March 24, 2021
Arpita Ghosh speaks on The Finance Bill, 2021

FULL TRANSCRIPT
Thank you, Sir.
Sir, abhi mere Lok Sabha ke Congress ke dost jo Rajya Sabha aate aate BJP ban gaye, woh abhi education budget ke bare mein bol rahe the. Hum ek chota sa cheez unko yaad dilate hain. 2014 se 2020 taak education budget mein kitna katauti huye hain, unko sayed pata hain. Six per cent katauti ho gaya hain last 3 years mein. Jo bol rahe the woh sahi nahin hain. Abhi hum Bangla mein bolenge kyu ki kuchh din o se hum itna ‘Sonar Bangla’ sun raha hain toh maine socha ki bangla mein bolna behtar hain.
স্যার, যেখানে আমার কলিগ দোলা সেন শেষ করেছিলেন আমি সেখান থেকে শুরু করব। এই মুহূর্তে যে বিজেপি সরকার আছে, তাদের রাজনীতি নিয়ে দোলা বারবার বলছিল, বলছিল বাংলাকে কিভাবে বঞ্চিত করা হয়। এবং এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে যদি দেখেন ভারতবর্ষের ৫ টা রাজ্যের এখন নির্বাচন হচ্ছে অথচ সংসদ চলছে, এটা কিন্তু খুব অ দ্ভুত ব্যাপার, পার্লামেন্টের এটা ভবা উচিত ছিল, কিন্তু ভাবা হয় না এমন সব কান্ড এরা করে থাকেন এবং আপনি যদি খেয়াল করে একটু মনে করে দেখেন যখন করোনার সময় লকডাউন হওয়ার কথা ছিল তখন ওরা করেনি কারণ তখন মধ্যপ্রদেশে পালাবদলের চেষ্টা করছিলো, সেই জন্য করেনি। এটাই এদের চরিত্র, এটাই এরা করে থাকেন।
এরা সব কিছু থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চায়, দোলা বলছিল, প্রতিটা ক্ষেত্রে কিভাবে বাংলাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। টাকা পয়সার দিক থেকে শুরু করে সব কিছুতে। কিন্তু মজার ব্যাপার এখন বাংলায় নির্বাচন বলে এখন অনেক কিছু বলা হচ্ছে। হঠাৎ করে সরকার কল্পতরু হয়ে গেছে। এতদিন পর্যন্ত খেয়াল করছিলাম রেল বাজেটে গত বছর পর্যন্ত আমাদের বাংলার কোন গল্প নেই। ১২ টা প্রজেক্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তিনি করেছিলেন এগুলো, সেই সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
আমি যেখান থেকে এসেছি সেই বালুরঘাটে বুনিয়াদপুর ওয়াগন ফ্যোক্টড় ফাক্তরি ফ্যাক্টরি প্রত্যেক বছর ২০১৪ থেকে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হয়. What is the point of giving it?. বাংলাকে অপমান করার এই অধিকার কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারকে দিয়েছে ? তাদের উচিত ছিল এই ১২ টা প্রজেক্ট চালানো, তারা চালায়নি। আজকে যখন বাংলায় নির্বাচন তখন ‘সোনার বাংলা’ বলে সব এখন কল্পতরু হয়ে বেশি বেশি দিচ্ছে।
বাংলায় এখন আমরা নারী শক্তির কথা ভীষণভাবে শুনতে পাচ্ছি। সাথে শুনছি নারীদের ৩৩% সংরক্ষণের কথা। মজার ব্যাপার শুনুন, কন্যাশ্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ২০১৩ সালে করেছিলেন, এখন ও পর্যন্ত ৯৪০০ কোটি টাকা দিয়েছেন। আর এই কেন্দ্রীয় সরকার মেয়েদের জন্য নাকি বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও করেছে, বাজেট এবার শূন্য। এক পয়সাও বরাদ্দ নেই. যা খরচ সব বিজ্ঞাপনে হয়।
