মার্চ ৩০, ২০২৩
বাংলায় অর্থনৈতিক অবরোধ করা হলে আমরা রাজনৈতিক অবরোধ করব : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক বঞ্চনা, গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ ও কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে বিরোধীদের হেনস্থার প্রতিবাদে দুদিন ব্যাপী ধর্নায় বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার দুপুর ১২টা থেকে রেড রোডে আম্বেদকরের মূর্তির সামনে ধর্না শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাত কাটান অবস্থান মঞ্চেই। ধর্না মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের কিছু অংশ:
রাজ্যের প্রাপ্য টাকা জিএসটি-র মাধ্যমে কেন্দ্র তুলে নিয়ে যাচ্ছে। রাজ্যের প্রাপ্য কেন্দ্র দিচ্ছে না। আমি নিজে তিনবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আবেদন জানিয়েছি। আমাদের সাংসদরা গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছে
বিজেপিশাসিত রাজ্য ছাড়া অন্যত্র অনেক স্কিম বন্ধ হয়ে গেছে। সবথেকে বেশি স্কিম বন্ধ হয়েছে এই রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গে ৬৩টি স্কিম বন্ধ হয়ে গেছে সবাই হচ্ছে দুর্নীতিগ্রস্ত আর বিজেপি শুধু সৎ। সবাই দেশবিরোধী শুধু বিজেপি দেশপ্রেমিক
বাংলা ১০০ দিনের কাজে পাঁচবার প্রথম হওয়ার পরেও সব টাকা বন্ধ। মানুষকে কাজ করিয়ে নিয়ে তাদের ৭ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়নি। নির্বাচনের সময় এসে বড় বড় কথা। গ্রামের সড়ক যোজনায় চারবার প্রথম হওয়ার পর টাকা বন্ধ। বাংলা আবাস যোজনায় অনুমোদন হয়ে যাওয়ার পরেও টাকা দেয়নি।
এখনও ২৩ লক্ষ ছেলে-মেয়ের স্কলারশিপ দেয়নি কেন্দ্র। মেধাশ্রী স্কিম আমরা চালু করেছি
বিজেপি আর সিপিএম, বাম-রাম এক হয়ে গেছে। সব চাকরি চিরকুটে হয়েছে। সব ফাইল খুঁজে বার করতে বলেছি
কথা না শুনলেই ইডি-সিবিআই দিয়ে সবাইকে ভয় দেখায় বিজেপি। কিছু হলেই এজেন্সি পাঠিয়ে দেয়
বাংলার স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি, বারবার কাগজ দিয়েছি। কতবার যাব? আমরা কি আপনাদের চাকর, নাকি দাস? ১০০ দিনের কাজ করিয়ে টাকা দিল না। ৭ দিনের মধ্য়ে টাকা দেওয়া বাধ্য়তামূলক, তাও দিল না।
বাংলায় অর্থনৈতিক অবরোধ করা হলে আমরা রাজনৈতিক অবরোধ করব। দিল্লি গিয়ে আন্দোলন করব। আমি দিল্লিতে গেলে, সব দলকে এক জায়গায় আনব। আমাকে দিল্লিতে ঢুকতে না দিলে, যেখানে আটকাবে সেখানেই বসব