ার প্রীতি, ভালোবাসা ও শিউলি শুভেচ্ছা।

(মমতা ব্যানার্জী)

 

Bengal Tourism Department launches mobile app for Durga Puja

The Bengal Tourism Department has brought out an app on the occasion of Durga Puja, named Sharadotsav. The app is available on Android devices.

The app has four primary sections – ‘Puja in Map’, ‘Nearby Pujas’, ‘Zone-wise Puja’ and ‘Emergency Contacts’.

The ‘Puja in Map’ section has the important well-known Durga Puja pandals marked on a map of Kolkata. The ‘Zone-wise Puja’ section has a list of the famous Durga Puja pandals in Bengal divided into seven groups – North Central Kolkata, Port Area, South Suburban and South West, South and South East, Heritage Puja, Siliguri and Other Puja – along with pictures.

The ‘Emergency Contacts’ section information on blood banks, fire stations, hospitals, the metro rail and police stations.

You can download the app from the Google Play store.

 

নতুন অ্যাপ আনছে পর্যটন দপ্তর – থাকছে দুর্গা পুজোর বিভিন্ন তথ্য

পুজোর ভিড়ে মানুষ যাতে হারিয়ে না যায় সেইজন্য এবার একটি নতুন মোবাইল অ্যাপ চালু করছে পর্যটন দপ্তর। শুধু রাজ্যের মানুষ নয়, শারদোৎসব দেখাতে আসা ভিন রাজ্য বা বিদেশি পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে এই অ্যাপ। অ্যাপটির নাম ‘SARADOTSAV’।

গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে ‘SHARADOTSAV’ লিখলেই কলকাতার দুর্গাপুজো দেখার প্রয়োজনীয় সব তথ্যবাহী এই অ্যাপ পাওয়া যাবে। রাজ্যের অন্য শহরের পুজোর তথ্যও মিলবে এই অ্যাপে। এই অ্যাপে পুজোর নানা পাশাপাশি রাজ্যের নানা দ্রষ্টব্য স্থানের তথ্যও পাওয়া যাবে। পুজো দেখার ফাঁকে সেগুলিও দেখে নিতে পারবেন পর্যটকরা।

এছাড়া এই অ্যাপে থাকছে রাজ্যের বিখ্যাত পুজোগুলির তথ্য, পুজোর নির্ঘণ্ট, বনেদি বাড়ির পুজোর ইতিহাস। কোন পথে গেলে পছন্দের পুজো দেখা যাবে, তাও জানিয়ে দেওয়া হবে ম্যাপের মাধ্যমে। পুজোর মণ্ডপ লাগোয়া রেল, মেট্রো, বাসস্টপের দুরত্বও জানা যাবে। পাশাপাশি নিকটবর্তী রেস্তোরাঁ, পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র, থানা, হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঠিকানা, ব্যাঙ্কের এটিএম, পাবলিক টয়লেটের তথ্য মিলবে।

এখানেই শেষ নয়, কোন পুজোর উদ্বোধন কবে তাও জানা যাবে। অ্যাপের মাধ্যমেই বুক করা যাবে বিসর্জন দেখার জন্য লঞ্চের টিকিট। এছাড়াও এতে রয়েছে বারোয়ারির খুঁটি পুজো থেকে দুর্গা পুজোর মণ্ডপের নানা ছবি। রয়েছে বাংলা শিল্প সংস্কৃতির নানা তথ্য। এর মাধ্যমে ট্যুরিস্ট লজগুলিও বুকিং করা যাবে। তাঁর প্রয়োজনীয় লিঙ্কও দেওয়া রয়েছে এখানে।

অ্যাপ্ ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন

 

For Singur, Durga Puja 2017 would be special indeed

For the residents of Singur, the 2017 Durga Puja would be special. After a long struggle, they have at last got back their land, taken away forcibly in 2006 for setting up industry by the Left Front Government.

Chief Minister Mamata Banerjee has been instrumental in the successful culmination of the Singur Movement. A few months back, after the Supreme Court’s final verdict, Mamata Banerjee had herself felicitated the people involved in the struggle and family members of those killed and affected during the violence unleashed on Singur. She had also sown the first seeds for the new crops with her own hand.

And now, Singur is going to witness its first Durga Puja festival after a momentous victory. A long and hard-fought struggle, laced with the blood and tears of hundreds of people, has come to an end. It’s time for celebration now. And celebrate they will.

Potato, onion, maize, paddy and other crops have been harvested. With the money earned from selling the crops, the people are making preparations for grand festivities – buying clothes and fire-crackers, building colourful pandals, creating idols decked up in finery, and so much more.

The good times have returned. And with the people of Singur too in spirit is the whole of Bengal, celebrating the revival of a people’s hopes and aspirations.

ফিরে পাওয়া জমির প্রথম ফসল দিয়ে ফের পুজোয় মেতে উঠেছে সিঙ্গুরবাসী

 

গ্রামের মানুষের ত্যাগ আর প্রার্থনায় সাড়া দিয়েছেন মা। টানা দশ বছর ধরে অবস্থান, ধর্না, অনশন ও আদালতে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে ঘরের লক্ষ্মী অর্থাৎ জমি ফিরে পেয়েছেন অনিচ্ছুকসহ সমস্ত চাষিরা। হারানো জমির পাশাপাশি পেয়েছেন ক্ষতিপূরণের টাকাও। আদালতের রায়ের পর কেড়ে নেওয়া জমি হাতে পেয়ে আগের মতোই সোনার ফসল ঘরে তুলেছেন চাষিরা। এবছর প্রথম উৎপাদিত সেই ফসল দিয়ে মাতৃ আরাধনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন সিঙ্গুরের বেড়াবেড়ি গ্রামের মানুষ। ইতিমধ্যেই গ্রামের শীতলামাতা শক্তি সংঘের উদ্যোগে একটি কাল্পনিক মন্দিরের আদলে মণ্ডপ গড়ে তোলার কাজ চলছে। টাটাদের কারখানার জন্য জমি দখলের আগের দিনগুলোর মতোই পুজোর কটা দিন নতুন পোশাকে নিজেদের সাজিয়ে আনন্দোৎসবে মেতে ওঠার প্রস্তুতি নিচ্ছে সিঙ্গুর।

