অগাস্ট ১২, ২০২৩
নোংরা হিংসার খেলা করতে দেওয়া যাবে না : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি বিশেষ অডিয়ো বার্তা দেন। সেখানে ওনার বক্তব্যের কিছু অংশ:
টিম ইন্ডিয়া প্রসঙ্গে তিনি প্রমাণ ছাড়া যা ইচ্ছে তাই বলে যাচ্ছেন। তিনি চাইছেন গরিব মানুষ মারা যাক। দেশের মৃত্যু হোক। সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে থাকুক। শুধুমাত্র বিজেপি থাকবে। তিনি তাঁর মতাদর্শ দিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছতে পারছেন না
আপনি কখনওই দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে পারেন না। কারণ, আপনি নিজেই অনেক বিষয়ে ঘিরে রয়েছেন। যেমন, পিএম কেয়ার ফান্ড, রাফাল চুক্তি, দেশের প্রতিরক্ষা কারখানা বিক্রি করে দিচ্ছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি করে দিচ্ছেন
নোট বাতিল করা হয়েছে নোটবন্দির নামে। আপনি নিজের এবং নিজের পার্টির স্বার্থে ২ হাজার টাকার নোট বাতিল করেছেন। আপনি সব সময় মানুষকে বোকা ভাববেন না। কিছু সময় মানুষকে বোকা বানানো যায়, কিন্তু সব সময় আপনি মানুষকে বোকা বানাতে পারবেন না
আপনি আচরি ধর্ম পরেরে শিখাও (চ্যারিটি বিগিংস অ্যাট হোম)। আপনি আগে নিজের চেহারা দেখুন। আপনি নিজেদের দুর্নীতিপরায়ণ লোকেদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেন না। যাঁরা চরিত্রহননের কাজ করে, মহিলাদের অসম্মান করে, যারা কুস্তিগিরদের বিরুদ্ধে অন্যায় করে, যারা মণিপুরে অন্যায় করে, সব জায়গায় যারা বিশৃঙ্খলা তৈরি করে… আপনাদের লোকেরা বাংলার ১৬-১৭ জন মানুষকে হত্যা করেছেন। তাঁদেরকেও আপনি রাজনৈতিক বাতাস দিয়ে চলেছেন
আপনাদের কাজ বাংলায় মণিপুরের মতো জাতিদাঙ্গা লাগানো। আপনাদের কাজ দার্জিলিংকে টুকরো করা। এ আগুন আমরা জ্বালাতে দেব না। প্রয়োজন হলে আমার মৃতদেহের ওপর আমাকে আগুন জ্বালাতে হবে। তবে নোংরা হিংসার খেলা করতে দেওয়া যাবে না
রাজ্যপালেদের দিয়ে সমান্তরাল সরকার চালানো হচ্ছে। গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত সরকার থাকতে রাজ্যপালের কী প্রয়োজন? বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বদলই কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্যপালের। সেই সব জায়গায় বিজেপি-আরএসএসের লোকেদের বসানো হচ্ছে। এটা তাঁর কাজ? রাজভবনগুলিকে মিউজ়িয়াম করে দেওয়া হোক। ব্রিটিশ আমলে রাজভবনের (রাজ্যপালের) প্রয়োজন ছিল। এখন আর কোনও প্রয়োজন নেই
অভিন্ন দেওয়ানি বিধি ( ইউসিসি) চালু করতে চাইছে। আমরা যেমন এনআরসি আটকেছি, যেমন সিএএ আটকেছি তেমনই এটাও হতে দেব না
ওরা জানে, হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টধর্মের মানুষের মধ্যে কত ভাগ (সাব কাস্ট) আছে। কারও সঙ্গে কিছু আলোচনা করে না। বাংলাকে বঞ্চনা করছেন, শোষণ করছেন। দলের নেতাদের তোষণ করতে টাকা আটকে দিচ্ছেন। আমাদের প্রাপ্য ১ লক্ষ ৯০ হাজার কোটি টাকা আটকে রাখা হয়েছে।