নভেম্বর ২৬, ২০২০
বাংলার সকলের জন্যে 'স্বাস্থ্যসাথী', ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

নেতাজির় সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকীতে বিশেষ কমিটি গড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কমিটিতে অনেক বিশিষ্টজনের সঙ্গে রয়েছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরাও।
আজকের ঘোষণাঃ
কমিটির চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কমিটিতে রয়েছেন নোবেলজয়ী অর্মত্য সেন ও অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়,ব্রাত্য বসু, সুগত বসু শীর্ষেন্দু মুখ্যোপাধ্যায়, কবি শঙ্খ ঘোষ, নাট্যকার রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, চিত্রী যোগেন চৌধুরী ও শুভাপ্রসন্ন, জয় গোস্বামী, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, সুবোধ সরকার সহ বিশিষ্টরা। এ ছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ আমলা থাকছেন।
স্বাস্থ্য সাথীর আওতায় রাজ্যের প্রতিটি পরিবারকে আনা হল। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকেই তা কার্যকর হবে।
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে প্রতি বছর রাজ্যের ২০০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে৷
তাঁর বক্তব্যের কিছু বিষয়ঃ
আমরা ক্ষমতায় আসার পর কলকাতা বিমানবন্দরের নামকরণ নেতাজির নামে করানোর উদ্যোগ নিয়েছি।
ওনার জন্মদিবসের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি চলবে। ২০২১ এর ২৩ শে জানুয়ারি থেকে ২০২২এর ২৩শে জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচি।
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর কর্মপন্থা, ভাবাদর্শ, আন্দোলন, দেশপ্রেম চারিদিকে ছড়িয়ে দেওয়ার কর্মসূচি থাকবে। নেতাজির স্লোগান জয় হিন্দ গোটা দেশকে সংযুক্ত করে।
আমাদের রাজ্যই প্রথম এই কমিটি তৈরি করলো, আশা করি অন্যান্য রাজ্য ও কমিটি গঠন করবে
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু শুধুমাত্র জন্মদিনটি জানি,মৃত্যুদিন এখনও জানি না। আজও তাঁঁর স্বজন, পরিবার ও সমর্থকরা জানতে পারলেন না, শেষ বিদায়টা আদৌ হয়েছিল কিনা। কেন্দ্রীয় সরকার বলেছিল তাঁরা এবিষয়ে জানাবে। কিন্তু তারাও জানাতে পারেনি।
নেতাজি সম্পর্কিত অনেক তথ্য এখনও প্রকাশ্যে আনা হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পর্যন্ত সব তথ্য সামনে আনেনি।
আমাদের কাছে যা কাগজপত্র ছিল সব আমরা প্রকাশ করে দিয়েছি , আমরা যেটা বলি সেটা করি।
এখন তো দেখছি ইতিহাস পরিবর্তন করারও একটা প্রবণতা তৈরি হয়েছে। যারা স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন তাদের বাদ দিয়ে, যারা স্বাধীনতা আন্দোলনে বিরোধিতা করেছিলেন তাদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক ভাবে রং করা হচ্ছে
রাজ্যের প্রায় সাড়ে সাত কোটি মানুষকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যেই এনেছে সরকার, আরও আড়াই কোটি মানুষকে এই সুবিধা দেওয়া সাধ্যমতো চেষ্টা করছে সরকার
যারা কোনও রকম স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পান না তাদের জন্য ৫ লক্ষ টাকা ক্যাশলেস চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যাবে বলে ঘোষণা করা হয়। প্রতিটি পরিবারকে কার্ড ইস্যু করা হবে
দুয়ারে দুয়ারে সরকার প্রকল্প শুরু হলেও নাম লেখানো যাবে। পরিবারের মহিলার নামে এই কার্ড ইস্যু করা হবে। তাতে মহিলাদের ক্ষমতায়ণ হবে
সরকারি হাসপাতাল ছাড়াও প্রায় দেড় হাজার বেসরকারি হাসপাতালকে এই প্রকল্পের মধ্যে আনা হয়েছে। এমনকী ভেলোর, এইমসের মতো হাসপাতালগুলিতে স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা পাওয়া যাবে।
এই প্রকল্প সমাজের সবস্তরের মানুষের সুরক্ষার স্বার্থেই। বিশ্বের কাছে এই প্রকল্প দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে
আয়ুষ্মান প্রকল্পে কেন্দ্রে চিকিৎসার ৬০ শতাংশ খরচ দেয়, ৪০ শতাংশ আমাদেরই দিতে হয়। আর আমাদের প্রকল্পে ১০০ শতাংশ খরচই দিই আমরা। এতে অনেক বেশি মানুষ উপকৃত হন।
কোনও কিছু করার ক্ষমতা নেই, বড় বড় ভাষণ। ভ্যাকসিন দেবে। ভ্যাকসিন দেবে দেবে, ভাষণ চলছে ১ বছর – ছ’মাস ধরে
জিজ্ঞেস করুন, কেন আজকে আলুর দাম বাজারে বেশি? তুমি দায়িত্ব নিয়ে কেন কমাচ্ছো না? কেন পেঁয়াজ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না? আলু পেঁয়াজ সব কেড়ে নিয়েছো। মানুষ খাবে কী
যারা ভাবছে এই ছোট ছোট রাজনীতি করে রোজ টিভিতে থাকবো, শুধু দর্শনধারী হয়ে থাকবো, কাজবিচারি নয়, তাদের আমি বলবো, বাংলায় বহিরাগতদের স্থান নেই – নেই – নেই – নেই –নেই
যারা অন্য রাজ্য থেকে এসে বাংলাকে ভালবেসে ঘরবাড়ি করে নিয়েছে তারা আমাদের লোক। কিন্তু যারা ইলেকশনের সময় গুন্ডামি করতে আসে আর দাঙ্গা করতে আসে তারা বহিরাগতই। বহিরাগতদের এখানে কোনও স্থান নেই
ন’মাস আগে এটা হয়ে যেতে পারত। শুধুমাত্র রেল আমাদের সঠিক সময় পারমিশন দেয়নি তাই ফেস করতে হয়েছে। এখনো ওটা পুরো কমপ্লিট হয়নি। দেখতে কমপ্লিট হয়েছে PWD-র কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু রেলের ১০০ শতাংশ পারমিশন এখনো পাওয়া যায়নি। সেটা দিতে ৭ – ৮ দিন সময় লাগবে। এটা আমাদের ওপরে নয়, এটা কেন্দ্রীয় সরকারের ডিলেমির জন্য। বিজেপি পার্টির পলিটিক্স করার জন্য। যেটা ১ বছর আগে হয়ে যেতে পারত, মানুষকে হ্যারাস করেছে।
অঙ্গনওয়াড়ি (ICDS) কেন্দ্রের কর্মীদের জন্য পূর্বঘোষিত বেতন বৃদ্ধি কার্যকর হচ্ছে ডিসেম্বর থেকে। অর্থাৎ নতুন বছর থেকে অতিরিক্ত ১০০০ টাকা হাতে পাবেন অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা কর্মীরা।