সাম্প্রতিক খবর

জুন ১৭, ২০২০

দেশের পাশে আছি ও দেশের স্বার্থে সর্বদলীয় বৈঠককে স্বাগতঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

দেশের পাশে আছি ও দেশের স্বার্থে সর্বদলীয় বৈঠককে স্বাগতঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

করোনা মোকাবিলার জন্য রাজ্য সরকারের কাজের খতিয়ান তুলে ধরতে আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করেন। করোনার জন্য বেসরকারি হাসপাতাল রোগীকে ফেরাতে পারে না এই মর্মে তিনি বার্তাও দেন। এছাড়া আমপানে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ দেওয়ার খতিয়ানও তুলে ধরেন। সম্প্রতি ভারতের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষে ভারতের যে ২০জন বীর সেনা নিহত হয়েছেন, তাদের বিষয়ে তিনি শোকপ্রকাশ করেন। তিনি ঐ শহিদদের যে দুজন বাংলার, তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি জানি তাঁরা দেশের জন্য প্রাণ দিয়ে যা করেছেন বা তাঁদের বীর পরিবারের যা ক্ষতি হল, সেটা কিছু দিয়েই পূরণ করা সম্ভব না। তাও আমরা আমাদের ভূমিপুত্রদের পরিবারের বিপদের সময়ে তাঁদের পাশে দাঁড়াবো। এজন্য আমরা ৫লক্ষ টাকা ও শহিদদের পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরি দিতে চাই।

তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশঃ

বাধা বিপত্তি সত্ত্বেও রাজ্যে করোনা পরীক্ষা বেড়েছে। ১৬ই জুন পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩.৫ লক্ষ। দিনে প্রায় গড়ে ৯,৫০০।

আশা কর্মীদের মাধ্যমে কয়েক কোটি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা চালানো হয়েছে।

এখনো ৮০০ শয্যা খালি আছে করোনা আক্রান্তদের জন্য

৯৪৮টি আইসিইউ এবং ৩৪৫টি ভেন্টিলেটর আছে

১৬ই জুন পর্যন্ত অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৫৩৮৬

৫০.৬১ শতাংশ রোগী সুস্থ হয়ে ছাড়া পেয়েছেন

রোগী ব্যবস্থাপনায় ১০৪টি সেফ হোম সেন্টার তৈরী করা হয়েছে যেখানে অল্প উপসর্গ সম্বলিত রোগীদের রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে

মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলকভাবে মানতে হবে

করোনা হলে লুকোবেন না

ইন্টার্নদের ইন্সেন্টিভ দেওয়া হবে। হাউস স্টাফদেরও বেতন বাড়ানো হবে

পড়া শেষ হলে ও ফলাফল বেরোলে ১লা জুলাই থেকে ইন্টার্নদের যোগ দিতে বলা হবে

বেসরকারি হাসপাতাল রোগীদের ফেরাতে পারেনা – এই নিয়ে আগামীকাল তাদের সঙ্গে বৈঠক আছে

করোনার কটি শয্যা আছে তা সবাইকে জানাতে হবে এবং প্রতি ঘণ্টায় আপডেট করতে হবে

অনেক শ্রমিক যাদের বিমানে করে চেন্নাই থেকে আনা হয়েছে, তাদের অনেকে করোনা পজিটিভ বেরিয়েছে

আমপান ত্রাণঃ সকলে ব্যাঙ্কে সরাসরি টাকা পাচ্ছেন। এর জন্য কোনও মানুষের সুপারিশ লাগবে না। এই টাকা পেতে সমস্যা হলে স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করতে পারেন

রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই কৃষক, মৎস্যজীবী ও বাড়ি যাদের ভেঙেছে, তাদের ত্রাণ দিয়েছে

গালওয়ান উপত্যকায় নিহত সকল শহিদদের আমার সমবেদনা জানাই। আমি জানি তাঁরা দেশের জন্য প্রাণ দিয়ে যা করেছেন বা তাঁদের বীর পরিবারের যা ক্ষতি হল, সেটা কিছু দিয়েই পূরণ করা সম্ভব না। তাও আমরা আমাদের ভূমিপুত্রদের পরিবারের বিপদের সময়ে তাঁদের পাশে দাঁড়াবো। এজন্য আমরা ৫লক্ষ টাকা ও শহিদদের পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরি দিতে চাই

দেশের পাশে আছি ও দেশের স্বার্থে ২১ তারিখের সর্বদলীয় বৈঠককে স্বাগত জানাই