রাজনীতির বহরটা এবার দেখুন। খাদ্যশস্য কেনার ব্যাপারেও বাংলা বঞ্চিত। উত্তরপ্রদেশ থেকে ৭১ লক্ষ টন কেনা হয়, হরিয়ানা থেকে ৬৪ লক্ষ টন, অন্ধ্র থেকে ৮২, তেলেঙ্গানা থেকে ১১১ টন, পাঞ্জাব থেকে ১৬২ টন কেনা হয়. বাংলায় ২.৫ কোটি লক্ষ টন খাদ্যশস্য উৎপন্ন হওয়া সত্ত্বে ১ লক্ষ টনের কম খাদ্যশস্য কেনা হয়।
রাজনীতির বহরটা এবার দেখুন। খাদ্যশস্য কেনার ব্যাপারেও বাংলা কিন্তু বঞ্চিত। ইউপি থেকে ৭১ লাখ টন কেনা হয় খাদ্য শস্য, হরিয়ানা থেকে ৬৪, অন্ধ্র থেকে ৮২, তেলেঙ্গানা থেকে ১১১, পাঞ্জাব থেকে ১৬২। বাংলায় আড়াই কোটি লক্ষ টন খাদ্যশস্য উৎপাদন হওয়া সত্ত্বেও ১ লাখ টন খাদ্যশস্য প্রক্রিওর করে এই কেন্দ্রীয় সরকার। বাংলার জন্য যাদের নাকি প্রাণ কেঁদে মরে যাচ্ছে। স্যার বাংলায় কৃষকদের জন্য আমরা নিয়মিত শুনছি, বাংলায় গেলেই আমাদের কেন্দ্রীয় সরকারের বড় বড় মন্ত্রীরা নামিনামি মন্ত্রীরা বাংলার কৃষকদের জন্য কেঁদে মরে যাচ্ছেন। বাংলা কা কেয়া হুয়া বোলকে। কিষানোকা কেয়া হুয়া।
সিঙ্ঘু বর্ডারে ১০০ দিন ধরে কৃষকরা বসে আছে তাদের জন্য ওদের প্রাণ কাঁদে না। ৩০০ জন মারা গেছে তাদের জন্য প্রাণ কাঁদে না। শুধু রাজনীতি। বাংলার কিষাণ নিয়ে রাজনীতি, সর্বত্র নিয়ে রাজনীতি। একটা জিনিস মনে রাখবেন বাংলায় একটা কথা আছে, অতি বাড় বেড়োনা ঝরে পড়ে যাবে। যখন মাথায় উঠে যাবে না তখন পড়তে এক মিনিট লাগবে। আরো একটা কথা আছে জেনে রাখুন, তোমারে বধিবে যে গোকুলে বাড়িছে সে। অর্থাৎ কিষাণরা যারা বসে আছে তারাই আপনাদের শেষ করবে। আপনারা মিলিয়ে নেবেন। তারা এইটা করবেন এই ভাবে চলতে থাকলে।
আজকে দেখুন প্রায় সবাই বলছে এইভাবে চলতে থাকলে আজকের যা অর্থনৈতিক অবস্থা জিডিপি যেখানে গিয়ে ঠেকেছে ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতবর্ষের অবস্থা খুব খারাপ হবে। সেটা সকলে বুঝতে পারছে এবং এরা তা সত্ত্বেও অনেক বড় বড় কথা বলে যাচ্ছেন। উন্নয়নের কথা বলে যাচ্ছেন, আমরা শুনছি। সব কিন্তু খাতায়-কলমে। একটা প্রশ্ন করুন যে এইটা তো বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রীজি কি হলো?
মজার ব্যাপার দেখুন, এক্ষুনি দেখছিলাম একটা ২০১২ সালে যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, গুজরাটের; উনি একটা টুইট করেছিলেন যে পেট্রোলের দাম বেড়ে গেছে। এত মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। এটা হচ্ছে কংগ্রেস-লেড ইউপিএ গভার্নমেন্টের সবচেয়ে বড় ফেলিওর। তাই যদি হয়ে থাকে তাহলে আজকে যখন ১০০ টাকা দাম তখন এটা ওদের ফেলিয়র নয় কেন? তখন কেন রাজ্য কে বলা হচ্ছে যে ভাই তুমি কি করলে।
আমি শুধু আপনাকে বলি যে অদ্ভুত ব্যাপার করোনা নিয়ে নাকি ইতনা কুছ কিয়াহে। আমাদের শুনেছেন যে বাংলায় কিছু দেওয়া হয়নি এবং কি আম্ফান এসেছিল আমাদের সেই সময়। তা সত্বেও আমরা কতটুকু টাকা পেয়েছি? আজকে পিএম কেয়ারস ফান্ড বলে তৈরি করা হয়েছে সেই টাকার হিসেব কেউ জানে না। এমপি লেডের টাকাটাও তো আমাদের দু’বছরের গেছে, তারও কিন্তু হিসেবে আমরা জানি না। যে সেই টাকাটা কোন খাতে খরচ হল। বাংলায় যদি দিত তবে আমাদের টাকাগুলো খরচ করতে পারতাম। শুধুমাত্র সংখ্যার জোরে রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন ওরা।
আরেকটা শেষ কথা বলে শেষ করে দেবো এবার। যে এই বিকাশ শব্দ টা এমন ভাবে ছড়িয়ে গেছে বাংলায়, আগে বিকাশ নাম রাখা হতো ছেলেদের। এখন আর কেউ বিকাশ রাখছে না কারণ ওটা কে বিশ্বাস করা যাচ্ছে না।
Thank you very much.