সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২
বাংলাকে বদনাম করাই একদল লোকের কাজ : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ মহালয়ার দিনে বিশেষ উৎসব সংখ্যা প্রকাশ করল তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’। এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন টলিপাড়ার শিল্পীরা। জাগো বাংলার উৎসব সংখ্যার এবার আকর্ষণ ছিল এই পত্রিকার বিশেষ প্রচ্ছদ যা বানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওনার বক্তব্যের কিছু অংশ:
এই কাগজ সরকার থেকে এক পয়সা বিজ্ঞাপন নেয় না। তা সত্বেও একবার বিজ্ঞাপন নেওয়ায় নোটিশ দিল।
ইদানীং লক্ষ্য করছি, যদি নিজস্ব মতামতও দিই, সেখানেও নানারকম বিকৃতি কথা বলা হচ্ছে। চায়ে পে চর্চা হোনে সে বাত নেহি হোতা। আর যদি বলা হয়, তুমি নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য কাঁচা বাদাম, পাকা বাদাম, কত নাচ গান গেয়েছেন, তা মানুষ যদি সমর্থনই না করত, তাহলে এগুলো হল কোথা থেকে? পাপ্পু দ্য গ্রেটরা যখন যা ইচ্ছে, তখন তাই বলে।
ভারতবর্ষের সবচেয়ে বড় ‘পাপ্পু’র নাম হচ্ছে অমিত শাহ। তার কারণ, বিরোধীশূন্য ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায়।
আপনারা আমাদের গাল দিন, কিছু যায় আসে না। শুভ মহালয়ার দিনে মায়ের কাছে কামনা করব, দেবী যেন সকলকে ভাল রাখেন। যাঁরা এগুলো করছেন, আরও বেশি করে করুন। তার পরও শান্তিতে ঘুমোতে পারলে ঘুমোবেন। আমরা প্রতিহিংসা পরায়ণ নই। বদলা নয়, বদল চাই বলেছিলাম বলেই ৩৪ বছরের কাউকে গ্রেফতার করিনি। অনেক কর্মকাণ্ড থাকা সত্ত্বেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
কেউ ধোওয়া তুলসিপাতা নয়। যারা দিল্লিতে বসে আছে, ওটা দিল্লিকা লাড্ডু। যে খায়, সেও পস্তা, না খেলেও পস্তায়। মনে রাখবেন, তাদের মাথার ওপরে চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, তারার মতো নানা রকম এজেন্সি বসে আছে। চোখে দেখেও দেখতে পায় না। অত্যন্ত দুঃখের কথা। মা সকলকে শক্তি দিন।
বাংলাকে বদনাম করাই একদল লোকের কাজ। আমাদের সংস্কৃতি মাথা উঁচু করে চলার সংস্কৃতি। তৃণমূলের নাকি সবাই খারাপ, আর ওরা সব ভাল? কী কী ভাল কাজ হয়েছে, সেদিকে দৃষ্টি দিলে উন্নয়ন শোভা পেত।