বেড়াবেড়ি গ্রামে প্রায় ২৬০টি পরিবারের বসবাস। জমি অধিগ্রহণের আগে ধুমধাম করে এখানে থিমের দুর্গাপুজো হত। ২০০৬ সালে পুজোর আগেই সিঙ্গুরে টাটাদের জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। পুজোর আগেই আন্দোলনের সময়ে ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে বিডিও অফিসে আলো নিভিয়ে দিয়ে নির্বিচারে লাঠিপেটা করে পুলিশ। পুজোর আগে জমি হাতছাড়া হওয়ায় গ্রামের মানুষের সব অভিমান গিয়ে পড়েছিল মা দুর্গার উপরে। তাই জমি ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত পুজো করবেন না বলে শপথ নিয়েছিলেন সিঙ্গুরের বেড়াবেড়ি গ্রামের অনিচ্ছুক চাষিরা। সেই শপথ বজায় রেখে পুজোর সময়ে নতুন পোশাক, ঢাকের কাঠি, আলোর রোশনাই ও আতসবাজি থেকে নিজেদের সরিয়ে রেখেছিলেন গ্রামের মানুষ।

বেড়াবেড়ি দুর্গাপুজো কমিটির অন্যতম সদস্য তথা জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ মানিক দাস বলেন, জমি জোর করে নেওয়ার পর প্রথমে অভিমানে পুজো বন্ধ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু, পরে দু’বছর ধরে অনাড়ম্বরভাবে পুজো করে মায়ের কাছে জমি ফেরত পাওয়ার আবেদন করেছি। গ্রামের মানুষের সেই আবেদনে মা সাড়া দিয়েছেন। জমি ফেরত পাওয়ার পর আলু, সরষে, ধান, পিয়াজসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল আমরা ঘরে তুলেছি। তাই এবার আমরা ফিরে পাওয়া জমিতে ফলানো সোনার ফসল দিয়েই মায়ের পুজোর প্রস্তুতি নিচ্ছি। পুজো কমিটির সভাপতি সহদেব দাস বলেন, আন্দোলনের আগে আমরা যেভাবে পুজো করতাম, এবার গ্রামে উৎসবের সেই মেজাজ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। গ্রামের বাসিন্দা পারমিতা দাস বলেন, মা আমাদের কাতর মিনতিতে সাড়া দিয়েছেন বলেই আমরা জমির পাশাপাশি ক্ষতিপূরণের টাকাও পেয়েছি। তাই ফিরে পাওয়া জমির প্রথম ফসল দিয়ে পুজো দেওয়ার জন্য টাকা তুলে রেখেছি।

Bengal Govt brings special food distribution scheme for the festive season

The Bengal Government has brought good news for the people of the state. The Food and Supplies Department has announced a special distribution scheme on the occasion of the major festivals of Durga Puja, Diwali and Chhat Puja.

According to the scheme drawn up, beneficiaries and families receiving special benefits from the State Government would receive the following additionally:

• 1 litre mustard oil at Rs 91.50 per litre
• 1 litre rice bran oil at Rs 79.50 per litre
• 500 gram subsidised flour (maida) at Rs 22 per kilogram
• 500 gram subsidised sugar at Rs 38.50 per kilogram

The distribution would be carried out in two phases, in accordance with the dates of the festivals – from September 15 to 27, and from October 11 to 25.

Further information can be had at:

• www.wbpds.com (West Bengal Public Distribution System website)
• Phone numbers: 1967 and 18003455505 (8 am to 8 pm for the latter)
• All block offices of district or subdivisional food inspectors

 

উৎসবের দিনগুলিতে বিশেষ ফুড প্যাকেজ রাজ্য সরকারের

রাজ্যবাসীদের জন্য সুখবর নিয়ে এল সরকার। খাদ্য সরবরাহ দপ্তর ঘোষণা করেছে উৎসবের সময় স্পেশ্যাল ফুড প্যাকেজ দেবে রাজ্য সরকার। এই প্যাকেজ চলবে দুর্গা পুজো থেকে ছট পুজো পর্যন্ত।

উপভোক্তারা এই অতিরিক্ত সুবিধা পাবেন:

১. ১ লিটার সর্ষের তেল ৯১.৫ টাকায়
২. ১ লিটার রাইস ব্র্যান তেল ৭৯.৫ টাকায়
৩. ৫০০ গ্রাম ভর্তুকি দেওয়া ময়দা ২২ টাকা কিলো দরে
৪. ৫০০ গ্রাম ভর্তুকি দেওয়া চিনি ৩৮.৫০ টাকা কিলো দরে

সেপ্টেম্বরের ১৫ থেকে ২৭ তারিখ ও অক্টোবরের ১১ থেকে ২৫ তারিখ দুই পর্যায়ে পাওয়া যাবে এই পরিষেবা।

আরও বিশদে জানতে ক্লিক করুন www.wbpds.com. কিংবা যোগাযোগ করুন এই নম্বরে – 1967, 18003455505 (সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা)